পদ্মা সেতুর সৌন্দর্যবর্ধনে চারটি স্মৃতিস্তম্ভ স্থাপন হচ্ছে। কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, মূল সেতুর শুরুতেই প্রথম পিলারের দুই পাশে দুটি এবং শেষ প্রান্তে ৪২ নম্বর খুঁটির দুই পাশে আরও দুটি স্মৃতিস্তম্ভ স্থাপনের বিষয়ে সেতু কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আর্কিটেক্টদের আলোচনা চলছে।
নকশা অনুযায়ী, সেতুর ১ নম্বর ও ৪২ নম্বর খুঁটির উইঙ্গিসের ওপর বসবে স্মৃতিস্তম্ভ। সেতুর ৪২ নম্বর খুঁটির মধ্যে দুটি ডানা থাকবে। ৪২ নম্বর খুঁটির ওপর ‘৭ এফ’ স্প্যান বসে ২০১৮ সালের ২৯ জুন। পরবর্তীতে ডানা বের করে আনা হয়। আর ২০২০ সালে ২১ নভেম্বর ১ নম্বর খুঁটির ওপর বসে ‘১এ’ স্প্যান। ডানার কাজ শেষ হলেই বসিয়ে দেওয়া হবে স্থাপনা।
পদ্মা সেতুতে কর্মরত শ্রমিকরা বলেন, ১ ও ৪২ নম্বর পিলারের দুই সাইডে জায়গা রাখা হয়েছে। এই জায়গায় সৌন্দর্যবর্ধনের জন্য ডিজাইন করা হবে।
সেতু কর্তৃপক্ষ জানান, সৌন্দর্যবর্ধনের স্থাপনার বিষয়ে সেতু কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আর্কিটেক্টদের আলোচনা চলছে। পদ্মা বহুমুখী সেতু প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক মো. সফিকুল ইসলাম বলেন, আমরা আর্কিটেক্টদের সঙ্গে কাজ করছি। এটা প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে, আমরা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখছি কি করা যাবে এখানে।
মহামারি করোনার মধ্যেও স্বপ্নের পদ্মা সেতু এগিয়ে চলেছে অপ্রতিরোধ্য গতিতে। পূর্ণাঙ্গ অবকাঠামো দৃশ্যমানের পর সেতুটি দেখতে এসে অভিভূত লোকজন। ঘুরতে আসা পর্যটকরা বলেন, ঘুরতে এসে খুবই ভালো লাগছে। নিজের দেশের নিজের কাজ আমাদের।
৬ দশমিক এক পাঁচ কিলোমিটার দীর্ঘ মূল সেতুর কাজের অগ্রগতি ৯১ শতাংশের বেশি।