৬২ জন যাত্রী নিয়ে উড্ডয়নের কিছুক্ষণের মধ্যেই সমুদ্রে বিধ্বস্ত ইন্দোনেশিয়ার বিমানটির ‘ব্ল্যাক বক্সের’ সন্ধান মিলেছে বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
রোববার কিছু সংকেত পাওয়া যাচ্ছিল যা বিমানটির ফ্লাইট রেকর্ডার থেকে আসছিল বলে ধারনা করা হচ্ছিল।
ইন্দোনেশিয়ার যানবাহন নিরাপত্তা বিষয়ক কমিটির প্রধান বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেছেন, দুটি ফ্লাইট রেকর্ডারের অবস্থানই তারা চিহ্নিত করেছেন।
রাতের বেলা উদ্ধার কাজ বন্ধ রাখার পর তা খুব সকালে আবার শুরু হওয়ার কথা।
দেশটির নৌবাহিনীর ডুবুরিরা আত্মবিশ্বাস প্রকাশ করেছেন যে তারা সোমবার উদ্ধারকাজ পুনরায় শুরু হওয়ার পর বিমানের দুটি ব্ল্যাক বক্সই উত্তোলন করতে পারবেন।
বিমানের ব্ল্যাক বক্স বা ফ্লাইট রেকর্ডার মূলত ককপিটে কি কথা হচ্ছে এবং বিমানের গতিবিধি সম্পর্কিত তথ্য রেকর্ড করে। বিমান দুর্ঘটনা তদন্তে যা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
নৌবাহিনীর ডুবুরি সমেত দশটির মতো জাহাজ দুর্ঘটনাস্থলে মোতায়েন করা হয়েছে।
এরই মধ্যে কিছু যাত্রীদের দেহাবশেষ এবং বিধ্বস্ত বিমানটির কিছু ধ্বংসাবশেষ উদ্ধার করা হয়েছে।
তদন্তকারীরা উদ্ধারকৃত ধ্বংসাবশেষ নিয়ে ইতিমধ্যেই কাজ শুরু করেছেন।
যারমধ্যে বিমানটির একটি চাকা, একটি ইঞ্জিনের টারবাইন ও ফিউজিলেজ বা বিমানটির লেজের দিকের কিছু অংশ রয়েছে।
ইন্দোনেশিয়ার রাজধানী জাকার্তা থেকে শনিবার যাত্রা শুরু করার চার মিনিট পরেই রাডার থেকে অদৃশ্য হয়ে যায় শ্রিভিজায়া এয়ারের বোয়িং ৭৩৭ যাত্রীবাহী বিমানটি।
ফ্লাইট ট্র্যাকিং ওয়েবসাইট ফ্লাইটরেডার টোয়েন্টিফোর ডটকমের তথ্য অনুসারে, বিমানটি এক মিনিটেরও কম সময়ে ১০ হাজার ফুট উচ্চতা থেকে নেমে এসেছিলো বলে মনে করা হচ্ছে।
স্থানীয় একজন জেলে বিবিসিকে জানিয়েছেন যে, অন্তত একটি বিস্ফোরণ হতে দেখেছেন তিনি।
বিমানটির ধারণ ক্ষমতা ১৩০ আরোহীর হলেও যাত্রীবাহী বিমানটিতে ১২ জন ক্রু এবং ৫০ জন যাত্রী ছিলেন।
যাত্রীদের মধ্যে সাতটি শিশু ও তিনটি নবজাতকও ছিল। বিমানে থাকা প্রত্যেকেই ছিলেন ইন্দোনেশিয়ার নাগরিক। তাদের মধ্যে নবদম্পতিও রয়েছে।