ডেস্ক নিউজ
মালয়েশিয়া থেকে এবার এলএনজি আনতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। এজন্য দেশটির সঙ্গে একটি সহযোগিতা সংক্রান্ত সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে। নন-বাইন্ডিং এই সমঝোতা স্মারকের মেয়াদ হবে প্রাথমিকভাবে দুই বছর। তবে উভয় দেশের সম্মতিতে এর মেয়াদ বাড়ানো হতে পারে।
মঙ্গলবার (১৩ জুলাই) অনলাইনে বাংলাদেশের বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের অর্থনৈতিক পরিকল্পনা ইউনিটের এলএনজি সরবরাহে সহযোগিতা সংক্রান্ত এই সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে। এতে বাংলাদেশের পক্ষে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ এবং মালয়েশিয়ার পক্ষে সে দেশের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের অর্থনৈতিক বিভাগের মন্ত্রী মুস্তফা মোহামেদ সই করেন।
অনুষ্ঠানে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, ‘টেকসই জ্বালানি মিশ্রণে পরিচ্ছন্ন ও সবুজ জ্বালানির অংশ উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে। নবায়নযোগ্য জ্বালানিও এই জ্বালানি মিশ্রণে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে।’
তিনি বলেন, ‘পাওয়ার সিস্টেম মাস্টারপ্ল্যান অনুসারে ২০৪১ সালে বিদ্যুৎ উৎপাদনে প্রতিদিন গ্যাসের প্রয়োজন হবে ৩ হাজার ১৫০ মিলিয়ন ঘনফুট। কিন্তু প্রাকৃতিক গ্যাসের মজুত কমে যাচ্ছে। অনুসন্ধান কার্যক্রম বাড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস আমদানিকেও গুরুত্ব দিতে হচ্ছে। বর্তমানে দুটি এফএসআরইউ রয়েছে এবং একটি স্থলভিত্তিক এলএনজি টার্মিনাল নির্মাণ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার নেপথ্যের কারিগর বিদ্যুৎ ও জ্বালানি। তাই সরকার জ্বালানি নিরাপত্তাকে অগ্রাধিকার দিয়েছে।’
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘ভ্রাতৃপ্রতিম মালয়েশিয়ার সঙ্গে কর্মসংস্থান শ্রমিক, পর্যটন, বাণিজ্য ও বিনিয়োগ, বিজ্ঞান এবং প্রযুক্তি, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ, মানবপাচার ইত্যাদি বিষয়ে দ্বিপক্ষীয় চুক্তি বা সমঝোতা চুক্তি বা প্রটোকল বিষয়ে ২০টি চুক্তি রয়েছে। আজকের এই সমঝোতা স্মারক জ্বালানি সহযোগিতার ক্ষেত্রে একটি নতুন মাত্রা যোগ করবে।’
অনুষ্ঠানে বলা হয়, বাংলাদেশের বাংলাদেশ তেল, গ্যাস ও খনিজ করপোরেশন (পেট্রোবাংলা) এবং মালয়েশিয়ার পেট্রোনাস এলএনজি লিমিটেড ও গ্লোবাল এলএনজি এসডিএন সম্মিলিতভাবে বাণিজ্যিক শর্তাদি চূড়ান্ত করে পরবর্তী কার্যক্রম সম্পাদন করবে।
ভার্চুয়াল এই অনুঠানে মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের অর্থনৈতিক বিভাগের মন্ত্রী মুস্তফা মোহামেদ, মালয়েশিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার মো. গোলাম সারোয়ার ও বাংলাদেশে নিযুক্ত মালয়েশিয়ার রাষ্ট্রদূত পোয়ান হাযনা মো. হাশিম বক্তব্য রাখেন।