ডেস্ক নিউজ
কৃষকের ঋণগ্রহণ সহজ করতে কৃষি ও পল্লী ঋণের সুদের ঊর্ধ্বসীমা ৯ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৮ শতাংশে নির্ধারণ করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। চল?তি বছ?রের ১ এপ্রিল থেকে এটি কার্যকর হবে। অর্থাৎ এখন থেকে ব্যাংকগুলো কৃষি ঋণের ক্ষেত্রে ৮ শতাংশের বেশি সুদ নিতে পারবে না।
গতকাল বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ এ সংক্রান্ত একটি নির্দেশনা জারি করেছে। এতে বলা হয়, করোনায় অন্যান্য খাতের মতো কৃষি খাতও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ পরিপ্রেক্ষিতে কৃষি খাতে স্বল্প সুদে ঋণ সরবরাহ নিশ্চিত করে কৃষকদের স্বাভাবিক উৎপাদনশীল কার্যক্রমে ফিরিয়ে আনাসহ কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধিতে ওই খাতে ঋণ/বিনিয়োগের সুদ/মুনাফা হার হ্রাস করা প্রয়োজন।
আরও বলা হ?য়ে?ছে- কৃষি বাংলাদেশের অর্থনীতির একটি গুরুত্বপূর্ণ খাত। কৃষির উন্নয়নের সঙ্গে বাংলাদেশের বিপুল জনসংখ্যার খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণসহ অর্থনৈতিক উন্নয়ন প্রত্যক্ষভাবে জড়িত। তাই বাংলাদেশ সরকার খাদ্য নিরাপত্তা ও পুষ্টি নিশ্চিতকরণ, দারিদ্র্য বিমোচন ও কর্মসংস্থান সৃষ্টির উদ্দেশ্যে কৃষি উন্নয়নকে অগ্রাধিকার দিচ্ছে। ২০২০ সাল থেকে বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও কোভিড ১৯-এর প্রাদুর্ভাব দেখা দেওয়ায় দেশের স্বাভাবিক অর্থনৈতিক কর্মকা- বিঘিœত হচ্ছে। কৃষি খাতও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
এসব বি?বেচনায় জাতীয় অর্থনীতিতে কৃষি খাতের অবদান বিবেচনায় কৃষি খাতে স্বল্প সুদে ঋণ সরবরাহ নিশ্চিত করে কৃষকদের স্বাভাবিক উৎপাদনশীল কার্যক্রমে ফিরিয়ে আনাসহ কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধিতে অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত খাত হিসেবে কৃষি ও পল্লী ঋণের সুদ সর্বোচ্চ ৯ শতাংশের পরিবর্তে সর্বোচ্চ ৮ শতাংশ পুনর্নির্ধারণ করা হলো।
প্রসঙ্গত চার বছর আগে ২০১৭ সালের ২২ জুন বাংলাদেশ ব্যাংক কৃষি ও পল্লী ঋণের সুদের ঊর্ধ্বসীমা ১০ থেকে কমিয়ে ৯ শতাংশে নির্ধারণ করেছিল।