ডেস্ক নিউজ
প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী, বীর বিক্রম বলেছেন, যখন দেশ স্বাধীন হয় তখন বাংলাদেশের মাথাপিছু আয় পাকিস্তানের প্রায় অর্ধেক ছিল। ধ্বংসস্তুপের ওপর যাত্রা শুরু করা দেশটি বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে মাত্র সাড়ে তিন বছরের মধ্যেই ঘুরে দাঁড়ায়। মাথাপিছু আয় পাকিস্তানের চেয়ে ছাড়িয়ে যায়। ১৯৭২ সালে বাংলাদেশের মাথাপিছু আয় ছিল ৯৩ ডলার, সেটি ১৯৭৫ সালে হয় ২৭৩ ডলার।
আজ সোমবার বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে ‘বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের উন্নয়ন: বঙ্গবন্ধু থেকে শেখ হাসিনা’ শীর্ষক ভার্চুয়াল আলোচনায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে জ্বালানি উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।
ড. তৌফিক-ই-ইলাহী বলেন, ‘স্বাধীনতার যুদ্ধে যারা পরাজিত হয়েছিল, তারা কোনভাবেই বাংলাদেশের অস্তিত্ব মেনে নিতে পারেনি। তাই দেশে স্বাধীনতার পরপরই নতুন নতুন চক্রান্ত শুরু হয়। এই পরিস্থিতির মধ্য থেকেও বঙ্গবন্ধু দেশকে সামনে নিয়ে যান। বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করার ১৩ বছর পর্যন্ত আমাদের মাথাপিছু আয় কমতে থাকে। পরে ১৩ বছর পর ১৯৭৫ সালে যে মাথাপিছু আয় ছিল সেই একই পর্যায়ে এসে দাঁড়ায়।’
তিনি আরো বলেন, ‘শুরুতে বাংলাদেশের যে অগ্রগতি হচ্ছিলো ও যে সম্ভাবনা রচিত হচ্ছিলো, ষড়যন্ত্রকারীরা সেটি বুঝতে পেরেছিল। সে জন্য ষড়যন্ত্রকারীরা শুধু বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেই ক্ষান্ত হয়নি, তারা আমাদের চার নেতাকে হত্যা করেছে। আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অনেকবার হত্যা করার ষড়যন্ত্র করেছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে দিকনির্দেশনা আমাদের ওপর দিচ্ছেন, সেটার ওপর আস্থা রেখে সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।’
আলোচনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু সদ্য স্বাধীন দেশে মাত্র সাড়ে তিন বছর পরিচালনার দায়িত্ব পেয়েছিলেন। সেই অসাধ্যকে সাধন করেছিলেন এই সাড়ে তিন বছরেই। নির্মাণ করেছেন বাংলাদেশের উন্নয়নের একটি শক্ত ভীত। যে ভীতের ওপর নির্ভর করে শুধু বিদ্যুৎ ও জ্বালানি না, সমগ্র বাংলাদেশ আজ পরিচালিত হচ্ছে।’
অনুষ্ঠানে জ্বালানি ও খনিজসম্পদ বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. আনিছুর রহমানের সভাপতিত্বে মূখ্য আলোচক হিসেবে ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ও অর্থনীতিবিদ ড. আতিউর রহমান ও বিশেষ অতিথি হিসেবে বিদ্যুৎ বিভাগের সচিব মো. হাবিবুর রহমান, পাওয়ার সেলের মহাপরিচালক মোহাম্মদ হোসাইনসহ প্রমূখ।