নিউজ ডেস্ক :
২০ দলীয় জোটে ব্রাত্য হয়ে এবার জামায়াতসহ অন্যান্য সমমনা দলগুলোকে নিয়ে নতুন প্লাটফর্ম গঠনের জোর চেষ্টা চালাচ্ছেন লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) সভাপতি কর্নেল (অব.) অলি আহমেদ। সেই প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে জামায়াতের মতো বিতর্কিত ও নিষিদ্ধ দলের পুনর্বাসনে জোর তৎপরতা চালাচ্ছেন অলি। অলি মনে করেন, জামায়াত দেশপ্রেমিক দল।
বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে অলি আহমেদ জামায়াত নিয়ে মন্তব্য করার বিতর্কের সৃষ্টি হয়। এদিকে একজন মুক্তিযোদ্ধা হয়েও জামায়াতের মতো দেশ বিরোধী ও স্বাধীনতাবিরোধী দলের মিথ্যা প্রশংসা করার সমালোচনার সম্মুখীন হয়েছে এলডিপির এই প্রতিষ্ঠাতা।
জামায়াতকে পুনর্বাসন করার এই প্রচেষ্টার তীব্র প্রতিবাদ করে বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দলের (বাসদ) একজন সিনিয়র নেতা বলেন, অলি আহমেদ জামায়াতকে নিয়ে মনগড়া কথা বলেছেন। তার দাবি, ‘১৯৭১ সালের জামায়াত আর ২০১৯ সালের জামায়াত এক নয়। দেশকে তারা অনেক ভালোবাসে, তাদের মধ্যে অনেক সংশোধনী এসেছে।’ জামায়াতের বিষয়ে অলির মন্তব্য অগ্রহণযোগ্য ও অপ্রত্যাশিত। অলি তো নিজেও একজন মুক্তিযোদ্ধা। সুতরাং জামায়াতের প্রশংসা করাটা উদ্দেশ্যমূলক।
তিনি আরো বলেন, আমার ধারণা জামায়াতের কাছ থেকে বড় অংকের কিছু পেয়েই এই ধরণের প্রজেক্ট চালু করতে যাচ্ছেন অলি। কারণ এলডিপি ২০ দল ও ঐক্যফ্রন্টের ব্রাত্য বলা যায়। তাই বিএনপি ও ঐক্যফ্রন্টকে উচিত শিক্ষা দিতে আত্মসম্মান ও গৌরব বিক্রি করে অলি জামায়াতের ছিটানো খুদ খাওয়া শুরু করেছেন।
এই বিষয়ে অলি আহমেদের ঘনিষ্ঠ ও বিএনপি ত্যাগ করে বিকল্প ধারায় যোগদানকারী নেতা শমসের মুবিন চৌধুরী বলেন, রাজনৈতিক দৈন্যদশা ও হতাশা থেকে অলি আহমেদ জামায়াতের দালালি করা শুরু করেছেন। একজন প্রকৃত দেশপ্রেমিক কখনই জামায়াতের মতো দেশ বিরোধী শক্তির তাঁবেদারি করবে না। নতুন জোট করে রাজনীতিকে বিতর্কিত করতে জামায়াতে পাতানো ফাঁদে পা দিয়ে অলি লাফ-ঝাঁপ করছেন।
তিনি আরো বলেন, অলি আহমেদ জামায়াতের প্রলোভনে পা দিয়ে ঐতিহাসিক ভুল করতে যাচ্ছেন। জামায়াতের দালালি করলে ইতিহাস তাকে ক্ষমা করবে না।