নোয়াখালীতে ঘরে ঢুকে এক নারীকে বিবস্ত্র করে নির্যাতনের অভিযোগে আরেকটি ঘটনায় মামলা হয়েছে।
দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার ২ নম্বর চানন্দী ইউনিয়নের আদর্শ গ্রামে গত ১ জানুয়ারি রাতে ‘স্থানীয় সন্ত্রাসীরা’ সন্তানদের সামনে ওই নারীকে ‘ধর্ষণে ব্যর্থ হয়ে’ বিবস্ত্র করে নিপীড়ন চালায় বলে অভিযোগ করা হয়েছে সেখানে।
ভুক্তভোগী ৩২ বছর বয়সী ওই নারী গত ৫ জানুয়ারি জেলার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনাল-২ এ মামলাটি দায়ের করেন।
বিচারক বাদীর অভিযোগ আমলে নিয়ে হাতিয়া সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপারকে সাত কর্মদিবসের মধ্যে আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার আদেশ দেন।
হাতিয়া সার্কেলের সহাকরী পুলিশ সুপার গোলাম ফারুক জানান, আদালতের নির্দেশনা হাতে পাওয়ার পর গত শনিবার তিনি ঘটনাস্থলে গিয়েছিলেন।
মামলার আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে জানিয়ে তিনি বলেন, “আগামী দুই তিন দিনের মধ্যে আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়া হবে।”
মামলার এজাহারে ওই নারী অভিযোগ করেছেন, গত ১ জানুয়ারি স্বামীর অনুপস্থিতিতে স্থানীয় জিয়া ওরফে জিহাদ, ফারুক, এনায়েত, ভুট্টু মাঝি ও ফারুক বাহিনী ঘরে ঢুকে তাকে ‘ধর্ষণের চেষ্টা করে’। তাতে ব্যর্থ হয়ে সন্ত্রাসীরা ‘তার জামাকাপড় ছিঁড়ে মারধর করে’।
এ সময় তিনি ও তার ছেলে-মেয়েদের চিৎকারে আশপাশের লোকজন জড়ো হতে থাকলে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়।
পরে তার স্বামী এসে তাকে উদ্ধার করে শনিবার ২৫০ শয্যা নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন। হাসপাতালে দুদিন চিকিৎসা নিয়ে আদালতে গিয়ে মামলা করেন ওই নারী।
এদিকে, একটি ভিডিও ফেইসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে, বলা হচ্ছে, এটা ওই নারীকে নির্যাতনের ঘটনারই ভিডিও।
সেখানে এক নারীকে চিৎকার করতেও শোনা যায়। তবে ওই ভিডিওর সত্যতা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম স্বাধীনভাবে যাচাই করতে পারেনি।
ওই ভিডিওর বিষয়ে প্রশ্ন করলে সহকারী পুলিশ সুপার গোলাম ফারুক বলেন, “এই ভিডিও কে ফেইসবুকে পোস্ট করছে খুঁজে দেখা হচ্ছে। আর ভিডিওতে কাকে কারা নির্যাতন করছে তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।”
এর আগে নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে অপর এক নারীকে বিবস্ত্র করে নির্যাতনের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে দেশব্যাপী ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি হয়। দেশজুড়ে প্রতিবাদের মধ্যে সরকার ধর্ষণের সাজা বাড়িয়ে মৃত্যুদণ্ডের বিধান করে।