ডেস্ক নিউজ
বৈশ্বিক মহামারী করোনা ভাইরাস সংক্রমণ মোকাবিলায় দ্বিতীয় ধাপে সরকার ঘোষিত লকডাউন চলছে। এর ফলে বিগত বছরের মতো এবারও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে জেলায়-উপজেলায় কৃষকদের ধান কেটে দিচ্ছেন সরকারি দলের নেতাকর্মীরা।
কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে গতকাল তিন কৃষকের পাকা ধান কেটে বাড়িতে পৌঁছে দিয়েছেন উপজেলা যুবলীগের নেতাকর্মীরা। উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক ও পৌরসভার মেয়র মো. জুয়েল আহমেদসহ জেলা ও উপজেলার শতাধিক যুবলীগ নেতাকর্মী বর্গাচাষি সৈয়দ আজাদ আলী, শহীদ মিয়া ও ফারুক মিয়ার ৯০ শতাংশ জমির পাকা বোরো ধান কেটে বাড়িতে পৌঁছে দিলেন। ধান কাটায় অন্যদের মধ্যে যুক্ত ছিলেন মৌলভীবাজার জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ রেজাউর রহমান সুমন, সাংগঠনিক সম্পাদক কয়ছর আহমদ, উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক আবদুল মালিক বাবুল, সায়েক আহমেদ, সদস্য আলাল মিয়া, জহিরুল ইসলাম নান্নু, সাইফুল ইসলাম প্রমুখ।
সৈয়দ রেজাউর রহমান সুমন বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে ও কেন্দ্রীয় যুবলীগের দেশব্যাপী ধান কেটে দেওয়ার অংশ হিসেবে প্রথম কমলগঞ্জ উপজেলার কৃষকের ধান কেটে বাড়িতে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। এতে একজন কৃষকের সময় ও টাকা দুটোই বাঁচল।
এদিকে স্বেচ্ছাসেবক লীগ মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগরের আড়িয়াল বিলে এক কৃষকের জমির পাকা ধান কেটে দেয়। গতকাল শুক্রবার সকালে কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি বাবু নির্মল রঞ্জন গুহ ও সাধারণ সম্পাদক আফজালুর রহমান বাবুর নেতৃত্বে শ্রীনগরের গাদিঘাট এলাকার অসহায় কৃষক আবুল ব্যাপারীর জমির পাকা ধান কাটা হয়। এ সময় অন্যদের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় সহসভাপতি কাজী শহীদুল্লাহ লিটন, মহিলাবিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট সালমা হাই টুনী, শ্রীনগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হাজি মো. তোফাজ্জল হোসেন, মুন্সীগঞ্জ জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি আল মাহমুদ বাবু, সাধারণ সম্পাদক তাজুল ইসলাম পিন্টু, শ্রীনগর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি জহিরুল হক নিশাত শিকদার, সাধারণ সম্পাদক হামিদুল্লাহ খান মুন, শ্রমিক লীগের সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম জিকুসহ দলীয় নেতাকর্মীরা।