পাবনা পৌরসভা নির্বাচনে প্রশাসনের সার্বিক সহযোগিতায় সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হচ্ছে। সব প্রার্থীরা ও ভোটাররা সন্তুষ্টি প্রকাশ করছেন।
শনিবার (৩০ জানুয়ারি) সকালে সেন্ট্রাল গার্লস হাই স্কুল, আদর্শ গার্লস হাই স্কুল, আর এম একাডেমী, কৃষ্ণপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, পিটিআই স্কুল ও জেলা স্কুল কেন্দ্র ঘুরে এ চিত্র পাওয়া গেছে।
সরোজমিনে দেখা গেছে, কেন্দ্রের আশপাশে কাউকে অবস্থান করতে দিচ্ছে না পুলিশ। জটলা দেখলেই সরিয়ে দিচ্ছে তারা। ভোটার আইডি কার্ড ও স্লিপ ছাড়া কাউকে ভোট কেন্দ্রে ঢুকতে দেয়া হচ্ছে না।
ভোট দেওয়া কয়েকজন প্রতিবেদককে বলেন, প্রচার প্রচারণার সময় যে পরিমাণে আতঙ্ক ছড়ানো হয়েছে তাতে এমন ভোট গ্রহণের চিত্র আশা করা যায়নি। এছাড়াও বর্তমানে নির্বাচন পরিস্থিতিতে এমন ভোট গ্রহণের ব্যবস্থা নজিরবিহীন। আসলে প্রশাসন চাইলে অনেক কিছুই সম্ভব।
এমন কড়াকড়ির ফলে ভোটগ্রহণের শুরুতেই বাধা ও জেরার মুখে মুখে পড়েন পৌরসভার মেয়র কামরুল হাসান মিন্টু ও নৌকার এজেন্ট যুবলীগ নেতা শিবলী সাদিক। সেন্ট্রাল গার্লস হাই স্কুল কেন্দ্রের সামনে শিবলী সাদিকের কাছে এজেন্টের কার্ড চাওয়া হয়। এসময় মেয়র মিন্টু উপস্থিত হন। এসময় প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে দুইজনের কথা কাটাকাটি হয়।
নির্বাচন ঘিরে ইতোমধ্যেই উত্তাপ ছড়িয়েছে পাবনায়। বিশেষ করে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের দলীয় ও বিদ্রোহী প্রার্থীর পাল্টাপাল্টি অবস্থানের কারণে আতঙ্ক বিরাজ করছে পুরো শহরজুড়ে। ইতোমধ্যেই দুই প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে।
৩০ জানুয়ারির আলোচিত এই নির্বাচনে ৫ মেয়র প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তারা হলেন- ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী জেলা যুবলীগের আহবায়ক আলী মুতর্জা সনি বিশ্বাস (নৌকা) এবং আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী (স্বতন্ত্র) জেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি শরিফ উদ্দিন প্রধান (নারকেল গাছ), বিএনপির মনোনীত জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাবেক এডওয়ার্ড কলেজের ভিপি নূর মোহম্মদ মাসুম বগা (ধানের শীষ), জাতীয় পার্টি মনোনীত চৌধুরী মোহম্মদ মাহাবুবুল হক (লাঙ্গল) , ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ মনোনীত আবু বক্কর সিদ্দীক (হাতপাখা)।
এছাড়া জেলা যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ২০১৫ সালে নৌকার প্রার্থী মো. রকিব হাসান টিপু এবার মনোনয়ন বঞ্চিত হয়ে বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে জমা দিলেও শেষ পর্যন্ত তিনি সরে গেছেন। আর স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে জমা দেয়া পাবনা পৌর জামায়াতের সেক্রেটারি রকিব উদ্দিনের মনোনয়ন বাতিল করে নির্বাচন কমিশন।
উল্লেখ্য, পাবনা পৌরসভার ১৫টি ওয়ার্ডের ৩৯টি ভোট কেন্দ্রের ৩৪৬টি বুথে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। মোট ১ লাখ ১২ হাজার ২৪৪ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। মেয়র পদে ৫ জন, সাধারণ পুরুষ কাউন্সিলর পদে ৭৪ জন ও সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর পদে ১৭ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।