ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটের সঙ্গে তিন কোটি ডোজ ভ্যাকসিন ক্রয়ের চুক্তি করেছে স্বাস্থ্য অধিদফতর। রবিবার সেরাম ইনস্টিটিউট, বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের সঙ্গে স্বাস্থ্য অধিদফতরের ত্রিপক্ষীয় ক্রয়চুক্তি সই হয়েছে।
আগামী জানুয়ারি থেকেই সেরাম থেকে প্রথম চালানের ভ্যাকসিন পাওয়া যাবে বলে আশার খবর জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। প্রতিমাসে ৫০ লাখ করে ছয় মাসে সেরাম এই ভ্যাকসিন সরবরাহ করবে। সরকারীভাবে বিনামূল্যে এই ভ্যাকসিন সরবরাহ করা হবে। ব্রিটেনের অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় আবিষ্কৃত ভ্যাকসিনটি বিশ্বজুড়ে বাণিজ্যিক উৎপাদন এবং সরবরাহের দায়িত্বে রয়েছে বহুজাতিক ওষুধ প্রস্তুত কোম্পানি এ্যাস্ট্রাজেনেকা। ভারতের সেরাম ইনিস্টিটিউট এ্যাস্ট্রাজেনেকার সঙ্গে ভ্যাকসিন উৎপাদনের চুক্তি করেছে। এই চুক্তি অনুযায়ী একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ ভ্যাকসিন নিয়ে যাবে এ্যাস্ট্রাজেনেকা। বাকি অংশ সেরাম নিজেদের মতো করে বিক্রি করতে পারবে। সেখান থেকেই বাংলাদেশ তিন কোটি ডোজ ভ্যাকসিন কিনেছে। বাংলাদেশে সেরাম এর এক্সক্লুসিভ ডিস্ট্রিবিউটর হিসেবে কাজ করছে বেক্সিমকো ফার্মা। চুক্তি সইয়ের পর স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, তিন কোটি ডোজ টিকার মধ্যে থেকে জানুয়ারিতে প্রথম ধাপে আসবে ৫০ লাখ ডোজ। এরপর প্রতি ধাপে ৫০ লাখ করে টিকা আসবে। এর আগে গত ৫ নবেম্বর অক্সফোর্ড-এ্যাস্ট্রাজেনেকার তিন কোটি ডোজ করোনাভাইরাসের টিকা কিনতে সেরাম ইনস্টিটিউট অব ইন্ডিয়া এবং বাংলাদেশের বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের সঙ্গে সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) সই করে সরকার। সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের পরবর্তী ধাপে এই ক্রয় চুক্তি করল সরকার। তিনি বলেন, অক্সফোর্ডের তিন কোটি ডোজ টিকার ক্রয় সংক্রান্ত কাগজপত্র সই হয়েছে। এটা সেরাম ইনস্টিটিউটের কাছে পাঠিয়ে দেয়া হবে। তারা ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে এটি পেয়ে যাবে। আশা করছি জানুয়ারি মাসের কোন এক সময় ভ্যাকসিন পাব। এর আগে অবশ্য বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অনুমোদন লাগবে। দেশের ওষুধ প্রশাসন অধিদফতরের অনুমোদনের বিষয়ও আছে। আশা করছি, শীঘ্রই অনুমোদন পাওয়া যাবে। অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম, অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক নাসিমা সুলতানা ও অধ্যাপক মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা, বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাজমুল হাসান উপস্থিত ছিলেন।