ডেস্ক নিউজ
করোনভাইরাস মহামারী মোকাবেলায় বাংলাদেশকে সহযোগিতা অব্যাহত রাখার আশ্বাস দিয়েছেন ঢাকায় চীনা রাষ্ট্রদূত লি জিমিং।
চীনা টিকা সরবরাহ ঠিক রাখতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করার কথা জানিয়ে বুধবার এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, ইতোমধ্যে বাংলাদেশে সিনোফার্মের ১১ লাখ টিকা এসে পৌঁছেছে।
”বিপদের বন্ধু প্রকৃত বন্ধু। অভ্যন্তরীণ বাজার ও আন্তর্জাতিক বাজারে ব্যাপক চাহিদার মধ্যেও বাংলাদেশি বন্ধুদের সহযোগিতার সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে চীন সরকার ও জনগণ।”
হাইব্রিড ধানের জনক চীনা অধ্যাপক ইউয়ান লংপিং স্মরণে বাংলাদেশ সিড অ্যাসোসিয়েশন (বিএসএ) আয়োজিত ভার্চুয়াল সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন রাষ্ট্রদূত জিমিং।
তিনি বলেন, “বাংলাদেশ ও চীন সবসময় একসঙ্গে কাজ করেছে; সেটা হাইব্রিড ধানের ক্ষেত্র থেকে শুরু করে করোনাভাইরাস মোকাবেলার ক্ষেত্রেও। ইতোমধ্যে, বিপুল পরিমাণ মেডিকেল সরঞ্জাম দিয়ে আমরা একে অপরকে সহযোগিতা করেছি।”
বিএসএ এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, হাইব্রিড জাতের ধানের উদ্ভাবক বিজ্ঞানী লংপিং সারা বিশ্বের ক্ষুধামুক্তি ও দারিদ্র বিমোচনসহ আর্থসামাজিক উন্নয়নে অবদান রেখেছেন। ৯১ বছর বয়সে গত ২২ মে চীনের হুনান প্রদেশের একটি হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন তিনি।
তার অবদান স্মরণ করে রাষ্ট্রদূত জিমিং বলেন, চীন ও বিশ্বের খাদ্য নিরাপত্তায় ইউয়ান লংপিংয়ের অবদান অবিস্মরণীয়। ১৯৫০ সালে চীনে মাত্র ৭ মিলিয়ন টন চাল উৎপাদন হতে। হাইব্রিড জাত উদ্ভাবনের পর ৫ দশকের ব্যবধানে সেটি ৫ গুণ বেড়েছে।
”চীনের অর্ধেকের বেশি জমিতে এখন হাইব্রিড ধানের আবাদ হচ্ছে। মোট চাল উৎপাদনের প্রায় ৬০ শতাংশই হাইব্রিড। চীনে এখন ৮০ লাখ হেক্টর জমিতে হাইব্রিড ধানের আবাদ হচ্ছে। বৈশ্বিক খাদ্য নিরাপত্তা ও দারিদ্র বিমোচনে তার অবদান অবিস্মরনীয়।”
বিএসএ সভাপতি ও এফবিসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি আবদুল আউয়াল মিন্টুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বিএসএ সাধারণ সম্পাদক এফ আর মালিক, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক লুৎফুল হাসান, শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক শহীদুর রশীদ ভূঁইয়া বক্তব্য দেন।