ডেস্ক নিউজ
জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনে বিশ্বের যে তিনটি দেশ সবচেয়ে এগিয়ে আছে, তার মধ্যে সবার ওপরে বাংলাদেশ। জাতিসংঘের সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট সলিউশনস নেটওয়ার্কের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে। গতকাল সোমবার এ প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়।
এসডিজি অর্জনে এগিয়ে থাকা বাকি দুটি দেশ হলো আফগানিস্তান ও আইভরি কোস্ট। ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া কোভিড-১৯ মহামারির কারণে এসব উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জন বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। ২০১৫ সালে এসডিজি গৃহীত হওয়ার পর এই প্রথম এর সূচকের স্কোর আগের বছরের চেয়ে কমে গেছে। এর কারণ হলো কোভিড মহামারির কারণে বিশ্বব্যাপী দারিদ্র্য বেড়ে যাওয়া এবং বেকারত্ব বৃদ্ধি।
এবারের এসডিজি সূচকে বিশ্বের ১৬৫টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ১০৯তম। চার বছর আগে অর্থাৎ ২০১৭ সালের সূচকে ১৫৭টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশ ছিল ১২০তম অবস্থানে। ২০১৫ সালের পর থেকে এসডিজি সূচকে স্কোরের দিক দিয়ে সবচেয়ে বেশি এগিয়েছে বাংলাদেশ, আইভরি কোস্ট এবং আফগানিস্তান।
প্রতিবেদনে বলা হয়, আর্থিক দৈন্যের কারণে স্বল্পোন্নত দেশগুলো (এলআইডিসি) মহামারির সংকট কাটিয়ে উঠতে পারছে না। অন্যদিকে উন্নত দেশগুলো অঢেল অর্থ ব্যয় করে দ্রুত এই সংকট থেকে বের হয়ে আসছে। সব মিলিয়ে কম আয়ের দেশগুলো কঠিন সময়ের মুখোমুখি হয়েছে।
এর মধ্যেও বাংলাদেশ, আইভরি কোস্ট এবং আফগানিস্তান জাতিসংঘ ঘোষিত এসডিজি বাস্তবায়নে ভালো করছে বলে উল্লেখ করে প্রতিবেদনে বলা হয়, অন্য অঞ্চলের দেশগুলোর চেয়ে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলো এসডিজি বাস্তবায়নে ভালো করেছে। এর মধ্যে সবার ওপরে রয়েছে বাংলাদেশ। এরপর আইভরি কোস্ট ও আফগানিস্তান।
২০৩০ সালকে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) পূরণের সময়সীমা ধরে নেয়া হয়েছে। ২০১৬ সালের জানুয়ারি থেকে এর কার্যক্রম শুরু। এখানে লক্ষ্যমাত্রা আছে ১৭টি। সেগুলো হচ্ছে, দারিদ্র্য বিমোচন ও ক্ষুধামুক্তি, খাদ্যনিরাপত্তা ও উন্নত পুষ্টির লক্ষ্য অর্জন, টেকসই কৃষিব্যবস্থা, স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন নিশ্চিত করা, সব বয়সের সবার কল্যাণে কাজ করে যাওয়া, অন্তর্ভুক্তি ও সমতাভিত্তিক মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করা, আজীবন শিক্ষার সুযোগ তৈরি করা, লিঙ্গসমতা অর্জন, নারীর ক্ষমতায়ন ইত্যাদি।