সুনামগঞ্জে চলন্ত বাসে কলেজছাত্রীকে ধর্ষণচেষ্টার ঘটনায় ওই বাসের চালক শহীদ মিয়াকে (২৫) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। আজ শনিবার সকাল ছয়টার দিকে সুনামগঞ্জ পৌর শহরের পুরোনো বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। ঘটনার সাত দিন পর গ্রেপ্তার হলেন তিনি।
সুনামগঞ্জের পুলিশ সুপার (এসপি) মো. মিজানুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। গ্রেপ্তারের পর শহীদ মিয়াকে সিআইডির হেফাজতে রাখা হয়েছে।
এর আগে গত ২৭ ডিসেম্বর রাতে জেলার ছাতক উপজেলার কামরাঙ্গীরচর গ্রাম থেকে চালকের সহকারী আবদুর রশিদকে (২৭) গ্রেপ্তার করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।
সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার দিরাই পৌর শহরে গত ২৬ ডিসেম্বর বিকেলে চলন্ত বাসে উচ্চমাধ্যমিক প্রথম বর্ষের এক ছাত্রীকে ধর্ষণের চেষ্টা চালান বাসের চালক ও তাঁর সহকারী। নিজেকে রক্ষা করতে গিয়ে বাস থেকে লাফ দেয় ওই ছাত্রী। এতে সে গুরুতর আহত হয়। পরে তাকে সিলেটের এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে সে বাড়িতে আছে।
ঘটনার রাতেই দিরাই থানায় মেয়েটির বাবা বাদী হয়ে বাসের চালক সিলেটের নগরের জালালাবাদ থানার মোল্লারগাঁও এলাকার বাসিন্দা শহীদ মিয়া, তাঁর সহকারী সুনামগঞ্জের ছাতকের কামরাঙ্গীরচর গ্রামের আবদুর রশিদসহ তিনজনের বিরুদ্ধে একটি মামলা করেন। গ্রেপ্তারের পর আবদুর রশিদ আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
ওই ছাত্রীর পরিবার সূত্রে জানা গেছে, দিরাই পৌর শহরে তাদের বাড়ি। ওই ছাত্রীর বড় বোনের বিয়ে হয়েছে সিলেটে। বড় বোনের বাড়িতে বেড়াতে গিয়েছিল সে। গত ২৬ ডিসেম্বর দুপুরে সিলেট থেকে দিরাইগামী যাত্রীবাহী বাসে তাকে তুলে দেন তার বড় বোনের স্বামী। এরপর বাসটি পথে পথে যাত্রী ওঠানামা করতে করতে আসছিল। একপর্যায়ে বাসটিতে ওই ছাত্রী একা হয়ে পড়ে। বাসটি দিরাইয়ের সুজানগর এলাকায় পৌঁছালে চালক তাঁর সহকারীকে বাস চালাতে দিয়ে মেয়েটির কাছে যান। তিনি মেয়েটিকে ধর্ষণের চেষ্টা করেন। মেয়েটি এ সময় বাস থেকে লাফ দিয়ে নেমে পড়ে। এতে সে মাথায় গুরুতর আঘাত পায়। পথচারীরা তাকে রাস্তায় পেয়ে সেখান থেকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেন।