ডেস্ক নিউজ
মহান স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্ণ হবে আগামী ২৬ মার্চ। দীর্ঘ এই সময়ে উন্নয়নের ‘রোল মডেল’ হিসেবে স্বীকৃত বাংলাদেশের অগ্রগতি ও অর্জন বিশ্ববাসীর কাছে তুলে ধরা হবে সুবর্ণজয়ন্তীর ঐতিহাসিক অনুষ্ঠানে। স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদ্যাপনের এই বছরে জাতিসংঘ বাংলাদেশকে স্বল্পোন্নত (এলডিসি) থেকে উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদার চূড়ান্ত সুপারিশ করেছে। এই প্রাপ্তি ও অর্জন দেশের জন্য ঐতিহাসিক ঘটনা। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিসহ এবারের ঐতিহাসিক এই উৎসবে যোগ দেবেন আট দেশের রাষ্ট্রপ্রধান ও সরকারপ্রধানগণ। ওই সময় পাঁচ দেশে বিশেষ করে ভারত, ভুটান, মালদ্বীপ, শ্রীলঙ্কা ও নেপালের সঙ্গে অর্থনৈতিক সহযোগিতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সংক্রান্ত একাধিক চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করার প্রস্তুতি নিয়ে রাখা হয়েছে।
জানা গেছে, সুবর্ণজয়ন্তীর অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত বিদেশী অতিথিদের উপস্থিতিতে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অর্জন ও অগ্রগতি তুলে ধরা হবে। বিশেষ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার তিন মেয়াদে দেশের যে উন্নয়ন হয়েছে তা অকল্পনীয় ও বিস্ময়কর হিসেবে দেখছে বিশ্ববাসী। বাংলাদেশ এখন উন্নয়নের রোল মডেল। দারিদ্র্য বিমোচনে বিশ্ববাসীর দৃষ্টি আকর্ষণ করতে সমর্থ হয়েছে বাংলাদেশ। নিজস্ব অর্থায়নে স্বপ্নের পদ্মা সেতু নির্মাণসহ দেশের অবকাঠামো উন্নয়নে দ্রুত এগিয়ে চলছে বাংলাদেশ। ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে দেশের ১ কোটি মানুষের কর্মসংস্থানের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। এছাড়া রূপকল্প-২১ বাস্তবায়ন, ২০২৬ সালের মধ্যে চূড়ান্তভাবে স্বল্পোন্নত (এসডিজি) থেকে বেরিয়ে উন্নয়নশীল দেশে উত্তীর্ণ, ২০৩০ সালের মধ্যে জাতিসংঘ ঘোষিত এসডিজি অর্জন এবং ভিশন ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত রাষ্ট্রের স্বপ্ন পূরণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে সরকার। এসব লক্ষ্যমাত্রা বাস্তবায়নে সরকারের পক্ষ থেকে বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মসূচী গ্রহণ করা হয়েছে। বাস্তবায়ন করা হচ্ছে অষ্টম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা। আশা করা হচ্ছে, রূপকল্প-২১ এর মতো ভিশন-২০৪১ বাস্তবায়ন করা সম্ভব হবে।
জানা গেছে, ভারতের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের ৫০ বছর পূর্তি উদযাপন করা হবে। ভারতের পাশাপাশি ভুটান, মালদ্বীপ, শ্রীলঙ্কা ও নেপালের রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানরা সশরীরে বাংলাদেশ সফরে আসছেন। ওই সময় দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বিষয়ে আলোচনা করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর পাশাপাশি দুটি বর্ডার হাট উদ্বোধন, তিস্তার পানিচুক্তির বিষয়ে আলোচনাসহ বাণিজ্য সংক্রান্ত বেশ কয়েকটি চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর হবে নরেন্দ্র মোদির উপস্থিতিতে। ভারতের পাশাপাশি ভুটান, মালদ্বীপ, শ্রীলঙ্কা ও নেপালের সরকারপ্রধানরা সশরীরে বাংলাদেশ সফরে আসছেন। ওই সময় দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বিষয়ে আলোচনা করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এই দুই অনুষ্ঠান ঘিরে করোনা সংক্রমণ যাতে না বাড়ে সেজন্য সামাজিক দূরত্ব মেনে চলা ও মাস্ক ব্যবহারের ওপর জোর দেয়া হয়েছে। এছাড়া ভিআইপি অতিথিদের যাতায়াত নির্বিঘœ ও নিরাপদ করতে অপ্রয়োজনে ঘর থেকে নগরবাসী যেন বের না হন সেই অনুরোধও রয়েছে পুলিশের পক্ষ থেকে।
জানা গেছে, আগামীকাল ১৭ মার্চ থেকে একে একে ঢাকা আসবেন মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট ইবরাহিম মোহাম্মদ সোলিহ, শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দা রাজাপক্ষে, নেপালের প্রেসিডেন্ট বিদ্যা দেবী ভান্ডারি, ভুটানের প্রধানমন্ত্রী লোটে শেরিং ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সশরীরে না থাকলেও একই সময়ে ভিডিওবার্তায় উপস্থিতি থাকবেন চীনের প্রেসিডেন্ট, ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ও কানাডার প্রধানমন্ত্রী। প্রেসিডেন্টের বার্তা নিয়ে চীনের একজন মন্ত্রী পর্যায়ের প্রতিনিধি আসবেন ঢাকায়। জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন ১৭ মার্চ ঢাকায় আয়োজিত অনুষ্ঠানে থাকবেন মালদ্বীপের রাষ্ট্রপতি ইবরাহিম মোহাম্মদ সোলিহ। এদিন সকালে এসে পৌঁছে তিনি জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডে মুজিববর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করবেন। পাশাপাশি সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে মহান মুক্তিযুদ্ধের অমর শহীদদের প্রতি ও ধানম-ির ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু জাদুঘরে শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গেও দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন তিনি। বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বাড়ানোসহ বাংলাদেশ ও মালদ্বীপের মধ্যে বিভিন্ন ইস্যুতে একাধিক চুক্তি সই হবে। ১৮ মার্চ মধ্যরাতে ঢাকা ছাড়বেন মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট। পরদিন ১৯ মার্চ ঢাকা সফরে আসবেন শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দা রাজাপক্ষে। দুই দিনের সফরে ২০ মার্চ পর্যন্ত ঢাকা অবস্থান করবেন শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী। মাঝে একদিনের বিরতি দিয়ে ২২ মার্চ আসবেন নেপালের রাষ্ট্রপতি বিদ্যা দেবী ভান্ডারি। দুই দিনের সফর শেষে ২৩ মার্চ দেশে ফিরবেন তিনি।
জানা গেছে, মহান স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তির দিন আগামী ২৬ মার্চ আসবেন প্রতিবেশী ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ঢাকায় নানা আয়োজন শেষে ২৭ মার্চ দুই দিনের সফর শেষ করবেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। শীর্ষ নেতারা সবাই ঢাকার তেজগাঁও প্যারেড গ্রাউন্ডে ‘বঙ্গবন্ধু স্মৃতি’ বক্তৃতা দেবেন। পাশাপাশি সব নেতার সঙ্গেই দ্বিপক্ষীয় শীর্ষ বৈঠক হবে। এর মধ্যে নেপালের রাষ্ট্রপতি বিদ্যা দেবী ভান্ডারি বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন। পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক হবে শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দা রাজাপক্ষে ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির। অবশ্য ভারতের প্রধানমন্ত্রী রাজধানী ঢাকার বাইরে গোপালগঞ্জ ও সাতক্ষীরা সফর করবেন। এ প্রসঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন বলেন, পাঁচ দেশের রাষ্ট্রপ্রধান ও সরকারপ্রধান বাংলাদেশ সফরে আসছেন। তাদের সফরে স্বাধীনতা দিবস, সুবর্ণজয়ন্তী এবং বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন আরও সার্থক ও অর্থবহ হবে। স্বাধীনতার ৫০ বছরে বাংলাদেশের অর্জন অনেক। দেশবাসীর সঙ্গে সারাবিশ্বের মানুষ এটা জানবে এটা অনেক বড় আনন্দের। বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রপ্রধান ও সরকারপ্রধানের উপস্থিতিতে বেশ কয়েকটি চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক সই হতে পারে। বাংলাদেশের পক্ষ থেকে যাবতীয় প্রস্তুতি নিয়ে রাখা হয়েছে।
মোদির সফরে একাধিক চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক ॥ মহান স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর অনুষ্ঠান সামনে রেখে ভারতের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের ৫০ বছর পূর্তি উদ্যাপনের প্রস্তুতি জোরেশোরে নেয়া হচ্ছে। সুবর্ণজয়ন্তীর ওই জমকালো উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে অংশগ্রহণ করতে বাংলাদেশ সফরে আসছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তার এই সফরে দেশটির সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বাড়াতে অন্তত ছয়টি চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করা হতে পারে। এ লক্ষ্যে প্রস্তুতি নিতে শুরু করছে বাংলাদেশ। মোদির উপস্থিতিতে ব্যবসা-বাণিজ্যের ক্ষেত্রে সব ধরনের বাধা দ্রুত দূরীকরণে ‘বিজনেস রেমিডিয়াল মেজারস’ শীর্ষক একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের এজেন্ডা চূড়ান্ত করা হয়েছে। এছাড়া দুটি বর্ডার হাট উদ্বোধন এবং বৃহৎ অর্থনৈতিক অংশীদারত্ব চুক্তি (কম্প্রিহেনসিভ ইকোনমিক পার্টনারশিপ এগ্রিমেন্ট-সিপা) করার বিষয়ে আলোচনা করা হবে।
জানা গেছে, সুবর্ণজয়ন্তীর অনুষ্ঠানে এসে নরেন্দ্র মোদি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে মিলিত হবেন। ওই বৈঠকেই ভারতের সঙ্গে অন্তত ছয়টি চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করা হতে পারে। এর পাশাপাশি কোভিড-১৯ মোকাবেলায় সহযোগিতা, বাণিজ্য, যোগাযোগ, উন্নয়ন অংশীদারত্ব, বিদ্যুত, জ্বালানি ও পানিসম্পদ, আঞ্চলিক ও বহু পাক্ষিক সহযোগিতার পাশাপাশি সীমান্ত ব্যবস্থাপনা এবং নিরাপত্তা ও প্রতিরক্ষা সহযোগিতার বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হবে। এর বাইরে সফর ঘিরে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনাসহ পাঁচ-ছয়টি সমঝোতা স্মারক আলোচনার টেবিলে রয়েছে। এসব চুক্তি করা হবে। তিনি বলেন, ভারতের প্রধানমন্ত্রী ২৬ মার্চ সকালে বা দুপুরে এলে বিকেল থেকে আমাদের মূল অনুষ্ঠান হবে। বাংলাদেশ থেকে ভারতীয় পক্ষের সঙ্গে অভিন্ন নদীর পানি বণ্টন ইস্যুতে বিভিন্ন ফোরামে আলোচনা হচ্ছে। মোদির আসন্ন সফরে তিস্তার পানি বণ্টন চুক্তি নিয়ে আলোচনা হতে পারে। এর পাশাপাশি রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে ভারতকে পাশে পাওয়া, সীমান্ত হত্যা বন্ধ, ভ্যাকসিন সহযোগিতা নিশ্চিত করা, দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বাড়ানো এবং লেটার অব ক্রেডিট এলওসির আওতায় ঋণপ্রাপ্তি নিশ্চিত করার বিষয়গুলো আলোচনায় থাকছে। বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার বিক্রম কুমার দোরাইস্বামী সম্প্রতি এক অনুষ্ঠান শেষে জানিয়েছেন, ৫০ বছরের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের সঙ্গে মিল রেখেই মোদির আসন্ন এই ঢাকা সফর পরবর্তী অর্ধশতাব্দীর জন্য বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক এগিয়ে নিয়ে যাওয়াই লক্ষ্য।
