নিউজ ডেস্কঃ
ডিআইজি পার্থ গোপাল বণিকের বাসায় যে বিপুল পরিমাণ টাকা উদ্ধার হয়েছে তা ছিলো বিএনপি নেতাকর্মীদের ঘুষের টাকা। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খানের মুখ ফসকে প্রকাশ পাওয়া এই বক্তব্য নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে শুরু হয়েছে নানান আলোচনা-সমালোচনা।
এমন প্রেক্ষাপটে নজরুল ইসলাম খানের এমন বক্তব্য বিএনপির দুর্নীতিবাজ চরিত্রের পরিচায়ক বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।
জানা যায়, সিলেট কারা কর্তৃপক্ষ ডিআইজি পার্থ গোপাল বণিকের ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধারকৃত ঘুষ-দুর্নীতির ৮০ লাখ টাকা বিএনপির নেতাকর্মীদের বলে দাবি করেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান। সোমবার (৩০ জুলাই) বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির নেতাদের নিয়ে শেরপুরের বন্যাকবলিত বানভাসি মানুষের মাঝে ত্রাণ বিতরণের আগে তিনি এ কথা বলেন।
দুদক কর্তৃক ডিআইজির টাকা উদ্ধারের প্রসঙ্গ টেনে নজরুল ইসলাম খান বলেন, জেলখানায় বেশিরভাগ লোক বিএনপি ও তার অঙ্গ সংগঠনের। সেখানে আওয়ামী লীগের কোনো লোক নেই। এই যে ঘুষের টাকা, এই টাকাগুলো কাদের, এই টাকা আমাদের। আমাদের যারা জেলে আছে তাদের।
তিনি বলেন, এই টাকা যদি দিতে না হতো তা হলে আরও ৮০ লাখ টাকার বেশি ত্রাণ সামগ্রী আমরা বন্যার্তদের জন্য আনতে পারতাম।
নজরুল ইসলাম খানের বক্তব্যের প্রসঙ্গে এক রাজনৈতিক বিশ্লেষক বলেন, বিএনপি বারবার ঈদের পর আন্দোলনের কথা বলে জনগণের কাছে হাসির পাত্রে পরিণত হয়েছে। তাদের আন্দোলনের হুমকি এখন সাধারণ মানুষের কাছে বিনোদনের খোরাক। ঘুষের লেনদেনের বিষয়টি স্বীকার করার মাধ্যমে নিজেদের দুর্নীতিবাজ দল হিসেবে বিএনপি আবারো জনগণের কাছে চিহ্নিত হলো। নজরুল ইসলাম খানের বক্তব্য বিএনপির রাজনৈতিক দূরদর্শিতার অভাবকে প্রকাশ করে।