দিনের তাপমাত্রা কমার সাথে সাথে দেশে গত কয়েকদিনে বেড়েছে করোনা সংক্রমণ। সেই সাথে ভিড় বাড়ছে রাজধানীর নমুনা সংগ্রহের বুথগুলোতে। করোনা পরীক্ষার ফলাফল দ্রুত পাওয়া গেলেও নমুনা নষ্ট হওয়াসহ বেশ কিছু বিড়ম্বনার কথা জানলেন পরীক্ষা করতে আসা মানুষ। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সংক্রমণ বাড়তে থাকায়, দ্রুত করোনা শনাক্তে র্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্টের বিকল্প নেই।
শুক্রবার ব্রাকের টেস্ট বুথ বন্ধ থাকলেও রাজধানীর মুগদা জেনারেল হাসপাতালে দেখা গেছে করোনা টেস্ট করাতে আসা মানুষের ভিড়। দীর্ঘক্ষণ লাইনে দাড়িয়ে থেকে করোনা টেস্টের নমুনা দিচ্ছেন তারা। তবে টেস্টজনিত ভোগান্তি আগের থেকে অনেক কমেছে। সকাল ১০টা থেকে নমুনা সংগ্রহ শুরু হলেও সকাল ৮টার মধ্যেই এসেছেন অনেকে।
নমুনা দিতে ভোগান্তি অনেকটাই কমেছে, জানালেন করোনা পরীক্ষা করাতে আসা মানুষেরা।
তবে ছিল কিছু বিপরীত চিত্রও। ক্যান্সারের রোগী ইসরাত জাহান প্রথমবার নমুনা দেন গত মঙ্গলবার। কিন্তু নমুনা নষ্ট হওয়ায় আবার টেস্ট করাতে আসতে হয়েছে তাকে। সেই সাথে বিলম্বিত হচ্ছে ক্যান্সারের চিকিৎসা।
এদিকে রাজধানীর মিটফোর্ড হাসপাতালেও ছিলো করোনা টেস্ট করাতে আসা মানুষের ভিড়। তবে সবাই মাস্ক পড়লেও অনেকেই মানছেন না শারীরিক দুরত্ব। সংক্রমণ ঠেকাতে স্বাস্থ্যবিধি পরিপূর্ণভাবে মেনে চলার ওপর জোর দিয়েছেন জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সতর্কতার সাথে নমুনা সংগ্রহ ও সংরক্ষণ করলে ভুল অনেকটাই এড়ানো সম্ভব। তবে সংক্রমণ বাড়তে থাকায় দ্রুত পরীক্ষার জন্য প্রয়োজন র্যাপিড এন্টিজেন টেস্ট । এ পদ্ধতি ফলাফল পাওয়া যাবে ৩০ মিনিটের মধ্যেই।
করোনার দ্বিতীয় ঢেউ প্রতিরোধে জনগণের সচেতনা ও স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিতে জোর দিয়েছেন জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। আর তৃনমূল পর্যায়ে করোনা চিকিৎসার ব্যবস্থাসহ সরকারকে আরো উদ্যোগী হওয়ার আহবান জানান তারা।