ডেস্ক নিউজ
আগামী ১৯ জুন থেকে দেশে চীনের সিনোফার্ম ও বেলজিয়ামের তৈরি ফাইজারের টিকাদান শুরু হবে। স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক সোমবার সাংবাদিকদের কাছে এ কথা বলেন। মায়ের মৃত্যুতে মহাখালীতে এক দোয়া মাহফিলে অংশ নেন জাহিদ মালেক। পরে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি।
বাংলাদেশকে মোট ১১ লাখ ডোজ সিনোফার্মের টিকা উপহার দিয়েছে চীন। এর মধ্যে ৩০ হাজার ডোজ এ দেশে কর্মরত নিজেদের কর্মীদের জন্য নিয়েছে চীন। বাকি ১০ লাখ ৭০ হাজার ডোজ টিকা দেশের ৫ লাখ ৩৫ হাজার মানুষকে দেয়া যাবে। এ ছাড়া ফাইজারের এক লাখ ৬ হাজার ডোজ টিকা এসেছে বৈশ্বিক টিকা বিতরণ সংস্থা কোভ্যাক্সের মাধ্যমে। কোভ্যাক্স বাংলাদেশকে মোট এক কোটি ডোজ টিকা দেবে। শীঘ্রই অক্সফোর্ড-এ্যাস্ট্রাজেনেকার ১০ লাখ ৮০০ ডোজ টিকা দেশে আসবে।
এদিকে চীনের সিনোফার্মের সঙ্গে এক কোটি ডোজ টিকা কেনার বিষয়ে চীনের সঙ্গে বাংলাদেশ সরকারের চুক্তি প্রায় চ‚ড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম জানান, যারা ইতোমধ্যেই টিকার প্রথম ডোজের জন্য নিবন্ধন করেছিলেন, কিন্তু প্রথম ডোজ পাননি তাদের এ টিকা দেয়া হবে। একইসঙ্গে এর আগে যারা নিবন্ধন করে টিকা নেয়ার জন্য অধিদফতর থেকে এসএমএস পেয়েও টিকা নেননি, তাদের আবার এসএমএস দেয়া হবে। তারাই টিকা পাবেন।
ফাইজারের টিকা বেশি সংবেদনশীল বলে ঢাকার সব টিকাদান কেন্দ্রে এ টিকা দেয়া যাবে না বলে এর আগে জানিয়েছিল স্বাস্থ্য অধিদফতর। আর বিশেষ এই টিকার জন্য রাজধানীর জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়, কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল ও গ্যাস্ট্রোলিভার হাসপাতালকে নির্ধারিত করা হয়েছে। দেশে বর্তমানে কোভিশিল্ড টিকার রেজিস্ট্রেশন বন্ধ রয়েছে। কবে নাগাদ চালু হবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, টিকা সরবরাহ পর্যাপ্ত হলে রেজিস্ট্রেশন শুরু হবে।
গত ২৫ মে প্রথমবারের মতো সিনোফার্মের টিকা দেশের চারটি মেডিক্যাল কলেজের মোট ১ হাজার শিক্ষার্থীদের ওপর প্রয়োগ করা হয়। কোন শিক্ষার্থীর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা যায়নি।
অক্সফোর্ড-এ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকার মজুদ প্রায় শেষ হওয়ার কারণে দেশের বেশিরভাগ কেন্দ্রেই দ্বিতীয় ডোজের টিকা প্রদান বন্ধ রয়েছে। এ্যাস্ট্রাজেনেকার ঘাটতি টিকা মেটাতে সরকার এখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ উন্নত বিশ্বের দেশগুলোতে ক‚টনৈতিক তৎপরতা অব্যাহত রেখেছে।