বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা গোলাম দস্তগীর গাজী সংসদ সদস্য বলেছেন, দেশের তাঁতশিল্পের ঐতিহ্যকে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে দিতে কাজ করছে সরকার। বর্তমানে নানা সমস্যায় রয়েছে রাজশাহী ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ এলাকার তাঁতশিল্পীরা। সরকার এ সমস্যা নিরসনে কাজ শুরু করেছে। বাংলাদেশ রেশম বোর্ড ও তাঁত বোর্ডের মাধ্যমে এসব সমস্যা কাটিয়ে এই শিল্পের সুদিন ফিরিয়ে আনা হবে।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার বারোঘরিয়া ইউনিয়নের লাহারপুরে সোমবার তাঁতপল্লি পরিদর্শন শেষে তাঁতি, রিলার ও বসনী সমাবেশে এসব কথা বলেন বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী। এ সময় তিনি আরও বলেন, বিদেশি তাঁতপণ্যে সব মিলিয়ে ৬০ শতাংশ শুল্ক আরোপের পরেও দেশের তাঁতশিল্প মুখ থুবড়ে পড়েছে, বিদেশিদের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় টিকতে পারছি না। ভারত ও চীন বিভিন্ন তাঁতপণ্য অল্প দামে ও সুদর্শন রেশম সুতা দিতে পারলে, তাহলে আমরা কেন পারব না? অবশ্যই আমাদের প্রযুক্তিগত দুর্বলতা রয়েছে। এসব দুর্বলতা দূর করতে পদক্ষেপ নেওয়া হবে। প্রয়োজনে চীন থেকে বিশেষজ্ঞ এনে দেশের তাঁতশিল্প সংশ্লিষ্টদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হবে।
মন্ত্রী বলেন, তাঁত ও রেশম শিল্প সংশ্লিষ্টদের ঋণের পরিমাণ বাড়ানো হবে। কারণ বর্তমান প্রেক্ষাপটে ৬০ হাজার টাকায় তেমন কিছুই হয় না।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ রেশম উন্নয়ন বোর্ড পরিচালনা পর্ষদের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান ফজলে হোসেন বাদশা সংসদ সদস্য, বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সচিব লোকমান হোসেন মিয়া, বাংলাদেশ তাঁত বোর্ডের চেয়ারম্যান শাহ আলম, বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব অলিউল্লাহ, জেলা প্রশাসক মঞ্জুরুল হাফিজ, পুলিশ সুপার এএইচএম আবদুর রকিব, সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল ওদুদ। সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ রেশম উন্নয়ন বোর্ডের মহাপরিচালক আবদুল হাকিম। পরে মন্ত্রী রানিহাটি ইউনিয়নের হরিনগর এলাকার তাঁতপল্লি ঘুরে দেখেন।