ডেস্ক নিউজ
ঈদের সময় গরু ব্যবসায়ী, দোকান মালিকসহ জীবন ও জীবিকার তাগিদে যেগুলো প্রয়োজন সেগুলো বিবেচনা করেই সরকার লকডাউনের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবে। প্রজ্ঞাপনে বিষয়টি পরিষ্কার করা হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
সোমবার (১২ জুলাই) সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি একথা জানান। সভায় সিনিয়র সচিব, আইজিপি, হাইওয়ে রোডের পুলিশ প্রধান, বিজিএমইএ, কাভার্ড মালিক সমিতির সভাপতিসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।
বিধি-নিষেধ শিথিলের বিষয়ে পুলিশের প্রতি কী নির্দেশনা থাকবে জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় শুধু পুলিশ নয় প্রশাসনের সবাই মাঠে কাজ করছে। মূল বিষয়টা হলো আমাদের যে সিদ্ধান্ত তা জনগণকে জানিয়ে দেওয়া ও সচেতন করা এবং জনগণ যাতে সেটা মেনে চলে সে ব্যবস্থা করা।
১৫ জুলাই থেকে ২৩ জুলাই পর্যন্ত বিধি-নিষেধ শিথিল হচ্ছে। সেক্ষেত্রে স্বাস্থ্যবিধি মানার ক্ষেত্রে কোনো সমস্যা হবে কিনা জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, জনগণকে সচেতন হতে হবে। কোভিড-১৯ শুধু আমাদের দেশ নয়, সারা পৃথিবীকে নাড়া দিয়েছে। সেজন্য আমাদেরও সচেতন হতে হবে। সরকার পুলিশ দিয়ে কতো সচেতন করবে যদি নিজেরা সচেতন না হয়। আমরা মিডিয়ার মধ্যমে সব সময় আহ্বান করে আসছি যাতে জনগণ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলে এবং যতক্ষণ পারা যায় মাস্ক পরে থাকতে হবে।
ঈদে গরু বেচা কেনার জন্যই কি শিথিল হচ্ছে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এখানে অনেকগুলো কারণ আছে। যেমন খামারিরা যদি পশু বিক্রি করতে না পারে তাহলে আরো এক বছর পরিচর্যা করতে হবে। তারপর দোকান মালিক যারা আছেন তারা কিন্তু ঈদের জন্যই সারা বছর বসে থাকেন। দুই ঈদের বেচাকেনা দিয়েই তারা চলেন।
‘এসব কিছু বিবেচনা করেই সরকার জীবিকা ও জীবনের তাগিদে যেগুলো প্রয়োজন সেগুলো মাথায় রেখেই যা কিছু করার তা আপনারা শুনতে পারবেন। আমি এখন আর এ বিষয়ে কিছু বলতে চাচ্ছি না। যথাসময়ে এ বিষয়ে যার মধ্যমে পাওয়ার পাবেন। ’