ডেস্ক নিউজ
অনলাইন কেনাকাটায় এখন থেকে পণ্য বুঝে পাওয়ার পর সব ইকমার্সের টাকা পরিশোধ করবে গ্রাহক। বৃহস্পতিবার এক বৈঠকের পর এমন সিদ্ধান্তের কথা জানায় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (মহাপরিচালক, ডব্লিউটিও সেল) মো. হাফিজুর রহমান বলেন, ‘ই-কমার্স বিষয়ে আমরা আজকে (বৃহস্পতিবার) একটি বৈঠক করেছি। ওই বৈঠকে ইক্যাবের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও বেসিসের প্রতিনিধিও ছিল। বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে, গ্রাহক পণ্য বুঝে পাওয়ার আগে কোনো পেমেন্ট হবে না। পণ্য বুঝে পাওয়ার পরেই গ্রাহক টাকা পরিশোধ করবে। এ নিয়ম দেশের সব ই-কমার্সের জন্য প্রযোজ্য।’
তিনি আরো বলেন, আমরা আগামী রবিবার এ সুপারিশ বাংলাদেশ ব্যাংককে পাঠাবো। বাংলাদেশ ব্যাংক এটা বাস্তবায়ন করবে।
ই-ভ্যালির ওপর বাংলাদেশ ব্যাংকের তৈরি পরিদর্শন প্রতিবেদন নিয়ে আলোচনা হয় বৈঠকে।
বৈঠক শেষে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব হাফিজুর রহমান আরো বলেন, গ্রাহকরা যেন ডেবিট বা ক্রেডিট কার্ড, বিকাশ বা নগদের মতো মাধ্যম ব্যবহার করে কেনাকাটা করেন। তারা যেন আগাম নগদ অর্থ পরিশোধ না করেন।
বৈঠকের পর ই–কমার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি শমী কায়সার বলেন, এক-দুটি প্রতিষ্ঠানের জন্য ই-কমার্স খাত ক্ষতিগ্রস্ত হবে, এটা কারও কাম্য নয়। ভোক্তা ও বিক্রেতা উভয়ের স্বার্থের জন্য এ খাতে স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিউর বা পরিচালন নির্দেশিকা দরকার। এ ছাড়া পেমেন্টের নিরাপত্তার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের তদারকি প্রয়োজন। নীতিমালা হওয়ার পর ডিজিটাল কমার্স আইনের দিকেও যেতে হবে।
ই-ভ্যালি নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, তারা বিপুল ছাড় দিয়ে লোকসানে পণ্য বিক্রি করছে। যে কারণে দেশের ই-কমার্স ব্যবসায় অসুস্থ প্রতিযোগিতা তৈরি হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এতে ভালো ও সৎ ই-কমার্স ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্ত হবেন এবং ভবিষ্যতে এ খাতের প্রতি মানুষের আস্থা নষ্ট হবে।
বৈঠকে বাংলাদেশ ব্যাংক, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর), তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি বিভাগ ও ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ইক্যাব) প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।