ডেস্ক নিউজ
বিএনপি নেতাদের মধ্যে চাকর-বাকরের গুণাবলীও নেই বলে মন্তব্য করেছেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী।
শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এক অনুষ্ঠানে তিনি মন্তব্য করেন। বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের নব গঠিত কমিটির কাছে দায়িত্ব হস্তান্তর উপলক্ষে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
বিএনপির উদ্দেশে জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, আমার সাম্প্রতিক বক্তব্যের জন্য আমার কয়েকজন রাজনৈতিক স্নেহাস্পদ ব্যক্তিরা মনঃক্ষুণ্ন হয়েছে। কেননা, আমি তাদের চাকর-বাকরের সঙ্গে তুলনা করেছি। চাকর-বাকরদের কাছে আমি এ বক্তব্যের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করছি।
তিনি বলেন, বিএনপি নেতাদের মধ্যে চাকর-বাকরের গুণাবলীও নেই। ওপর অত্যাচার করা হলে চাকর-বাকরও একসময় প্রতিবাদ করে। এসব নেতাদের মাঝে তাও নেই। আপনারা তাদের কাছ থেকে শিখুন।
বিএনপির উদ্দেশে তিনি আরও বলেন, আমি তারেকের বদলে জাইমাকে ক্ষমতা দিতে বলিনি। আমি বলছি তাকে রাজনীতি শিখতে দেন। তিনি তরুণ বয়সী, তাকে রাজপথে আসতে বলেন। রাষ্ট্রের দায়িত্ব নিতে হলে রাজপথে হাঁটতে হয়। আবার বর্তমান সরকার চক্রান্ত শুরু করেছে। আমাদের সচেতন থাকতে হবে। গণতন্ত্রকে ফিরিয়ে আনতে হলে আমাদের সবাইকে রাস্তায় নামতে হবে।
গণসংহতি আন্দোলনের সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি বলেন, শুধু এই সরকার নয়, যারা এ অবৈধ সরকারের সুবিধাভোগী তারাও এই ফ্যাসিবাদী শাসন টিকিয়ে রাখতে চাইছে। যারাই ভোটারহীন এ সরকারের বিরুদ্ধে অবস্থান নেন, তাদেরই একাত্তরের রাজাকারদের সঙ্গে জুড়ে দেওয়া হয়। বিভিন্ন ইস্যু সৃষ্টি করে জনগণের মাঝে বিভাজন তৈরি করে এ সরকার জনগণকে ব্যস্ত রাখছে। ভূ-রাজনৈতিক মেরুকরণের আধিপত্য বিস্তারের যে রাজনীতি বর্তমানে পৃথিবীতে চলছে, সেখানে নতুন চিন্তা ও নতুন উদ্যম নিয়ে আমাদের একটি কঠিন লড়াইয়ের মুখোমুখি হতে হবে। যুগে যুগে ছাত্রসমাজ যখন আঘাত হেনেছে, তখনই ফ্যাসিবাদের মসনদের পতন হয়েছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের চেয়ারম্যান আসিফ নজরুল বলেন, যারা পদে পদে ভিন্নমতকে দমন করতে চায়, মানুষের ভোটের অধিকার কেড়ে নিতে চায়, বাংলাদেশ ব্যাংকসহ দেশের সব সম্পদ লুট করতে চায়, অত্যাচার-নিপীড়ন, গুম করে ক্ষমতায় থাকতে চায়, তারাই পাকিস্তানের এজেন্ট। পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী এদেশের জনগণের সঙ্গে যা যা করতো, দেশের জনগণের সঙ্গে তারাই এসব করছে। তারাই প্রকৃতপক্ষে পাকিস্তানের এজেন্ট, পাকিস্তানের চেতনা বহনকারী। আর যারা এসব নিপীড়নের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয় তারাই প্রকৃতপক্ষে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাধারী।
এ সময় আরও বক্তব্য রাখেন ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর, ছাত্র পরিষদের সাবেক ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক মুহাম্মদ রাশেদ খান, যুব পরিষদের আহ্বায়ক আতাউল্লাহ, শ্রমিক পরিষদের আহ্বায়ক আব্দুর রহমান, পেশাজীবী পরিষদের আহ্বায়ক জাফর আহমেদ, ছাত্র পরিষদের নবনির্বাচিত সভাপতি বিন ইয়ামিন মোল্লা, সাধারণ সম্পাদক আরিফুল ইসলাম আদীব, সাংগঠনিক সম্পাদক মোল্যা রহমাতুল্লাহ প্রমুখ।