নৌ প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, চট্টগ্রাম বন্দরের সক্ষমতা বাড়ছে করোনায়ও বন্দর সার্বক্ষণিক সচল ছিলো। চট্টগ্রাম বন্দরের সাথে দেশের অর্থনীতিও সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে যাচ্ছে। গতকাল রোববার চট্টগ্রাম বন্দরের ১৪তম উপদেষ্টা কমিটির সভায় তিনি প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
বৈঠক শেষে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, কর্ণফুলী নদীর ক্যাপিটাল ড্রেজিং ইকুইপমেন্ট সংগ্রহ করছি। বন্দর সচল রাখতে গেলে ড্রেজিং অব্যাহত রাখতে হবে। আজকের সভায় বন্দরের এগিয়ে যাওয়া নিয়ে আলোচনা হয়েছে। বন্দর এখন স্বমহিমায় উদ্ভাসিত। বিশ্বের সেরা ১০০ কন্টেইনার বন্দরের তালিকায় চট্টগ্রাম বন্দরকে ৫৮ থেকে ৩০ আনার লক্ষ্যে কাজ করছি। বে-টার্মিনালে আগ্রহী বিদেশি বিনিয়োগকারীরা। যাচাই-বাছাই করে এ ব্যাপারে সমঝোতা চ‚ড়ান্ত হবে।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশ এখন ইতিবাচক সংবাদের শিরোনাম হয়। নিজেদের টাকায় আমরা পদ্মা সেতু করছি। কর্ণফুলী নদীর তলদেশে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল চালু হচ্ছে। মাতারবাড়িতে গভীর সমুদ্র বন্দর হচ্ছে। চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত রেল লাইনের কাজ চলছে। দেশের সব এলাকায় ব্যাপক উন্নয়ন হচ্ছে। পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রে যাচ্ছি আমরা। এসব অগ্রগতিতে জাতি হিসেবে আমরা গর্বিত। পরে প্রতিমন্ত্রী চট্টগ্রাম বন্দরে ওয়ান স্টপ সার্ভিস ভবনের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেন।
সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব মেজবাহ উদ্দিন চৌধুরী। ১৩তম সভার সিদ্ধান্তের ওপর আলোচনা করেন বন্দর চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এসএম আবুল কালাম আজাদ। বন্দরের শহীদ মুন্সী ফজলুর রহমান অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত সভায় বন্দরের ২০ কিলোমিটারের মধ্যে বেসরকারি কন্টেইনার ডিপো সরানো, এসব ডিপোর সেবার বিল কমানো, চট্টগ্রাম বন্দরের নিলাম ও মেয়াদোত্তীর্ণ পণ্য ধ্বংস কার্যক্রম জোরদার করা, বন্দরে বিশেষায়িত হাসপাতাল নির্মাণ, ক্যাপিটাল ড্রেজিং জোরদারসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা ও সিদ্ধান্ত হয়।
বন্দরের সদস্য মো. জাফর আলমের সঞ্চালনায় সভায় উপস্থিত ছিলেন সাবেক মন্ত্রী সংসদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, সংসদ সদস্য মোছলেম উদ্দিন আহমেদ, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এম এ সালাম, হুইপ সামশুল হক চৌধুরী, সংসদ সদস্য দিদারুল আলম, মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী, ওয়াসিকা আয়েশা খান, কাস্টম হাউসের কমিশনার মো. ফখরুল আলম, সিডিএ চেয়ারম্যান এম জহিরুল আলম দোভাষ প্রমুখ।