ডেস্ক নিউজ
সরকারি চাকরিজীবীরা অবসরে যাওয়ার দিন থেকে সর্Ÿোচ্চ ছয় মাস ভবিষ্যৎ তহবিল (প্রফিডেন্ট ফান্ড) সুবিধা প্রাপ্য হবেন। সরকারি কর্মচারীদের অবসরে যাওয়ার পর এবং চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের ক্ষেত্রে সাধারণ ভবিষ্যৎ তহবিল (জিপিএফ) সুবিধার বিষয়ে অস্পষ্টতা দূর করতে এই প্রজ্ঞাপন জারি করেছে অর্থ মন্ত্রণালয়।
গত মঙ্গলবার অর্থ বিভাগের সিনিয়র সহকারী সচিব (প্রবিধি অনুবিভাগ) খালেদা নাছরিন স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এ সুবিধার বিষয়ে স্পষ্ট করা হয়।
এতে বলা হয়, সরকারি কর্মচারীরা পিআরএল-এ গমনের পর কতদিন পর্যন্ত সাধারণ ভবিষ্যৎ তহবিলে (জিপিএফ) সুবিধাপ্রাপ্ত হবেন, অর্থাৎ সর্বোচ্চ কতমাস জিপিএফ-এ অর্থ জমা দিতে পারবেন ও মুনাফা প্রাপ্য হবেন, এ ছাড়া চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের ক্ষেত্রে মুনাফা প্রাপ্য হবেন কিনা এবং চুক্তিকালীন নতুন করে সাধারণ ভবিষ্যৎ তহবিলে সুযোগ রয়েছে কিনা ইত্যাদি বিষয়াদি পরিষ্কার করা হলো।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, পেনশন সহজীকরণ আদেশ, ২০২০-এর ২.০৬(ঘ) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী সরকারি কর্মকর্তা বা কর্মচারীরা অবসরে যাওয়ার পরদিন অর্থাৎ পিআরএল শুরুর দিন থেকে সর্বোচ্চ ছয় মাস পর্যন্ত ভবিষ্যৎ তহবিলের সুবিধা প্রাপ্য হবেন। অর্থাৎ সংশ্লিষ্ট কর্মচারী পিআরএল-এ গমনের পরও ছয় মাস পর্যন্ত সাধারণ ভবিষ্যৎ তহবিলে প্রচলিত হারে অর্থ জমা দিতে পারবেন। ওই সময় পর্যন্ত মোট জমার ওপর মুনাফা প্রাপ্য হবেন।
চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের ক্ষেত্রে চুক্তিভিত্তিক নিয়োজিত না হলে যে তারিখে পিআরএল শুরু হতো সে তারিখ থেকে সর্বোচ্চ ছয় মাস পর্যন্ত সাধারণ ভবিষ্যৎ তহবিলে প্রচলিত হারে অর্থ জমা দেয়া যাবে। আর মোট জমার ওপর মুনাফা প্রাপ্ত হবেন।
সেই ছয় মাস অতিবাহিত হওয়ার পর চুক্তিভিত্তিক নিয়োজিত কর্মচারী সাধারণ ভবিষ্যৎ তহবিল বিধিমালা ১৯৭৯-এর বিধি-৪ (নোট) অনুসরণে স্বেচ্ছাধীন চাঁদাদাতা হিসেবে পুনরায় নতুনভাবে ভবিষ্যৎ তহবিলে যোগদান করতে পারবেন। কিন্তু এ ক্ষেত্রে তহবিলে জমাকৃত অর্থের মুনাফা হিসাবকালে তার আগের জমাকৃত অর্থ বিবেচনা করা হবে না বলে প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে।