ডেস্ক নিউজ
কোভিড-১৯ এর ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে সরকারের প্রণোদনা প্যাকেজের আওতায় এসএমই ফাউন্ডেশনের বিতরণকৃত ১০০ কোটি টাকার ৩৩ শতাংশই নারী উদ্যোক্তারা পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন এসএমই ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. মো. মফিজুর রহমান। মঙ্গলবার প্রণোদনা প্যাকেজের ঋণ বিতরণ বিষয়ে অনলাইনে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এ তথ্য জানান তিনি।
তিনি জানান, ২০২০-২১ অর্থবছরে ১৩টি ব্যাংক ও নন-ব্যাংক আর্থিক প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে মাত্র ৪ শতাংশ সুদে দেশের ৫৪ জেলার ১০৬৯ জন উদ্যোক্তার মধ্যে প্রায় ১১৬ কোটি টাকা বিতরণ করে এসএমই ফাউন্ডেশন। মাত্র দুই মাসেরও কম সময়ে এই ঋণ বিতরণের জন্য তিনি এসএমই ফাউন্ডেশন এবং সংশ্লিষ্ট ব্যাংক ও নন-ব্যাংক আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের প্রতি বিশেষ করে ব্র্যাক ব্যাংক ও আইডিএলসির প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
এ সময় তিনি ফাউন্ডশেনের চেয়ারপারসন ও পরিচালক পর্ষদের সদস্যদেরকে ঋণ বিতরণে সহযোগিতার জন্য ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। একই সঙ্গে চলতি অর্থবছরেও এসএমই ফাউন্ডেশনের অনুকূলে প্রাপ্ত আরও ২০০ কোটি টাকা আগামী ডিসেম্বর ২০২১-এর মধ্যে বিতরণের প্রস্তুতি নিতে অংশীদার ব্যাংক ও নন-ব্যাংক আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের প্রতি আহ্বান জানান।
ড. মফিজুর রহমান বলেন, করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে দেশের অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার কার্যক্রম ত্বরান্বিত করা এবং পল্লী এলাকার প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নে সরকারের দ্বিতীয় দফার প্রণোদনার আওতায় ক্ষুদ্র ও মাঝারি (সিএমএসএমই) উদ্যোক্তাদের মধ্যে ঋণ বিতরণের জন্য এসএমই ফাউন্ডেশনের অনুকূলে ৩০০ কোটি টাকা ঋণ দেওয়া হয়। এর মধ্যে গত অর্থবছরে ১০০ কোটি টাকা সফলভাবে বিতরণের পর চলতি অর্থবছরে ২০০ কোটি টাকা বিতরণ করা হবে। এ লক্ষ্যে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো সারা দেশের নারী উদ্যোক্তা এবং এসএমই ফাউন্ডেশন, বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি সংগঠন ও অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে সুপারিশকৃত এসএমই উপখাত, ট্রেডবডি এবং গ্রুপের তালিকাভুক্ত উদ্যোক্তা এবং সিএমএসএমই খাতের জন্য সরকার ঘোষিত প্রথম দফার প্রণোদনা প্যাকেজের আওতায় ঋণ না পাওয়া পল্লী ও প্রান্তিক পর্যায়ের উদ্যোক্তাদের ঋণ প্রদান করবে।
এসএমই ফাউন্ডেশন মনে করে, ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে নিবিড় যোগাযোগ ও সরাসরি মনিটরিং করার কারণে এবং অংশীদার ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের আন্তরিক সহযোগিতার ফলেই অতি অল্প সময়ে ১০০ কোটির স্থলে প্রায় ১১৬ কোটি টাকা বিতরণ সম্ভব হয়েছে। ব্যবস্থাপনা পরিচালক আশা করেন, প্রণোদনা প্যাকেজের পরবর্তী ২০০ কোটি টাকা বিতরণের ক্ষেত্রেও ব্যাংক ও অন্যান্য আর্থিক প্রতিষ্ঠান সমভাবে এগিয়ে আসবে, যাতে নির্ধারিত সময়ের আগেই ওই ২০০ কোটি টাকা বিতরণ করা সম্ভব হয়।
এসএমই ফাউন্ডেশনের মহাব্যবস্থাপক মো. নাজিম হাসান সাত্তারের সঞ্চালনায় মতবিনিময় সভায় ২৪টি ব্যাংক ও নন-ব্যাংক আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা অংশগ্রহণ করেন।