নাটোর প্রতিনিধি: নাটোরের বাগাতিপাড়ায় আখের রসে চিনি ও রং মিশিয়ে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে তৈরি হচ্ছে গুড়। আর এই গুড় হাট-বাজারসহ বিভিন্ন এলাকায় বিক্রি করা হচ্ছে।
অধিক লাভের আশায় বাগাতিপাড়া উপজেলায় যত্রতত্র গড়ে উঠেছে এসব গুড় তৈরির কারখানা। তবে এ ঘটনায় সংবাদ প্রকাশ না করতে ইউপি চেয়ারম্যনের একাধিকবার ফোন আসে।সরেজমিনে দেখা যায়, বিশেষ করে উপজেলার পাঁকা ইউনিয়ন ও জামনগর ইউনিয়ন এলাকায় অবাধে কারখানায় চলছে গুড় তৈরি । জামনগর ইউনিয়নের ডাকরমাড়িয়া গ্রামের রাকিব আলীর গুড় তৈরির খারখানায়, প্রকাশ্যে আখের গুড়ে রং ব্যবহার করতে দেখা যায়।
রাকিব আলী জানান, গুড়ের আড়তে লাল রং এর গুড়ের বেশি চাহিদা থাকায় তিনি রং ব্যবহার করছেন। তবে রং ব্যবহারে মানব দেহের ক্ষতি হচ্ছে কিনা তা তিনি জানেন না। একই এলাকার মুনজুরুল জানান, এর আগে গুড়ে চিনি ব্যবহার করলেও এখন চিনি এবং গুড়ের দাম প্রায় সমান হওয়াই গুড়ে চিনি ব্যবহার করছেন না। এমন অনেক কারখানায় চিনি ও রং মিশিয়ে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে তৈরি হচ্ছে গুড়। কিন্তু প্রশাসন এ ব্যাপারে নিচ্ছেননা কোনো উদ্দোগ। পাঁকা ইউনিয়নের গোয়াশ এলাকায় ঘুরে এমন একাধিক গুড় তৈরির কারখানা চোখে পড়ে।
জামনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল কুদ্দুস একাধিকবার মুঠোফোনে আখের গুড়ে রং মেশানোর বিষেয়ে সংবাদ প্রকাশ না করার জন্য বলেন। চেয়ারম্যনের কর্মি হওয়াই তারা জেনো ঝামেলায় না পড়ে সেজন্য রং মেশানোর ঘটনাটি হজম করার জন্য বলেন তিনি।