যুক্তরাষ্ট্র, সিঙ্গাপুর, ব্রিটেন এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের কয়েকটি দেশে ফাইজার-বায়োএনটেক, মডার্না এবং অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনকার টিকা প্রয়োগ শুরু করেছে। ইন্দোনেশিয়া ও ভারতও আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে বড় পরিসরে টিকা প্রয়োগ শুরু করতে যাচ্ছে।
টিকার নেওয়ার লাইনে একেবারে প্রথম সারিতে দাঁড়িয়েছে উন্নত দেশগুলো। এই পরিস্থিতিতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা হুঁশিয়ার করে বলেছে, নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশগুলো যে এখনও টিকা পাচ্ছে না, এটাও একটা বড় সমস্যা।
মহামারীর তথ্য সংগ্রহকারী ইন্দোনেশীয় সংগঠন ল্যাপরকোভিড-১৯ এর সহ-প্রতিষ্ঠাতা ইরমা হিদায়ানা বলেন, মানুষের আস্থার বিষয়টিও টিকাদান কার্যক্রমের ওপর প্রভাব রাখতে পারে।
আর ফিশার বলছেন, এ করোনাভাইরাস ভবিষ্যতে নিজেকে কতটা বদলে ফেলতে পারে, সে বিষয়টি এখনও মানুষের অজানা। কারণ অনেক বেশি মিউটেশন হলে এখনকার টিকা আর কার্যকর নাও হতে পারে।
পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর রেজা বাকির বলেন, অবকাঠামোগত সীমাবদ্ধতার কারণে তার দেশে করোনাভাইরাসের টিকা কার্যক্রম পরিচালনা একটি বড় চ্যালেঞ্জ।
২২ কোটি মানুষের দেশ পাকিস্তান এ পর্যন্ত চীনের সিনোফার্মার ১২ লাখ ডোজ টিকার অর্ডার নিশ্চিত করতে পেরেছে।
এর মধ্যে মহামারীর দ্বিতীয় ঢেউ সামাল দিতে হলেও পাকিস্তানের পরিস্থিতি এখন গত বছরের চেয়ে ভালো বলে জানান রেজা বাকির।
“কোনো টিকা ছাড়াই আমরা এখনও মহামারীর মধ্যেই আছি। এখন যখন টিকা চলে আসবে, পরিস্থিতি ভালোর দিকেই যাবে।”
নতুন বছরের শুরুতে অনেক দেশ করোনাভাইরাসের টিকা দেওয়ার প্রস্তুতি শুরু করলেও বৈশ্বিক এই মহামারীতে এ বছরই ‘হার্ড ইমিউনিটিতে’ পৌঁছানোর সম্ভাবনা দেখছেন না স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের অনেকে।
নিম্নআয়ের দেশগুলোর টিকা পাওয়া নিয়ে অনিশ্চয়তা, অনেক জায়গায় মানুষের মধ্যে টিকা নিয়ে আস্থার অভাব এবং ভাইরাসের বিবর্তনকে তারা এর কারণ হিসেবে দেখাচ্ছেন।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার আউটব্রেক অ্যালার্ট অ্যান্ড রেসপন্স নেটওয়ার্কের চেয়ারম্যান ডেল ফিশার সোমবার রয়টার্স নেক্সট কনফারেন্সে বলেন, “আমরা আগের স্বাভাবিক জীবনে সহসাই ফিরে যেতে পারছি না।
“সেজন্য আমাদের হার্ড ইমিউনিটিতে পৌঁছাতে হবে এবং তা হতে হবে অধিকাংশ দেশে। ফলে ২০২১ সালের মধ্যে আমরা সেই পরিস্থিতি দেখতে পাব না।”
ফিশার বলেন, কোনো কোনো দেশ হয়ত ‘হার্ড ইমিউনিটি’ দশায় পৌঁছে যাবে, কিন্তু তাতেও তারা পুরোপুরি স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরতে পারবে না, বিশেষ করে সীমান্ত নিয়ন্ত্রণের বেলায়।
এখন পর্যন্ত টিকা বিতরণ পরিস্থিতির যে হালনাগাদ তথ্য পাওয়া গেছে, তাতে এর চেয়ে ভালো কিছু আর আশা করতে পারছেন না বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এই কর্মকর্তা।
