গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা এবং ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেছেন, মূর্তি ভাঙার কথা কোরআনের কোথাও বলা নেই। তিনি বলেন এসব বিষয় নিয়ে আন্দোলন না করে জনগণের অধিকার আদায়ের আন্দোলন, ন্যায়-নীতির আন্দোলনে আসেন।
শনিবার (১২ ডিসেম্বর) বিকেলে মওলানা ভাসানীর ১৪০তম জন্মদিন উপলক্ষে ধানমন্ডির গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের মেজর হায়দার বীরউত্তম মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, দেশের মৌলভী এবং আলেমরা ভাস্কর্য আর মূর্তি নিয়ে আন্দোলন করছেন। আমি আরবিতে স্কলার না, তবে আমি কোরআনের বিভিন্ন ভাষার অনুবাদ পড়েছি, মূর্তি পূজা করতে মানা আছে, তবে মূর্তি ভাঙার কথা কোরআনের কোথাও বলা নেই। মূর্তি ভাঙতে হলে তো প্রতিটা গির্জাকে ভেঙে ফেলতে হবে, কারণ গির্জায় যিশু খ্রিস্টের মূর্তি রয়েছে। মূর্তি বা ভাস্কর্য এসব বিষয় নিয়ে আন্দোলন না করে জনগণের অধিকার আদায়ের আন্দোলন, ন্যায়-নীতির আন্দোলনে আসেন।
মাওলানা ভাসানী ছাড়া মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস অসম্পূর্ণ উল্লেখ করে ডা. জাফরুল্লাহ বলেন, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে অবশ্যই দুজনকে আনতে হবে, একজন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, আরেকজন মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী। এই দুজনের দু’ধরনের চরিত্র। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মুক্তিযুদ্ধকালে পাকিস্তানের কারাগারে বন্দি ছিলেন। তার নামে স্লোগান হয়েছে, তার নামে মুক্তিযুদ্ধ পরিচালিত হয়েছে। অন্যদিকে মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী সশরীরে মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনায় ছিলেন।
ভাসানী অনুসারী পরিষদের প্রেসিডিয়াম সদস্য নঈম জাহাঙ্গীরের সভাপতিত্বে আলোচনা সভা পরিচালনা করেন ভাসানী অনুসারী পরিষদের প্রেসিডিয়াম মেম্বার বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আকতার হোসেন। এতে আরও বক্তব্য রাখেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আসিফ নজরুল, ভাসানী অনুসারী পরিষদের মহাসচিব শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু, গণসংহতি আন্দোলনের জুলহাসনাইন বাবু, আবুল হাসান রুবেল এবং ঢাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুরু।