ডেস্ক নিউজ
আজ ১৭ মার্চ তারিখে বিকেল ৪:১৫ থেকে ৫:০০টায় সেগুনবাগিচায় বিএনএফ ( বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্ট) এর কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে মুজিববর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উপলক্ষে ‘আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল’ (১৫/২০) অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন, বিএনএফ এর সেক্রেটারি জেনারেল ডঃ নজরুল ইসলাম আল-মারুফ।
সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বিএনএফ এর প্রেসিডেন্ট ও সাবেক সংসদ সদস্য এস এম আবুল কালাম আজাদ। এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন- সংগঠনের ঢাকা মহানগরের সভাপতি এ ওয়াই এম কামরুল ইসলাম, ভাইস প্রেসিডেন্ট আতিকুর রহমান নাজিম প্রমুখ।
প্রধান অতিথির বক্তৃতায় বিএনএফের সভাপতি ও সাবেক সাংসদ আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘আগামী ২৬ মার্চ স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্ন হবে। আমরা এই ৫০ বছরে বঙ্গবন্ধুর আদর্শের কি দিতে পারলাম, আর কি দিতে পারলাম না, এগুলো এখন পর্যালোচনার সময়। আমরা মনে করি, বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা নির্মাণে, কল্যাণকর রাষ্ট্র ব্যবস্থা কায়েমের মধ্য দিয়ে তার আদর্শকে উজ্জীবিত করা যাবে এবং তা পূর্ণতা পাবে। এই জন্য আমরা চাই জনকল্যাণের রাষ্ট্র এবং জনগণের গণতন্ত্র। এই লক্ষ্যে বঙ্গবন্ধু কন্যা যে লড়াই সংগ্রাম করছে, তা পূর্নতা পাক। রব্বুল আলামীন আমাদের শক্তি, সামর্থ্য দেক- আমরা যেন বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠা করতে পারি। আমরা মনে করি বিএনএফ এবং আওয়ামী লীগের মধ্যে জনগণের কল্যাণ রাষ্ট্র কায়েমের ক্ষেত্রে একটি ঐক্যের প্রয়োজন রয়েছে। আমি আশা করি সরকার প্রধান, আওয়ামী লীগ প্রধান মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বিষয়টি বিবেচনা করবেন।
তিনি আরো বলেন, দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব অক্ষুন্ন রাখতে সেনাবাহিনী, পুলিশ, আনসার, বিজিবিসহ সকলে ঐক্যবদ্ধভাবে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে কাজ করতে হবে। স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তীতে এবং প্যানডেমিক সিচুয়েশনে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী মিরাকল ঘটনা ঘটিয়েছেন যে- পাঁচজন রাষ্ট্রপ্রধান আমাদের দেশে সফর করবেন। নরেন্দ্র মোদী আসবেন, আমাদের পররাষ্ট্র মন্ত্রী বলেছে- ‘তিস্তা চুক্তি এখন সময়ের ব্যাপার’। আমরা চাইবো তিস্তা চুক্তিসহ সকল চুক্তি যেন যথাযথ সময়ে হয় এবং আমরা আশা করবো মোদির সময়েই যেন হয়। এখনই সময় সামনের দিকে এগিয়ে যাবার। এখনই সময় সরকারের সাথে ঐক্যবদ্ধ হয়ে দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রকারী, গণবিরোধী শক্তির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর।