ডেস্ক নিউজ
খাদ্যের মজুদ বাড়াতে ৫০ হাজার টন গম আমদানি করছে সরকার। আন্তর্জাতিক বাজার থেকে ১২ দশমিক ৫ শতাংশ প্রোটিন মাত্রার এ গম আমদানি করা হবে। গতকাল বুধবার অনুষ্ঠিত সভায় গম আমদানির প্রস্তাব অনুমোদন করে সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি।
অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভা শেষে অনলাইন ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব শামসুল আরেফিন।
অতিরিক্ত সচিব জানান, খাদ্য অধিদপ্তর এসব গম আমদানি করবে। এই আমদানির জন্য আন্তর্জাতিক দরপত্র আহ্বান করা হলে একটি দরপত্র জমা পড়ে, যা অনুমোদিত হয়েছে। সিঙ্গাপুরের এগ্রোকপ ইন্টারন্যাশনাল এই গম সরবরাহ করবে। প্রতি টন গমের দাম পড়বে ৪২১ মার্কিন ডলার। প্রতি ডলারের বিনিময় মূল্য ধরা হয়েছে ৮৫ টাকা ২০ পয়সা। এতে ৫০ হাজার টন গম আমদানিতে ১৭৯ কোটি ৫১ লাখ টাকা ব্যয় হবে।
এছাড়া গতকালের সভায় ২০২২ শিক্ষাবর্ষের প্রাথমিক স্তরের তৃতীয়, চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণির বাংলা ও ইংরেজি ভার্সনের ৪৬টি লটের পাঠ্যপুস্তক মুদ্রণ, বাঁধাই ও সরবরাহের দরপ্রস্তাব অনুমোদন করেছে কমিটি। এতে ৭৪ কোটি টাকা ব্যয় হবে। ৩ কোটি ৩৩ লাখ ২১ হাজার ১৯০ কপি বই মুদ্রণ, বাঁধাই ও সরবরাহের জন্য আন্তর্জাতিক উন্মুক্ত পুনঃদরপত্র আহ্বান করা হলে ৩০১টি দরপত্র জমা পড়ে। তার মধ্যে ২৮৬টি দরপত্র রেসপনসিভ হয়। সর্বনিম্ন দরদাতাদের থেকে এসব বই সংগ্রহ করা হচ্ছে।
রামগড় স্থলবন্দর উন্নয়নে ১২৪ কোটি টাকার কেনাকাটার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। কক্সবাজার বিমানবন্দরের রানওয়ে সম্প্রসারণ কাজের জন্য পরামর্শক প্রতিষ্ঠান নিয়োগের ক্রয় প্রস্তাবও অনুমোদন করেছে কমিটি। এতে খরচ হবে ৪১ কোটি টাকা। কোরিয়ান প্রতিষ্ঠান সানজিন পরামর্শক প্রতিষ্ঠান হিসেবে নিয়োগ পাচ্ছে।
এছাড়া বিদ্যুৎ বিভাগের ডিস্ট্রিবিউশন ট্রান্সফরমার ও পোল কেনার আলাদা দুটো ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদন করেছে কমিটি। এতে ব্যয় হবে ১৫৫ কোটি টাকা।
গতকালের সভায় নেত্রকোনায় স্থাপিতব্য শেখ হাসিনা বিশ্ববিদ্যালয় প্রকল্পের চারতলা প্রশাসনিক ভবন নির্মাণকাজের ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদনের জন্য উপস্থাপন করা হলেও তা ফেরত পাঠানো হয়েছে। মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগকে প্রস্তাবটি পুনরায় উপস্থাপনের পরামর্শ দিয়েছে কমিটি। তবে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূমি উন্নয়ন প্রকল্পের ২৪০ কোটি টাকার ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদন করেছে কমিটি।
এছাড়া শিল্প মন্ত্রণালয়ের ৯০ হাজার টন ইউরিয়া সার আমদানির প্রস্তাব অনুমোদন করা হয়েছে। সংযুক্ত আরব আমিরাত, কাতার ও সৌদি আরব থেকে আলাদা আলাদা
লটে এসব সার আমদানি করা হবে। এতে মোট ব্যয় হবে ৩২৫ কোটি টাকা।