সিভিএম থিমেটিক অ্যাম্বাসাডর ফর ভালনারেবিলিটি সায়মা ওয়াজেদ হোসেন সোমবার জলবায়ু পরিবর্তনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সর্বাধিক ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীগুলোর অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে একটি সমন্বিত কর্মপরিকল্পনা গ্রহণের লক্ষ্যে সামগ্রিক প্রচেষ্টার আহ্বান জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন ইস্যুটি একটি বড় ধরনের বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ। কিন্তু আমরা যদি ঝুঁকিপূর্ণ মানুষের জীবনযাত্রার দিকে লক্ষ্য করি, তবে দেখতে পাই কীভাবে তারা জলবায়ু পরিবর্তনে সৃষ্ট প্রাকৃতিক সংকটের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিয়েছে। কী উপায়ে তারা টিকে আছে, আমরা সেই অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ মানুষকে সাহায্য করতে পারি।
বাংলাদেশ ন্যাশনাল অ্যাডভাইসরি কমিটি অন নিউরোডেভেলপমেন্টাল ডিজঅর্ডারস অ্যান্ড অটিজমের চেয়ারপারসন সায়মা লন্ডনে বাংলাদেশ হাইকমিশন আয়োজিত ‘সিভিএফ-সিওপি ২৬ ডায়ালগ : মিটিং দ্য সার্ভাইভাল, ডেডলাইন টুওয়ার্ডস ম্যাক্সিমাল রেসিলিয়েন্স’ শীর্ষক ভার্চুয়াল আলোচনায় বক্তব্য দেওয়ার সময় এসব কথা বলেন। খবর বাসসের
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম প্রধান অতিথি হিসেবে সভায় অংশ নেন। ক্লাইমেট ভালনারেবল ফোরামের (সিভিএফ) সব সদস্য আলোচনায় যোগ দিয়ে আগামী বছর অনুষ্ঠেয় কোপ-২৬ সম্পর্কে তাদের পরামর্শ ও সুপারিশ তুলে ধরেন। এদের সবাই লন্ডনে বিভিন্ন দেশের হাইকমিশনার ও রাষ্ট্রদূত।
যুক্তরাজ্যের প্রশান্ত মহাসাগর, পরিবেশ ও কোপ-২৬ বিষয়ক মন্ত্রী লর্ড জ্যাক গোল্ডস্মিথ অনুষ্ঠানে গেস্ট অব অনার হিসেবে যোগ দেন। গ্লোবাল সেন্টার অন অ্যাডাপ্টেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা অধ্যাপক প্যাট্রিক ভার্কুইজেন এবং সিভিএফ এক্সপার্ট অ্যাডভাইসরি গ্রুপের চেয়ারম্যান এবং ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার ফর ক্লাইমেট চেঞ্জ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের পরিচালক অধ্যাপক সলিমুল হক অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন।
ক্লাইমেট ভালনারেবল ফোরাম প্রেসিডেন্টির বিশেষ দূত আবুল কালাম আজাদ সিভিএফের ওপর একটি প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন করেন। লন্ডনে বাংলাদেশের হাই কমিশনার সাঈদা মুনা তাসনিম ভার্চুয়াল আলোচনা সভাটি সঞ্চালনা করেন।
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে দ্বিতীয়বারের মতো ক্লাইমেট ভালনারেবল ফোরামের সভাপতিত্ব লাভ করেছে। আমরা এমন একটি সময় এই দায়িত্ব পেয়েছি যখন সিভিএফের সদস্য রাষ্ট্রগুলো কভিড-১৯ মহামারি ও জলবায়ু সংকটে রয়েছে।