ডেস্ক নিউজ
সাগরবিধৌত ও নদীবেষ্টিত বরিশালসহ গোটা দক্ষিণাঞ্চলের সঙ্গে এক সময় সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা ছিল খুবই অনুন্নত। সড়কপথে বাসে ফেরি পারাপার ছিল বিড়ম্বনার। নৌপথেও যাতায়াতে আধুনিক ব্যবস্থা ছিল না। আকাশপথও ছিল বিচ্ছিন্ন। আর রেলগাড়ি? স্বপ্নেও ভাবেননি দক্ষিণাঞ্চলবাসী।
এসবের কারণে অনেকটা অবজ্ঞার চোখে ব্রিটিশ যুগ থেকে দেশের প্রাথমিকের পাঠ্যবইতে প্রশ্ন ছিল-‘রেল লাইন নেই কোন্ জেলায়’? উত্তর ছিল ‘বরিশাল’। অবশেষে বরিশালসহ গোটা দক্ষিণাঞ্চলকে রেল যোগাযোগের আওতায় আনতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাহসী উদ্যোগ বাস্তবায়নের জন্য ইতোমধ্যে বিস্তারিত নক্সা, সম্ভাব্যতা সমীক্ষা ও টেন্ডার ডকুমেন্টসসহ প্রয়োজনীয় সব কাগজপত্র রেলওয়েতে জমা দিয়েছে পরামর্শক প্রতিষ্ঠান। ফলে ব্রিটিশ যুগ থেকে দেশের প্রাথমিকের পাঠ্যবইয়ের প্রশ্নকে পিছু ফেলে নতুন ইতিহাস গড়তে দক্ষিণাঞ্চলে ট্রেন চালানোর জন্য প্রধানমন্ত্রীর সাহসী পদক্ষেপ বাস্তবায়ন একধাপ অগ্রগতি লাভ করেছে।
স্বাধীনতার পরবর্তীকালে বিএনপি দীর্ঘদিন সরকারে থাকা ও এ অঞ্চলে বিএনপির প্রভাবশালী মন্ত্রী, এমপি, এমনকি রাষ্ট্রপতি থাকা সত্তে¡ও বরাবরই দক্ষিণাঞ্চল ছিল অবহেলিত। সেই অবহেলিত মানুষের কাছে আশীর্বাদ হয়ে এসেছে বর্তমান ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ। দলের সভাপতি ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃঢ়চেতা ও দূরদর্শী সিদ্ধান্তে অবহেলিত দক্ষিণাঞ্চলে এখন অপার সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচিত হয়েছে।
ইতোমধ্যে বরিশালসহ পুরো দক্ষিণাঞ্চলবাসীর স্বপ্নের পদ্মা সেতুর কাজ প্রায় শেষের পথে, পায়রা সমুদ্রবন্দরে পণ্য ওঠানামা করছে, পায়রাবন্দরের অদূরে লালুয়া ইউনিয়নে এক হাজার একর আয়তনের এলাকা ঘিরে নির্মাণাধীন কয়লাভিত্তিক তাপবিদ্যুত কেন্দ্রে পরীক্ষামূলকভাবে বিদ্যুত উৎপাদন শুরু হয়েছে। বরিশাল বিভাগের পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় দেশের দ্বিতীয় সাবমেরিন ক্যাবল নেটওয়ার্কের কাজ সম্পন্ন হয়েছে। বরিশালে নির্মিত হয়েছে শেখ হাসিনা সেনানিবাস, গড়ে উঠছে আইসিটি পার্ক (হাইটেক পার্ক), বিমান বাহিনীর রাডার কেন্দ্র, বঙ্গবন্ধু নভোথিয়েটার ও অর্থনৈতিক অঞ্চলসহ অসংখ্য প্রতিষ্ঠান। এ ছাড়া দেশের দ্বিতীয় পারমাণবিক বিদ্যুত কেন্দ্র করা হবে বরিশালে।
নির্মাণাধীন পদ্মা সেতুর কল্যাণে সরাসরি রেলপথ যাবে ঢাকা থেকে ফরিদপুরের ভাঙ্গা হয়ে বরিশাল দিয়ে পটুয়াখালীর পায়রা সমুদ্রবন্দর পর্যন্ত। পর্যায়ক্রমে এ কাজ শেষ করা হবে। রেললাইন নির্মাণের জন্য সরকার থেকে নেয়া হয়েছে ব্যাপক পরিকল্পনা। ইতোমধ্যে বিভাগের অধিকাংশ উপজেলাকে শতভাগ বিদ্যুতায়নের আওতায় আনা হয়েছে। পাশাপাশি ফরিদপুর-ভাঙ্গা-বরিশাল-পটুয়াখালী-কুয়াকাটা মহাসড়ক চার লেনে উন্নীতকরণের জন্য গত বছরের ১১ অক্টোবর একনেকের সভায় প্রধানমন্ত্রী ভূমি উন্নয়ন প্রকল্প অনুমোদন করেছেন। বরিশাল বিভাগের ছয়টি জেলার প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলের সর্বত্রই লেগেছে উন্নয়নের ছোঁয়া। এরমধ্যে যোগাযোগের ক্ষেত্রে উন্নয়নের মাধ্যমেই অপার সম্ভাবনার দুয়ার খুলতে শুরু করেছে বরিশালসহ গোটা দক্ষিণাঞ্চলে।