হার্ড ইমিউনিটি তত্ত্ব বলছে, যদি কোনো এলাকার মোট জনসংখ্যার ৭০ থেকে ৯০ শতাংশ কোনো ভাইরাসে সংক্রমিত হয়ে থাকে, তাহলে ধরে নিতে হবে, তাদের সবার শরীরে ওই ভাইরাসের বিরুদ্ধে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে উঠেছে। সেটা সত্যি হলে সেখানে ভাইরাসের প্রকোপও কমে আসবে।
এখন টিকা চলে আসায় বিশ্বের অধিকাংশ দেশে বড় পরিসরে তা দেওয়া সম্ভব হলে, তার মাধ্যমেও অধিকাংশ নাগরিকের মধ্যে করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তোলা সম্ভব। ডেল ফিশার সেই ‘হার্ড ইমিউনিটির’ কথাই বলছেন।
ইউনিভার্সিটি অফ ইন্দোনেশিয়ার এপিডেমিওলজিস্ট পান্ডু রিওনো বলছেন, টিকার উপর কিছু দেশের সরকারের ‘মাত্রাতিরিক্ত আস্থাও’ বিপদ ডেকে আনতে পারে, তাতে শিগগিরই‘হার্ড ইমিউনিটিতে’ পৌঁছানো সম্ভব নাও হতে পারে।
“ইন্দোনেশিয়ার সরকার ভাবছে, মহামারী সামাল দিতে টিকাই যথেষ্ট। তারা ভুলে গেছে যে পরীক্ষা… প্রচার, সুরক্ষা বিধি মেনে চলতে মানুষকে সচেতন করাও জরুরি, কারণ যাদের দরকার তাদের সবার কাছে টিকা পৌঁছাতেও বেশ কিছুটা সময় লেগে যাবে।”
বিশ্বে ইতোমধ্যে ৯ কোটির বেশি মানুষ নতুন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। গত বছর ডিসেম্বরে চীনে শুরু হওয়া এই মহামারীতে এখন পর্যন্ত মারা গেছে ১৯ লাখ মানুষ।
যুক্তরাষ্ট্র, সিঙ্গাপুর, ব্রিটেন এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের কয়েকটি দেশে ফাইজার-বায়োএনটেক, মডার্না এবং অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনকার টিকা প্রয়োগ শুরু করেছে। ইন্দোনেশিয়া ও ভারতও আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে বড় পরিসরে টিকা প্রয়োগ শুরু করতে যাচ্ছে।
টিকার নেওয়ার লাইনে একেবারে প্রথম সারিতে দাঁড়িয়েছে উন্নত দেশগুলো। এই পরিস্থিতিতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা হুঁশিয়ার করে বলেছে, নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশগুলো যে এখনও টিকা পাচ্ছে না, এটাও একটা বড় সমস্যা।
মহামারীর তথ্য সংগ্রহকারী ইন্দোনেশীয় সংগঠন ল্যাপরকোভিড-১৯ এর সহ-প্রতিষ্ঠাতা ইরমা হিদায়ানা বলেন, মানুষের আস্থার বিষয়টিও টিকাদান কার্যক্রমের ওপর প্রভাব রাখতে পারে।
আর ফিশার বলছেন, এ করোনাভাইরাস ভবিষ্যতে নিজেকে কতটা বদলে ফেলতে পারে, সে বিষয়টি এখনও মানুষের অজানা। কারণ অনেক বেশি মিউটেশন হলে এখনকার টিকা আর কার্যকর নাও হতে পারে।
পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর রেজা বাকির বলেন, অবকাঠামোগত সীমাবদ্ধতার কারণে তার দেশে করোনাভাইরাসের টিকা কার্যক্রম পরিচালনা একটি বড় চ্যালেঞ্জ।
২২ কোটি মানুষের দেশ পাকিস্তান এ পর্যন্ত চীনের সিনোফার্মার ১২ লাখ ডোজ টিকার অর্ডার নিশ্চিত করতে পেরেছে।
এর মধ্যে মহামারীর দ্বিতীয় ঢেউ সামাল দিতে হলেও পাকিস্তানের পরিস্থিতি এখন গত বছরের চেয়ে ভালো বলে জানান রেজা বাকির।
“কোনো টিকা ছাড়াই আমরা এখনও মহামারীর মধ্যেই আছি। এখন যখন টিকা চলে আসবে, পরিস্থিতি ভালোর দিকেই যাবে।”