ডেস্ক নিউজ
জলবায়ুর প্রভাব মোকাবিলা সংশ্লিষ্ট কার্যক্রম, একবার ব্যবহার্য বর্জ্য ও চিকিৎসাবর্জ্যসহ সার্বিক বর্জ্যব্যবস্থাপনার মাধ্যমে পরিবেশ সংরক্ষণ, নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহার, জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ এবং কারিগরি ও গবেষণা ক্ষেত্রে বাংলাদেশকে প্রয়োজনীয় সহায়তা করবে ব্রিটেন।
বুধবার (২৫ আগস্ট) পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিনের সঙ্গে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সাক্ষাৎকালে বাংলাদেশে নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার রবার্ট চ্যাটারটন ডিকসন এ কথা জানান।
বাংলাদেশ ব্রিটেনের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ মিত্র উল্লেখ করে হাইকমিশনার বলেন, ‘ব্রিটেনের চলমান সহযোগিতা ক্রমবর্ধমান গতিতে অব্যাহত থাকবে।’
পরিবেশমন্ত্রী শাহাব উদ্দিন হাইকমিশনারকে জানান, বাংলাদেশ ক্লাইমেট ভালনারিবিলিটি ফোরাম এবং ভালনারেবল-২০ এর সভাপতি হিসেবে জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বিশেষ ভূমিকা পালন করছে। বাংলাদেশ সামগ্রিক সমৃদ্ধির লক্ষ্যে মুজিব ক্লাইমেট প্রসপারিটি প্ল্যান ঘোষণা করেছে
মন্ত্রী আরও জানান, বাংলাদেশ ন্যাশনালি ডিটারমাইন্ড কন্ট্রিবিউশান (এনডিসি) চূড়ান্ত করে ৩১ আগস্টে আগে ইউএনএফসিসিতে জমা দেবে। এছাড়াও সংশ্লিষ্ট স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে আলোচনা করে ন্যাশনাল অ্যাডাপটেশন প্ল্যান (এনএপি) প্রণয়নের কাজ চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে।
মন্ত্রী এ সময় ব্রিটেনের আয়োজনে আগামী নভেম্বর মাসে যুক্তরাজ্যের গ্লাসগোতে অনুষ্ঠিতব্য জাতিসংঘ জলবায়ু পরিবর্তন সম্মেলনের সফলতা কামনা করেন। এছাড়া জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় ঝুঁকিপূর্ণ দরিদ্র দেশগুলোতে ধনী দেশগুলোর প্রতিশ্রুত বার্ষিক ১০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার প্রদানসহ প্যারিস জলবায়ু চুক্তির অন্যান্য বিষয়ে বিশ্ব নেতৃবৃন্দ ঐক্যমতে পৌঁছাবেন বলে আশা ব্যক্ত করেন। জলবায়ু পরিবর্তন সংশ্লিষ্ট সবক্ষেত্রে ব্রিটেনের সহযোগিতা কামনা করেন তিনি।
দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোস্তফা কামাল, অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) ইকবাল আব্দুল্লাহ হারুন, অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন) আহমদ শামীম আল রাজী, অতিরিক্ত সচিব (জলবায়ু পরিবর্তন) মো. মিজানুল হক চৌধুরী, যুগ্ম-সচিব (জলবায়ু পরিবর্তন) সঞ্জয় কুমার ভৌমিক এবং ব্রিটিশ হাইকমিশনের জলবায়ু ও পরিবেশ প্রোগ্রামের প্রধান জন ওয়ারবার্টনসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।