বরিশাল বিভাগ উন্নয়ন ফোরামের সম্পাদক আতিকুর রহমান আতিক জনকণ্ঠকে বলেন, পায়রা সমুদ্রবন্দর আর কুয়াকাটার পর্যটন শিল্পকে ঘিরে বর্তমান সরকারের সময়ে শুরু হওয়া মেগা প্রকল্পের কর্মযজ্ঞ যা অতীতে কল্পনাও করেননি এ অঞ্চলের মানুষ। শেখ হাসিনার সরকারের সারাদেশে উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় এককালের অবহেলিত বরিশাল বিভাগের সর্বত্র উন্নয়নের জোয়ারে বদলে যেতে শুরু করেছে। তিনি আরও বলেন, চলমান বৃহৎ প্রকল্পের কাজ সম্পন্ন হলে কয়েক লাখ মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ হবে। এতে করে বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ মাথাপিছু আয়ের শহর হবে বরিশাল। চলমান বিভিন্ন প্রকল্পের অব্যাহত অগ্রগতিতে একসময়ের অবহেলিত দক্ষিণাঞ্চলকে ঘিরে সারাদেশের আগ্রহের সৃষ্টি হয়েছে। আর এ আগ্রহের নেপথ্যে কাজ করছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তার সুনজরে মহামারী করোনার মধ্যেও ধারাবাহিক উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ চলমান রয়েছে।
সূত্রমতে, ১৯৯৬ সালে তৎকালীন সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কুয়াকাটাকে পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে ঘোষণা করেন। ২০০৯ সালে দ্বিতীয় দফায় শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতা গ্রহণের পর বরিশাল তথা দেশের দক্ষিণাঞ্চলকে ঘিরে উন্নয়নের নানা পরিকল্পনা হাতে নেয়া হয়। তারই ধারাবাহিকতায় কুয়াকাটার সঙ্গে সরাসরি সড়ক যোগাযোগের জন্য ইতোমধ্যে কলাপাড়া, হাজীপুর এবং মহিপুরের ফেরির পয়েন্টে সেতু নির্মাণ করা হয়। বর্তমানে প্রায় শেষের পথে দ্রæতগতিতে এগিয়ে চলছে লেবুখালীর পায়রা নদীর ওপর সেতু নির্মাণের কাজ। এ সেতুর নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হলে বরিশাল থেকে কুয়াকাটার সঙ্গে সরাসরি সড়কপথে আর কোন ফেরি থাকবে না। একই সঙ্গে করোনার মধ্যেও দেশের সবচেয়ে মেগা প্রকল্প পদ্মা সেতুর নির্মাণ কাজ দ্রæতগতিতে এগিয়ে চলছে।
বরিশালের কৃতী সন্তান কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ নেতা ও শিক্ষানুরাগী এ্যাডভোকেট বলরাম পোদ্দার জনকণ্ঠকে বলেন, উচ্চ শিক্ষার জন্য আওয়ামী লীগ সরকারের গত মেয়াদে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রম শুরু হয়েছে। বরিশালে রয়েছে টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ, আলাদা মহিলা ও পুরুষ টেকনিক্যাল ট্রেনিং কলেজ (টিটিসি) ও মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল। উদ্বোধনের অপেক্ষায় ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ এবং মেরিন একাডেমি। প্রতিষ্ঠিত হয়েছে বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়। সবকিছু মিলিয়ে উচ্চ শিক্ষার জন্য বরিশালেই রয়েছে সব ধরনের ব্যবস্থা।
