নিউজ ডেস্ক
ভেজালমুক্ত খাদ্য নিশ্চিত করে সুস্থ জীবন গড়তে বর্তমান সরকারের কঠোর নির্দেশে সারা দেশে ভেজাল বিরোধী অভিযান চলমান রয়েছে। অভিযানে দায়ী প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তিদের জেল-জরিমানা করা হচ্ছে। খাদ্যে অনিয়ম রোধ করতে এ অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও জানা গেছে।
অভিযানের ধারাবাহিকতায় বুধবার (২৬ জুন) ফার্মগেট এলাকার কস্তূরী ছায়ানীড় রেস্টুরেন্ট এন্ড চাইনিজকে বাসি খাদ্য, অপরিষ্কার এবং তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন অনুসারে ধূমপান মুক্ত সাইন না থাকায় ৫০ হাজার টাকা ও কাসুন্দি রেস্তোরাঁ লিমিটেড’কে বাসি খাদ্য, অপরিষ্কার এবং তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন অনুসারে ধূমপান মুক্ত সাইন না থাকায় ১ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।
একই দিন বিএসটিআইয়ের মান চিহ্ন অবৈধভাবে ব্যবহার ও পণ্য মোড়কজাত নিবন্ধন ব্যতীত আইসক্রিম উৎপাদন, বিক্রয় ও বিতরণ করায় ৪টি প্রতিষ্ঠানে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়। পাবনার গঙ্গারামপুর বাজারের মেসার্স পপি মিল্ক আইসক্রিম ফ্যাক্টরি, মীম মিল্ক আইসক্রিম ফ্যাক্টরি, রকি মিল্ক সুপার আইসক্রিম ফ্যাক্টরি ও নিউ রুচি মিল্ক সুপার আইসক্রিম ফ্যাক্টরিকে ১ লক্ষ ৩৭ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
ওইদিন জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জে মৃত গরু জবাই করার দায়ে দুই কসাইকে ৬ মাসের জেল এবং আরও একজনকে জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
এছাড়া ভোলাহাটের গোহালবাড়ি বাজার এলাকায় সোমবার (২৪ জুন) দুপুরে ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান চালিয়ে আইন লঙ্ঘন করে রেজিস্টারবিহীন ওষুধ বিক্রি ও বিক্রির জন্য নয় এমন ফিজিশিয়ান স্যাম্পল বিক্রির দায়ে মেসার্স শাহ মোহাম্মদ ফার্মেসি ও মেসার্স আনোয়ার মেডিসিন কর্নারকে ২০ হাজার টাকা করে ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। অভিযানে ৪ কার্টুন (প্রায় ১৫০০ পাতা) ঔষধ জব্দ করা হয়। জব্দকৃত ওষুধের মধ্যে রেজিস্টারবিহীন ওষুধ ধ্বংস করা হয়।
এছাড়া, বুধবার (২৬ জুন) চট্টগ্রাম জেলার রাউজান উপজেলা সদরের জলিল নগর এলাকার কয়েকটি ওষুধের দোকানে ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ মেয়াদোত্তীর্ণ ও বিক্রি নিষিদ্ধ ওষুধ জব্দ করা হয়। মানুষের জীবনের প্রতি হুমকি সৃষ্টিকারী এসব ওষুধ বিক্রি করার অপরাধে চার দোকানিকে ৬৫ হাজার টাকা জরিমানা এবং জব্দকৃত ওষুধ রাস্তায় এনে পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়।
এদিকে, ভেজাল বিরোধী চলমান অভিযানকে সাধুবাদ জানিয়ে সাধারণ জনগণ বলছেন, এই অভিযান ধারাবাহিকভাবে অব্যাহত রাখা হলে দেশের মানুষ ব্যাপকভাবে উপকৃত হবে।