ডেস্ক নিউজ
মুজিববর্ষ উপলক্ষে দেশের সব ভূমিহীন ও গৃহহীন মানুষকে পুনর্বাসনের উদ্যোগ নেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা।
দেশের একজন মানুষও গৃহহীন থাকবে না- প্রধানমন্ত্রীর এই ঘোষণা বাস্তবায়নের জন্য ২০২০ সালের মে মাসে ‘ভূমিহীন ও গৃহহীনদের জন্য গৃহপ্রদান নীতিমালা’ প্রণয়ন করে করে সরকার।
এর আওতায়, ভূমিহীন ও গৃহহীন ২ লাখ ৯৩ হাজার ৩৬১টি পরিবার; এবং জমি আছে ঘর নাই- এরকম ৫ লাখ ৯২ হাজার ২৬১টি পরিবারকে বাড়ি তৈরি করে দেওয়ার কাজ শুরু হয়।
মোট ৮ লাখ ৮৫ হাজার ৬২২টি হতদরিদ্র পরিবারের জন্য, দুই শতক করে জমি বন্দোবস্ত এবং দুই কক্ষ বিশিষ্ট সেমি-পাকা গৃহ নির্মাণের কাজ শুরু হয়- ২০২০ সালের ডিসেম্বর থেকে।
সরকারের আন্তরিক উদ্যোগে, ইতোমধ্যে, ১ লাখ ১৮ হাজার ৩৮০টি হতদরিদ্র পরিবারের হাতে তাদের জমি ও বাড়ি হস্তান্তর করা হয়েছে।
শুধু তাই নয়, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে, দুস্থদের হাতে বাড়িগুলোর হস্তান্তরের পরও, সেগুলোর ব্যাপারে জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনের মাধ্যমে খোঁজ রাখছে সরকার।
যার ফলে, লক্ষাধিক নবনির্মিত বাড়ির মধ্যে ৩০০টিতে ছোটখাট ত্রুটির অভিযোগ পাওয়া যায়। এর কারণ অনুসন্ধানে গঠিত হয় তদন্ত কমিটি। কোনো দুর্নীতির তথ্য না পাওয়া গেলেও, দায়িত্বে অবহেলার প্রমাণ মেলে কিছু কর্মকর্তার বিরুদ্ধে।
দুস্থদের গৃহ নির্মাণে অবহেলাজনিত ত্রুটি-বিচ্যুতের কারণে ইতোমধ্যে ৫ জন সরকারি কর্মকর্তাকে ওএসডি করা হয়েছে এবং ২ জনের বিরুদ্ধে দায়ের করা হয়েছে বিভাগীয় মামলা।
দেশের হতদরিদ্র মানুষদের ভাগ্য উন্নয়নের ক্ষেত্রে সামান্যতম অনিয়ম-অবহেলা সহ্য করা হবে না। প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা বাস্তবায়নে শতভাগ স্বচ্ছতা এবং কর্মদক্ষতা প্রমাণে সোচ্চার রয়েছে সরকার।