ডেস্ক নিউজ
আদালতে সরাসরি উপস্থিতি ছাড়াই বন্দিদের কারাগারে রেখেই ভার্চুয়ালি শুনানির মাধ্যমে নিম্ন আদালত থেকে গত ১৩ কার্যদিবসে প্রায় ২৩ হাজার বন্দিকে জামিন দিয়েছেন নিম্ন আদালত। জামিন পাওয়াদের মধ্যে ২৮৯টি শিশুও রয়েছে। এ সময় প্রায় ৪২ হাজার জামিনের আবেদন নিষ্পত্তি করে এই জামিন মঞ্জুর করা হয়।
জামিন পাওয়া এসব শিশু ও ব্যক্তিরা কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছেন। মুক্তিপ্রাপ্তরা সবাই কয়েদি। তাদের মামলায় এখনো সাজা হয়নি। সুপ্রিম কোর্টের বিশেষ কর্মকর্তা মোহাম্মদ সাইফুর রহমান সূত্রে শুক্রবার এ তথ্য পাওয়া গেছে।
প্রাপ্ত তথ্যানুযায়ী, গত ১২ এপ্রিল থেকে আসামিদের কারাগারে রেখেই ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ভার্চুয়ালি জামিন শুনানি চলছে। এর পর থেকে ২৯ এপ্রিল বৃহস্পতিবার পর্যন্ত মোট ১৩ কার্যদিবসে নিম্ন আদালতে জামিন আবেদনের ওপর শুনানি হয়। এ সময় পর্যন্ত মোট ৪১ হাজার ৯২০টি জামিন আবেদনের ওপর শুনানি শেষে তা নিষ্পত্তি করা হয়। এসব জামিন আবেদনে মোট ২২ হাজার ৮৭৩ জনের জামিন মঞ্জুর করা হয়।
সুপ্রিম কোর্টের হিসাব অনুযায়ী, ১২ এপ্রিল ১৬০৪ জন, ১৩ এপ্রিল ৩২৪০ জন, ১৫ এপ্রিল ২৩৬০ জন, ১৮ এপ্রিল ১৮৪২ জন, ১৯ এপ্রিল ১৬৩৫ জন, ২০ এপ্রিল ১৫৭৬ জন, ২১ এপ্রিল ১৩৪৯ জন, ২২ এপ্রিল ১৫৯২ জন, ২৫ এপ্রিল ১৮৩৯ জন, ২৬ এপ্রিল ১৫৯৩ জন, ২৭ এপ্রিল ১৩৯৫ জন, ২৮ এপ্রিল ১৪২২ জন এবং ২৯ এপ্রিল ১৪১২ জনকে জামিনে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া এ সময়ে ২৮৯টি শিশুকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। সব মিলে ২২৮৭৩ জনকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।
করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ার প্রেক্ষাপটে গত ৫ এপ্রিল থেকে সারা দেশে নিম্ন আদালতে স্বাভাবিক বিচারকাজ বন্ধ ঘোষণা করে সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন। পরবর্তী সময়ে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নির্দেশে গত ১২ এপ্রিল সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন পৃথক এক আদেশে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত আসামিদের কারাগারে রেখেই ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ভার্চুয়ালি জামিন ও রিমান্ড শুনানি করতে দেশের সব অধস্তন আদালত ও ট্রাইব্যুনালের বিচারকদের প্রতি নির্দেশ দেওয়া হয়। এ নির্দেশের পরপরই সেদিন (১২ এপ্রিল) থেকেই ভার্চুয়ালি জামিন আবেদনের শুনানি শুরু হয়েছে।