তিনি আরও বলেন, শেখ হাসিনার সরকার বিগত দশ বছরে দক্ষিণাঞ্চলের উন্নয়নের জন্য সর্ববৃহৎ অর্থ বরাদ্দ দিয়ে বড় বড় মেগা প্রকল্প হাতে নিয়ে কাজ শুরু করেছে। সরকারের এসব উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ শেষ হওয়ার পর বরিশাল শুধু এগিয়েই যাবে না, চলে যাবে সামনের কাতারে। পর্যটনে কুয়াকাটা তথা বরিশাল হবে দেশী-বিদেশী পর্যটকদের আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু।
সচেতন নাগরিক কমিটির (সনাক) বরিশাল জেলা সভাপতি প্রফেসর শাহ সাজেদা জনকণ্ঠকে বলেন, শেখ হাসিনা সরকারের দক্ষিণাঞ্চলে ব্যাপক উন্নয়নে চলমান প্রকল্প ছাড়াও প্রস্তাবিত বরিশালের আগৈলঝাড়া ও ভোলায় বিশেষ অর্থনৈতিক জোন, ভোলা-বরিশাল সেতু, পাইপ লাইনের মাধ্যমে ভোলার গ্যাস বরিশালে আনা এবং বরিশালের হিজলার চরমেঘায় দেশের দ্বিতীয় পারমাণবিক বিদ্যুত কেন্দ্র স্থাপিত হলে পুরো বিভাগে ব্যাপকহারে গড়ে উঠবে দেশী-বিদেশী শিল্প প্রতিষ্ঠান।
বাংলাদেশের ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স এ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফবিসিসিআই) পরিচালক সেরনিয়াবাত মঈন আব্দুল্লাহ জনকণ্ঠকে বলেন, চট্টগ্রাম এবং মংলা সমুদ্রবন্দরে মাদার ভেসেল থেকে পণ্য খালাস করতে হয় বহির্নোঙ্গরে। রাবনাবাদ চ্যানেল অনেক গভীর হওয়ায় পায়রা সমুদ্রবন্দরে সরাসরি পণ্য খালাস করতে পারবে মাদার ভেসেলগুলো। এতে পণ্য আমাদানি ও রফতানিতে পরিবহন খরচ অনেক কমবে। বরিশালে শিল্প কলকারখানা ও গার্মেন্টস হলে কম খরচে শ্রমিক পাওয়া যাবে। উৎপাদন ব্যয়ও কমবে। তিনি আরও বলেন, দক্ষিণাঞ্চলবাসীর স্বপ্নের পদ্মা সেতুর কাজ পুরোপুরি সম্পন্ন হওয়ার পর পায়রাবন্দর ও রেল নেটওয়ার্কের আওতায় আনার স্বপ্নকে ঘিরে আগামী কয়েক বছরের মধ্যে বরিশালসহ দক্ষিণাঞ্চল হবে সিঙ্গাপুরের চেয়েও সমৃদ্ধ অর্থনৈতিক অঞ্চল।
বরিশালের জেলা প্রশাসক মোঃ জসীম উদ্দীন হায়দার জনকণ্ঠকে বলেন, বরিশালে যে রফতানিমুখী শিল্প কারখানা চালানো যায়, তার প্রমাণ করেছে ফরচুন সুজ। বরিশালের বিসিক শিল্প নগরীতে প্রতিষ্ঠিত এই কারখানায় প্রায় দেড় হাজার শ্রমিক কাজ করেন। তাদের তৈরি জুতা রফতানি করা হয় ইউরোপের বিভিন্ন দেশে। বরিশালে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড পূর্বের তুলনায় অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে জানিয়ে জেলা প্রশাসক বলেন, ভবিষ্যতে বরিশালসহ দক্ষিণাঞ্চলে যত অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড হবে তার কেন্দ্র হবে বিভাগীয় শহর বরিশালে। এজন্য গ্যাসের ব্যবস্থা করার দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, বরিশালে ১০০ জনের অধিক ব্যবসায়ী আছেন যারা ঢাকাসহ বিভিন্ন জায়গায় শত কোটি টাকার বেশি বিনিয়োগ করেছেন। এখানে গ্যাস এলে তারাই বরিশালে বিনিয়োগ করবেন। বরিশালে গ্যাস সরবরাহের উৎস ভোলা। কারণ, বরিশাল শহর থেকে ভোলার দূরত্ব মাত্র ৩০ কিলোমিটার। ভোলায় প্রচুর গ্যাস পাওয়া গেছে। পাইপ লাইনের মাধ্যমে ভোলা থেকে বরিশালে গ্যাস আনা হলেই এ অঞ্চলে প্রচুর বিনিয়োগ হবে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
