ডেস্ক নিউজ
চীনের সিনোফার্ম উৎপাদিত করোনাভাইরাসের টিকা বাংলাদেশে যৌথ উৎপাদনের সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) ‘যে কোনো মুহূর্তে’ সই হবে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন
সোমবার ঢাকায় চীনা রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি বলেন, “আমরা এমওইউটা পেয়ে গেছি। আমাদের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কাছে আছে। তারা সই করার কথা।
“তিনটা প্রতিষ্ঠান সই করবে। ইনসেপ্টা, বাংলাদেশ সরকার ও সিনোফার্ম।”
সমঝোতা চুক্তি সইয়ের পরও উৎপাদনে যেতে আরও মাস দুয়েক লাগবে জানিয়ে মোমেন বলেন, “এটাতে দেরি করা ঠিক হবে না। আমি মনে করি, আমাদের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় খুব তাড়াতাড়ি কাজটা সম্পন্ন করবে।”
ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটের কাছ থেকে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা কোভিশিল্ডের তিন কোটি ডোজ কেনার জন্য গত বছরের শেষ দিকে চুক্তি করেছিল বাংলাদেশ। সেই টিকার প্রথম চালান পাওয়ার পর ৭ ফেব্রুয়ারি সারাদেশে গণটিকাদান শুরু হয়।
কিন্তু সেরাম ইনস্টিটিউট দুই চালানে ৭০ লাখ ডোজ পাঠানোর পর ভারত রপ্তানি বন্ধ করে দিলে টিকার সঙ্কটে পড়ে বাংলাদেশ। পর্যাপ্ত টিকা না থাকায় ২৫ এপ্রিল দেশে প্রথম ডোজ দেওয়া বন্ধ হয়ে যায়।
তখন সরকার অন্য উৎস থেকে টিকা সংগ্রহের চেষ্টা শুরু করে। জরুরিভাবে দেশে সিনোফার্ম ও রাশিয়ার স্পুৎনিক-ভি টিকার অনুমোদন দেওয়া হয়। চীন ও রাশিয়া থেকে কেনার পাশাপাশি দেশে যৌথ উৎপাদনের আলোচনাও তখনই শুরু হয়।
যৌথ উৎপাদনের প্রক্রিয়া চূড়ান্তের দিকে যাওয়ার মধ্যে সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেন ঢাকায় চীনা রাষ্ট্রদূত লি জিমিং।
উৎপাদনের প্রক্রিয়ায় চীন থেকে তৈরি কাঁচামাল এনে দেশে পরবর্তী ধাপগুলো সম্পন্ন হওয়ার কথা জানিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন বলেন, “ইনসেপ্টা বাল্ক আনবে। এরপর স্থানীয়ভাবে বোতলজাতকরণ, লেবেলিং ও ফিনিশিং এসব করবে।”
সিনোফার্মের টিকা কিনছে সরকার। ইতোমধ্যে ৭০ লাখ ডোজ এসেও গেছে। এছাড়া চীন সরকারের উপহার হিসেবেও এসেছে ১১ লাখ ডোজ টিকা।
রাশিয়ার স্পুৎনিক টিকার যৌথ উৎপাদন নিয়ে প্রশ্নে মোমেন বলেন, রাশিয়াতে করোনাভাইরাস সংক্রমণের তৃতীয় ঢেউ চলতে থাকায় সেই প্রক্রিয়া থেমে আছে।