নাটোরের নলডাঙ্গা থানায় সাংবাদিক মামুনুর রশিদের বিরুদ্ধে ৯২ হাজার টাকা চাঁদাবাজির লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে স্থানীয় ডিএফ ডাঃ মাসুদ রানা। উপজেলার বিলপাড়া গ্রামের মৃত ডাঃ রেজাউল করিমের ছেলে বাদী ডাঃ মাসুদ রানার শাশ্বড়ীর একটি পুরানো পুকুর সংস্কার করার অনুমতির জন্য ঘুষ হিসেবে ২৫ হাজার টাকা করে মোট ৭৫ হাজার টাকা নলডাঙ্গা ইউএনও ,থানার ওসি ও উপজেলা ভূমি কমিশনার কার্যালয়ে দেওয়ার কথা বলে চাঁদা নিয়েছে। এছাড়া নিজের জন্য ১৫ হাজার টাকা ও দুই সাংবাদিক কে ২ হাজার টাকাসহ মোট ৯২ হাজার টাকা চাঁদা নিয়েছে।
এ অভিযোগ এনে রবিবার দুপুরে নলডাঙ্গা থানায় লিখিত এজাহার দায়ের করা হয়েছে। সাংবাদি মামুনুর রশিদ খোলাবাড়িয়া গ্রামের আব্দুল গফুরের ছেলে ও দৈনিক আজকালের খবর এর প্রতিনিধি। নলডাঙ্গা থানায় দায়ের করা এহাজার সূত্রে জানা যায়,গত চলতি বছরের ২৭ ফেব্রুয়ারী উপজেলার বিলপাড়া গ্রামের ডাঃ মাসুদ রানা তার শাশ্বড়ী মোছাঃ জুলেখা বেগমের একটি পুরানো পুকুর সংস্কারের জন্য সাংবাদিক মামুনুর রশিদের সাথে যোগাযোগ করেন। সাংবাদিক মামুনুর রশিদ নলডাঙ্গা থানা পুলিশ,ইউএনও ও উপজেলা সহকারী ভূমি কমিশনারের কাছ থেকে অনুমতির নিয়ে দিবে বলে ২৫ হাজার টাকা করে তিন প্রশাসনিক কর্মকর্তার জন্য মোট ৭৫ হাজার টাকা বাদী ডাঃ মাসুদ রানার কাছ থেকে চাঁদা আদায় করে। এছাড়া নিজের জন্য ১৫ হাজার টাকা ও দুই সাংবাদিককে ২ হাজার টাকাসহ মোট ৯২ হাজার টাকা চাঁদা নিয়েছে। তিনি নলডাঙ্গা সাংবাদিক ফোরাম অফিসে বসে এসব চাঁদার টাকা আদায় করেন। পরে বাদীর ডাঃ মাসুদ রানার শাশ্বাড়ী পুরানো পুকুর সংস্কারের জন্য ভাড়া করা ভেকু দিয়ে কাজ শুরু করে। কাজ শুরুর পরপরই থানা পুলিশ গিয়ে ভেকুর চাবী জব্দ করে নিয়ে পুকুর সংস্কারের কাজ বন্ধ করে দেয়। পরে বাদী সাংবাদিক মামুনুর রশিদের কাছে চাঁদার টাকা ফেরত চাইলে প্রথম বার ১০ হাজার টাকা এর কয়েকদিন পর আরোও ৫ হাজার টাকা ফেরত দেয়।বাকী টাকা ফেরত চাইলে খরচ হয়েছে বলে বিভিন্ন ভাবে বাদী ডাঃ মাসুদ রানার হাত পা ভেঙ্গে গুম করে দেওয়ার হুমকি দেয়।
এ অবস্থায় রবিবার (৯ মে) ডাঃ মাসুদ রানা বাদী হয়ে কথিত সাংবাদিক মামুনুর রশিদের বিরুদ্ধে প্রশাসনের নাম ভাঙ্গিয়ে ৯২ হাজার টাকা চাঁদাবাজির অভিযোগ এনে নলডাঙ্গা থানায় এজাহার দায়ের করেন। এ ব্যাপারে নলডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম জানান, এই ঘটনায় একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তবে এখনও অভিযোগটি নথিভুক্ত করা হয়নি। তদন্ত করে সত্যতা পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।