ডেস্ক নিউজ
সরকার দেশের ৯৯ ভাগ মানুষের ঘরে বিদ্যুৎ সুবিধা পৌঁছে দিয়েছে। আশা করা হচ্ছে চলতি বছরেই বাকি সবার ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে যাবে। আর এ প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে দেশে বিদ্যুৎ গ্রাহকের সংখ্যা এখন প্রায় ৪ কোটি। বিদ্যুৎ বিভাগসূত্রে এমনটি জানা যায়।
সূত্রে প্রাপ্ত তথ্যে, ২০০৯ সালে বিদ্যুৎ গ্রাহকের সংখ্যা ছিল ১ কোটি ৮ লাখ। এক যুগ পরে ২০২১ সালে এসে তা দাঁড়িয়েছে প্রায় ৪ কোটিতে। আর বিদ্যুতের সুবিধাপ্রাপ্ত জনগোষ্ঠী ৪৭ থেকে পৌঁছেছে ৯৯ ভাগে। মাথাপিছু বিদ্যুৎ উৎপাদন ২২০ কিলোওয়াট থেকে দাঁড়িয়েছে ৫১২ কিলোওয়াটে। তবে এ লক্ষ্য পূরণে শহরাঞ্চলে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেওয়া সহজ হলেও গ্রাম ও দুর্গম এলাকায় ছিল চ্যালেঞ্জের। এ সময়ের মধ্যে বিদ্যুৎ কেন্দ্রের সংখ্যা ২৯ থেকে বেড়ে হয়েছে ১৪৯টি। অবসরে গেছে মাত্র পাঁচটি বিদ্যুৎ কেন্দ্র। বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতাও ৪ হাজার ৯৪২ মেগাওয়াট থেকে বেড়ে হয়েছে ২৫ হাজার ২২৭ মেগাওয়াট। মোট বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইন ৮ হাজার কিলোমিটার থেকে বেড়ে হয়েছে ১২ হাজার ৭৪৪ কিলোমিটার। গ্রিড সাবস্টেশন ক্ষমতা ১৫ হাজার ৮৭০ থেকে হয়েছে ৫০ হাজার ৭৪ এমভিএ। প্রয়োজনীয় চাহিদা মেটাতে ১ হাজার ১৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ ভারত থেকে আমদানি করা হচ্ছে। বিদ্যুৎ বিতরণ লাইন ২ লাখ ৬০ হাজার থেকে বেড়ে হয়েছে ৬ লাখ ১২ হাজার। সেচ সংযোগ সংখ্যা ২ লাখ ৩৪ হাজার থেকে হয়েছে ৪ লাখ ৪৬ হাজার। এর মধ্যে পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড (আরইবি)-এর গ্রাহক সংখ্যা ৩ কোটি ১৬ লাখ। ২০০৯ থেকে ২০২১ সালের মধ্যে তারা ২ কোটি ৪০ লাখ গ্রাহকের ঘরে বিদ্যুৎ দিয়েছে। এর মধ্যে ৪০ লাখ ৫১ হাজার ৪৭৫টি প্রি-পেইড মিটার স্থাপন করা হয়েছে। সোলার হোম সিস্টেমের সংখ্যা ৬০ লাখ।
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, ‘আমরা গ্রিড এলাকার শতভাগ উপজেলায়, পৌরসভায় এবং গ্রামে বিদ্যুতায়নের কাজ শেষ করেছি। এখন অফ গ্রিড এলাকায় কাজ চলছে। যেমন দুর্গম পার্বত্য অঞ্চলে কিছু জায়গা, চর এলাকা, হাতিয়া, সন্দ্বীপ, কুতুবদিয়ার মতো দ্বীপ অঞ্চল, ব্রহ্মপুত্র নদে অনেক চর জেগেছে এসব জায়গায় সাবমেরিন ক্যাবল দিয়ে বিদ্যুৎ সংযোগ করে দিচ্ছি। এ এলাকাগুলোয় এখন বিদ্যুতের যে চাহিদা তা ভবিষ্যতে তিন গুণ বৃদ্ধি পাবে। এজন্য এসব জায়গায় নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ লাগবে। দক্ষিণাঞ্চলের সব দ্বীপে বিদ্যুতায়ন হয়ে যাবে এ বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে। এ কাজ জুনে শেষ হওয়ার কথা থাকলেও বিদেশ থেকে সাবমেরিন ক্যাবল আনতে বেশ কিছুটা সময় লাগে। সে ক্ষেত্রে দ্বীপ অঞ্চলগুলোয় এ বছরের মধ্যে বিদ্যুতায়নের কাজ শেষ হবে। আর পার্বত্য এলাকার যে ঘরে বিদ্যুতের তার বা সাবমেরিন পৌঁছানো যাবে না সেখানেও সৌরবিদ্যুতের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।’