ডেস্ক নিউজ
করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে চলছে লকডাউন। বিধি-নিষেধের প্রথম দিনে ঘর থেকে মানুষের বাইরে আসার প্রবণতা কম ছিল। তবে অনেক মসজিদে দূরত্ব রজায় রেখে নামাজ আদায় করতে দেখা গেছে।
ইমামরা বলছেন, মুসল্লিদের অনুরোধ জানালেও তারা এ নির্দেশনা মানতে নারাজ। তবে মসজিদে দূরত্ব বজায় রেখে নামাজ আদায় করছেন তারা।
বুধবার মাগরিবের নামাজের পরে রাজধানীর মিরপুর এলাকার একাধিক মসজিদ ঘুরে এমন চিত্র দেখা যায়।
এ বিষয়ে ‘মসজিদুল ফারুক’ এর মোয়াজ্জেম বলেন, মুসল্লিদের অনেক বুঝিয়েছি, চেষ্টা করেছি তারা যেন সরকারের বিধি-নিষেধ মানেন। কিন্তু তার শুনতে চান না। মসজিদের গেটে সরকারের নির্দেশনা টানিয়ে দেওয়া হয়েছে। এরপর মুসল্লিরা কোনো কথা শুনতে চান না। তবে যারা আসছেন তারা দূরত্ব বজায় রেখে নামাজ আদায় করছেন। মসজিদ কমিটির সদস্যরা মুসল্লিদের বোঝানোর চেষ্টা করেছেন। কিন্তু তারা কোনো কথা মানতে চায় না। যতটা সম্ভব দূরত্ব বজায় রেখে নামাজ আদায় করা হচ্ছে।
বাইতুর রহমান জামে মসজিদের পেশ ইমাম বলেন, কোনোভাবেই মুসল্লিদের বোঝানো যাচ্ছে না, তারা নামাজ পড়তে চলে আসেন। মসজিদে ২০ জনের বেশি নামাজ আদায় করলেও দূরত্ব বজায় রেখেই নামাজ আদায় করা হচ্ছে। মসজিদ কমিটির সদস্যরা মুসল্লিদের বোঝানোর চেষ্টা করেছেন, কিন্তু তারা কথা শুনতে নারাজ।
তারাবির নামাজ পড়তে আসা এক মুসল্লি বলেন, আমি দীর্ঘদিন যাবত জামাতে তারাবির নামাজ আদায় করছি। সরকারের নির্দেশনা মানবো। কিন্তু মসজিদে যে আগে প্রবেশ করবে তাকে নামাজ আদায় করতে সুযোগ দিতে হবে। লকডাউনে গার্মেন্টস ও ব্যাংক খোলা থাকতে পারে। মসজিদে মুসল্লিদের নামাজ আদায় বিধি-নিষেধ কেন? তিন ফিট দূরত্ব বজায় রেখেই মসজিদে নামাজ আদায় করার নির্দেশনা দিলেই হয়।