ডেস্ক নিউজ
ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত আর্ল আর মিলার বলেছেন, মার্কিন বিনিয়োগ ও বাণিজ্য সম্প্রসারণে শিগগিরই ‘ইউএস-বাংলাদেশ বিজনেস কাউন্সিল’ চালু করা হবে। এর মাধ্যমে মার্কিন উদ্যোক্তাদের কাছে বাংলাদেশের ব্যবসা-বাণিজ্যের সম্ভাবনা তুলে ধরা হবে। এদেশের কৃষি, পর্যটন ও ইকো-ট্যুরিজম, সমুদ্র অর্থনীতি, লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং এবং অটোমোবাইল প্রভৃতি খাত বিনিয়োগের জন্য অত্যন্ত সম্ভাবনাময়। এমন প্রেক্ষাপটে বাইডেন সরকারের অধীনে বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের ব্যবসা-বাণিজ্য ও বিনিয়োগ আরও বাড়বে। গতকাল মতিঝিলের চেম্বার ভবনে ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি- ডিসিসিআই সভাপতি রিজওয়ান রাহমানের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতে এসব কথা বলেন আর্ল আর মিলার। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ডিসিসিআইর ঊর্ধ্বতন সহ-সভাপতি এন কে এ মবিন, সহ-সভাপতি মনোয়ার হোসেন, মার্কিন দূতাবাসের ইকোনমিক অ্যান্ড ইন্দো-প্যাসিফিক অ্যাফেয়ার্স ইউনিট চিফ জন ডি. ডানহাম এবং ইউএসএআইডির ইকোনমিক গ্রোথ অফিসের পরিচালক জন স্মিথ শ্রীন প্রমুখ। রাষ্ট্রদূত আর্ল আর মিলার বলেন, জন্মগতভাবেই বাংলাদেশিরা অত্যন্ত উদ্যমী ও সাহসী, যা নিজেকে অত্যন্ত আলোড়িত করে। এ দেশের উদ্যোক্তাদের সাহসী মনোভাব সামনের দিনগুলোয় বহির্বিশে^ বাণিজ্য ও পণ্যের বাজার সম্প্রসারণে কার্যকর ভূমিকা রাখবে। তিনি বলেন, ২০১৯ সালে বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যকার দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যের পরিমাণ ৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে উন্নীত হয়েছে এবং আগামীতে তা আরও বাড়বে। তবে বিনিয়োগ আকর্ষণে ব্যবসা পরিচালনার সূচকে বাংলাদেশের অবস্থানের উন্নয়ন খুবই জরুরি। সেই সঙ্গে বিশেষ করে সমুদ্রবন্দরগুলোর সক্ষমতা বাড়ানোর ওপর জোর দিতে হবে।
ডিসিসিআই সভাপতি রিজওয়ান রাহমান বলেন, বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাতের রপ্তানিকারকরা পণ্য জাহাজিকরণের ক্ষেত্রে ১৫ দশমিক ৬২ শতাংশ শুল্ক দেন যেটি যুক্তরাষ্ট্রে অন্য রপ্তানিকারকদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি। এ ধরনের উচ্চ শুল্কহার আমাদের তৈরি পোশাক খাতের টেকসই উন্নয়নকে ব্যাহত করছে এবং আমরা বৈশি^ক প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে পড়ছি। মার্কিন বাজারে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাতের পাশাপাশি পাদুকা ও ডেইরি পণ্যের শুল্ক ও কোটামুক্ত সুবিধা প্রয়োজন। তিনি মার্কিন বিনিয়োগকারীদের তৈরি পোশাক, মেডিকেল যন্ত্রপাতি, অটোমোবাইল, খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ এবং তথ্য-প্রযুক্তি প্রভৃতি খাতে বাংলাদেশে বিনিয়োগের প্রস্তাব করেন।