বরিশালের বিভাগীয় কমিশনার মোঃ সাইফুল হাসান বাদল জনকণ্ঠকে বলেন, চলমান উন্নয়ন কাজ সম্পন্ন হলে লাখ লাখ মানুষের কর্মসংস্থানের মাধ্যমে সিঙ্গাপুরের মতো বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ মাথাপিছু আয়ের শহর হবে বরিশাল। এমনিতেই সিঙ্গাপুরের মতো আলাদা নির্ভরতা রয়েছে বরিশালের। পাশাপাশি আধুনিক সুযোগ-সুবিধায় অগ্রাধিকারের সমৃদ্ধ অর্থনীতি পাবে বৃহত্তর বরিশাল বিভাগের ভোলা, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, বরগুনা ও পটুয়াখালী জেলা।
বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ জনকণ্ঠকে বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেয়া ব্যাপক উন্নয়নের মহাযজ্ঞে বরিশালসহ গোটা দক্ষিণাঞ্চলে আর্থ-সামাজিক ক্ষেত্রে পরিবর্তন আসতে শুরু করেছে। বরিশাল বিভাগের ছয়টি জেলার প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলের সর্বত্রই এখন উন্নয়নের ছোঁয়া লেগেছে। এতে মহাখুশি দক্ষিণাঞ্চলের বাসিন্দারা।
মেয়র সাদিক আব্দুল্লাহ আরও বলেন, চলমান বিভিন্ন প্রকল্পের অব্যাহত অগ্রগতিতে এক সময়ের অবহেলিত দক্ষিণাঞ্চলকে ঘিরে এখন সারাদেশের আগ্রহের সৃষ্টি হয়েছে। আর এ আগ্রহের নেপথ্যে কাজ করছেন স্বাধীনতার স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তার সুনজরে ধারাবাহিক উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ দ্রæতগতিতে এগিয়ে চলছে। যে কারণে চলমান প্রকল্পের কাজ বাস্তবায়নের পর এ অঞ্চলের অর্থনীতিতে ব্যাপক পরির্বতন বয়ে আনবে।
বরিশাল জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও দুই বারের সাবেক সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা এ্যাডভোকেট তালুকদার মোঃ ইউনুস জনকণ্ঠকে বলেন, সিঙ্গাপুর একদিনে এমন হয়নি। এক সময় মালয়েশিয়া তাদের বের করে দিয়েছে। তাদের নেতা লি কুয়ানের অদম্য প্রচেষ্টায় মাত্র ৭৩০ বর্গকিলোমিটার আয়তনের সিঙ্গাপুর এখন সারাবিশ্বে উজ্জ্বল। তিনি আরও বলেন, বরিশাল যেসব প্রকল্পের ওপর ভর করে বদলে যাচ্ছে সেগুলোও এসেছে উন্নয়নের নেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরে। এসব প্রকল্পের জন্য দীর্ঘদিন বরিশাল জেলার মানুষকে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে। এখন সেসবের কাজ দ্রæতগতিতে এগিয়ে চলায় স্বস্তি ফিরে এসেছে বরিশালবাসীর মাঝে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দিকনির্দেশনায় দক্ষিণাঞ্চলবাসীর ভাগ্য উন্নয়নে দীর্ঘদিন থেকে নিজেকে আত্মনিয়োগ করে ‘উন্নয়নের রূপকার’ খেতাব অর্জন করা বঙ্গবন্ধুর ভাগ্নে বরিশাল জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও মন্ত্রী আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহ এমপি জনকণ্ঠকে বলেন, আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যতবার ক্ষমতায় এসেছেন, ততবারই দেশ এগিয়েছে। দক্ষিণাঞ্চলের উন্নয়নে অসংখ্য মেগা প্রকল্প হাতে নিয়ে প্রধানমন্ত্রী তার দূরদর্শিতার পরিচয় দিয়েছেন। তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী স্বপ্ন দেখেন, স্বপ্ন দেখান ও স্বপ্ন বাস্তবায়ন করেন। যে কারণে এক সময়ের অবহেলিত দক্ষিণাঞ্চলে প্রধানমন্ত্রীর নেয়া সব মেগা প্রকল্পের কাজ সম্পন্ন হলেই দ্বিতীয় সিঙ্গাপুরের মতো ফুটে উঠবে বরিশালসহ গোটা দক্ষিণাঞ্চল।