বাংলাদেশের অর্জন তুলে ধরা হবে ॥ স্বাধীনতার ৫০ বছরে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক ও সামাজিক অগ্রগতির বিষয় বিশ্ববাসীর সামনে তুলে ধরা হবে। মহান স্বাধীনতার দীর্ঘ এই সময়ে স্বল্পোন্নত (এলডিসি) দেশের তালিকা থেকে বের হয়ে উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছে বাংলাদেশ। মহামারী করোনার মতো পরিস্থিতি মোকাবেলা করে বাংলাদেশ এগিয়ে চলছে। বিশ্ব দরবারে উন্নয়নের ‘রোল মডেল’ খ্যাত বাংলাদেশের এই স্বীকৃতির ফলে দেশের অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক কর্মকা- আরও দ্রুত সম্প্রসারণ হবে। দেশী-বিদেশী উদ্যোক্তারা এদেশে বিনিয়োগে এগিয়ে আসবেন। দেশের দারিদ্র্য বিমোচন ও কর্মসংস্থানে নতুন গতি সঞ্চার হবে। মাথাপিছু আয়, মানবসম্পদ, জলবায়ু ও অর্থনৈতিক ভঙ্গুরতা এই তিনটি সূচক দিয়ে একটি দেশ উন্নয়নশীল দেশ হতে পারবে কিনা, সেই যোগ্যতা নির্ধারণ করা হয়। যে কোন দুটি সূচকে যোগ্যতা অর্জন করতে হয় কিংবা মাথাপিছু আয় নির্দিষ্ট সীমার দ্বিগুণ করতে হয়। সিডিপির পরপর দুই মূল্যায়নে এসব মান অর্জন করলেই এলডিসি থেকে বের হওয়ার চূড়ান্ত সুপারিশ করা হয়। তবে চূড়ান্ত সুপারিশ পেতে আরও পাঁচ বছর লাগতে পারে। সে ক্ষেত্রে চূড়ান্ত সুপারিশ আসবে ২০২৬ সালে। তবে বাংলাদেশ চেষ্টা করছে দ্রুত করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলা করে উন্নয়নশীল দেশের কাতারে শামিল হতে। এ কারণে অর্থনীতি গতিশীল করার প্রস্তুতি নিয়েছে বাংলাদেশ। এ লক্ষ্যে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সঙ্গে পিটিএ এবং এফটিএ করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। সরকারের রাজস্ব আদায় বাড়াতে বিভিন্ন কর্মসূচী গ্রহণ করা হবে।
করোনা মোকাবেলা করে এলডিসি উত্তরণ ॥ করোনা মহামারী মোকাবেলা করে এলডিসি উত্তরণ করল বাংলাদেশ। আগামীদিনে অর্থনীতি বেগবান ও শক্তিশালী করতে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি), অর্থ মন্ত্রণালয় এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে এ বিষয়ে প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। করোনার কারণে এলডিসি উত্তরণের প্রক্রিয়া থেকে সরে আসা হয়নি। বরং এলডিসি হিসেবে যেসব সুযোগ-সুবিধা বহাল ছিল তা আগামী ১০ বছর বৃদ্ধি করে ২০৩৪ সাল পর্যন্ত দাবি করবে বাংলাদেশ। ইতোমধ্যে জাতিসংঘ, বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থাসহ অন্য আন্তর্জাতিক ফোরামে এ বিষয়ে বাংলাদেশ তাদের অবস্থান তুলে ধরছে। এলডিসি থেকে রেরিয়ে গেলেও ২০২৭ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ সুযোগ-সুবিধা পাবে। কিন্তু এজন্য বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার কাছে আপীল করার নিয়ম রয়েছে। করোনা পরিস্থিতি বিবেচনায় না নিয়েও এলডিসি উত্তরণে নানা সুবিধা হারানোর কথা বলেছে সাধারণ অর্থনীতি বিভাগ (জিইডি)।