নাটোরের নলডাঙ্গার মরা আত্রাই নদী থেকে অবৈধভাবে ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলন করছে একটি প্রভাবশালী মহল। উপজেলার খাজুরা ফকির পাড়া এলাকা থেকে বালু উত্তোলন করায় হুমকির মুখে পড়েছে ফসলি জমি,বসতবাড়ি ও মসজিদ। ফসলি জমি ও বসতবাড়ি রক্ষার্থে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন বন্ধে প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন এলাকাবাসী।
সরেজমিন গিয়ে জানা যায়,উপজেলা খাজুরা ফকির পাড়া এলাকায় একই স্থানে গত গত ৩-৪ বছর ধরে ধরে বিট বালু উত্তোলন করছেন আত্রাই উপজেলার বড়ভিটার আহাদী। আর এড্রেজার মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলনে সহযোগিতা করছেন রাজ্জাগ মাষ্টার সালাম ফকির ও কপিল উদ্দিন ও বেলাল হোসেন।ড্রেজার মেশিন দিয়ে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত গভীর থেকে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। এছাড়া আত্রাই নদীর উপর ব্রীজের কাছে আরোও দুটি ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলনের প্রস্ততি নিচ্ছে প্রভাবশালীরা। আর এতে হুমকির মুখে পড়েছে কোটি টাকার ব্রিজ।পানির তলদেশ থেকে বালু উত্তোলন করায় হুমকির মুখে পড়েছে ফসলি জমি,বসতবাড়ি ও মসজিদ। ৩-৪ বছর ধরে এখান থেকে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। অবৈধভাবে বালু উত্তোলনে নিষেধ করায় উল্টো এলাকাবাসীকে হুমকি দেয়া হচ্ছে। ভুক্তভোগি বেলাল হোসেন বলেন, খাজুরার ফকিরপাড়া মরা আত্রাই নদী থেকে অবৈধভাবে ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলন করায় তার দুই বিঘা ফসলি জমি হুমকির পড়েছে। এখান থেকে ৩-৪ বছর ধরে বালু উত্তোলন করায় তার ফসলি জমি নদীগর্ভে বিলিন হওয়ার আশংখা করছেন তিনি। ফকির পাড়ার ভুক্তভোগি মর্শিদা সরজান, সনেকা ও আব্দুর রশিদ, জানান, বালু উত্তোলন করায় তাদের বসত বাড়ির আশেপাশে ভেঙ্গে ধসে পড়ছে। এ অবস্থায় তারা পরিবার নিয়ে চরম আতংকে রয়েছেন। অবৈধভাবে বালু উত্তোলন নিষেধ করায় তাদের মারধরের হুমকি দিচ্ছে। বালু উত্তোলন বন্ধ করার জন্য তারা বেশ কয়েক বার বাধা দিয়েছেন কিন্তু কোনো কাজ হয়নি। বালু উত্তোলনকারী আহাদী ও সহযোগিতাকারী আব্দুর রাজ্জাক মাষ্টার বলেন, এলাকাবাসীর স্বার্থে নদী থেকে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে।সেই বালু দিয়ে একটি নতুন মসজিদ নির্মাণ কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে। নলডাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, নদী থেকে বালু উত্তোলনে কাউকে অনুমতি দেওয়া হয়নি। বিষয়টি জানার পর ভুমি অফিসের তহশীলদারকে বালু উত্তোলন বন্ধে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।