বাংলাদেশের চিলাহাটি থেকে ভারতের হলদিবাড়ি রুটে আগামী মাসেই (ডিসেম্বর) রেল যোগাযোগ শুরু হবে এবং এর মাধ্যমে দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক আরও মজবুত হবে বলে জানিয়েছেন ভারতে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার মোহাম্মদ ইমরান।
সোমবার বিকেলে পঞ্চগড়ের বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর পরিদর্শন করে তেঁতুলিয়া বেরং কমপ্লেক্সে বন্দর সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন। এ সময় ব্যবসায়ীসহ সংশ্লিষ্টরা হাইকমিশনারের কাছে চতুর্দেশীয় স্থলবন্দর বাংলাবান্ধার গুরুত্ব তুলে ধরে বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে তার হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
জানা যায়, নীলফামারীর ডোমার উপজেলার চিলাহাটি ও ভারতের হলদিবাড়ি হয়ে পুরোনো যে রেললাইনটি ছিল, সেটা ১৯৬৫ সালের পাক-ভারত যুদ্ধের সময় বন্ধ হয়ে যায়। বেশ কয়েক বছর আগে এই রেলপথ পুনরায় নির্মাণ করে চালুর কার্যক্রম শুরু করে সরকার।
হাইকমিশনার মোহাম্মদ ইমরান বলেন, বাংলাদেশ ও ভারতের সঙ্গে সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে। চিলাহাটি ও হলদিবাড়ি রুটে রেল যোগাযোগ চালুর মাধ্যমে আমরা এই সম্পর্ক আরও এগিয়ে নিতে চাই। দুই দেশের যেসব সীমান্ত এলাকা দিয়ে যাতায়াত ও ব্যবসা বাণিজ্য চলমান, সেখানে কী কী সমস্যা ও সম্ভাবনা রয়েছে, তা সরেজমিনে দেখার জন্যই আমি এসেছি। এসব সমস্যা সম্ভাবনার কথা জানা থাকলে যেকোনো সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে আমাদের সুবিধা হয়।
তিনি বলেন, স্থলবন্দরগুলোতে সব সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানকে এক ছাদের মধ্যে নিয়ে আসতে হবে। যেন সেবা গ্রহীতাকে হয়রানির শিকার হতে না হয়। পণ্য ও মানুষ যাতায়াতের পথ আলাদা করতে হবে।
মতবিনিময় সভায় পঞ্চগড় জেলা প্রশাসক ড. সাবিনা ইয়াসমিন, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ইউসুফ আলী, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) আব্দুল মান্নান, ১৮ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল খন্দকার আনিসুর রহমান, তেঁতুলিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান কাজী মাহমুদুর রহমান ডাবলু, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সোহাগ চন্দ্র সাহা ও আমদানি রপ্তানিকারক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মেহেদী হাসান খান বাবলাসহ বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
সভা শেষে জেলা প্রশাসক সাবিনা ইয়াসমিন মুজিববর্ষ উপলক্ষে দুই বাংলার লেখকদের নিয়ে যৌথ কবিতা সংকলনের বই হাইকমিশনারের হাতে তুলে দেন। এর আগে ভারতে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার মোহাম্মদ ইমরান তেঁতুলিয়া পৌঁছালে পুলিশের একটি দল তাকে গার্ড অব অনার করে।