কর্ণফুলীর তলদেশে নির্মাণাধীন বঙ্গবন্ধু শেখ মুুজিবুর রহমান টানেলের দ্বিতীয় টিউবের নির্মাণকাজ শুরু হয়েছে। সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের শনিবার ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে দেশের প্রথম এবং উপমহাদেশে নদীর তলদেশে সর্বপ্রথম এই টানেলের দ্বিতীয় টিউবের খনন কার্যক্রম উদ্বোধন করেন।
টানেল বোরিং মেশিনের (টিবিএম) সাহায্যে প্রতিদিনই আনোয়ারা প্রান্ত থেকে পতেঙ্গা অভিমুখে চলবে টানেল খনন তথা নির্মাণ কার্যক্রম। ভার্চুয়ালি উদ্বোধনকালে সেতুমন্ত্রীর সাথে ছিলেন ভ‚মিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ, মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম, সেতু বিভাগের সচিব মো. বেলায়েত হোসেন প্রমুখ। আনোয়ারা প্রান্তে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল প্রকল্প পরিচালক প্রকৌশলী হারুনুর রশিদসহ সংশ্লিষ্ট দেশি-বিদেশি কর্মকর্তা, প্রকৌশলীগণ উপস্থিত ছিলেন।
উদ্বোধনকালে ওবায়দুল কাদের বলেন, বঙ্গবন্ধু টানেলের মাধ্যমে ঢাকা-চট্টগ্রাম-কক্সবাজারের মধ্যে আধুনিক যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে উঠবে। এর সাথে এশিয়ান হাইওয়ের সংযোগ স্থাপিত হবে। এরমধ্যে প্রকল্পের নির্মাণ কাজে ৬১ ভাগ অগ্রগতি হয়েছে বলে জানান মন্ত্রী। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু টানেল নির্মিত হলে চট্টগ্রাম নগরী চীনের সাংহাই এর আদলে ‘ওয়ান সিটি-টু টাউন মডেল গড়ে উঠবে। আগস্টের শুরুতে টানেলের পতেঙ্গা থেকে আনোয়ারা প্রান্তে প্রথম টিউবের কাজ সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয়।
তিন দশমিক ৪ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যরে মূল টানেল ছাড়াও পতেঙ্গা ও আনোয়ারা প্রান্তে ৫ দশমিক ৩৫ কিলোমিটার সংযোগ সড়ক এবং আনোয়ারা প্রান্তের ৭২৭ মিটার একটি ওভারব্রিজ নির্মাণ করা হচ্ছে প্রায় ১০ হাজার ৪শ’ কোটি টাকার এই প্রকল্পে।
টানেল প্রকল্পের পরিচালক প্রকৌশলী হারুনুর রশিদ সাংবাদিকদের জানান, আনোয়ারা প্রান্ত থেকে চট্টগ্রাম প্রান্তে টানেলের দ্বিতীয় টিউব নির্মাণকাজ শুরু হয়েছে। প্রথম টিউব থেকে ১২ মিটার দূরে নির্মাণ করা হবে দ্বিতীয় টিউব। আগামী এক বছরের মধ্যে দ্বিতীয় টিউবের খননকাজ শেষ করার লক্ষ্য নিয়ে আমরা কাজ শুরু করেছি। তবে এটি নদীর তলদেশের কাজ হওয়ায় সময় বেঁধে দেয়া কঠিন। টানেলের দুই পাশের সংযোগ সড়কের কাজ এগিয়ে নেওয়া হচ্ছে। পুরো কাজ শেষ হলে এই টানেলের ৪ লেন দিয়ে ঘণ্টায় ৮০ কিলোমিটার গতিতে গাড়ি চলাচল করতে পারবে।
২০১৯ সালের ২৪ ফেব্রæয়ারি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেলের বোরিং তথা নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তার আগে ২০১৭ সালের ১৪ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিন পিং টানেলের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।