ডেস্ক নিউজ
দেশ পেতে যাচ্ছে আরো একটি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়াম। এবার পদ্মার পাড়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নামে নির্মাণ হবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়াম। মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলার পাটুরিয়া ফেরিঘাট এলাকায় পদ্মা নদীর পাড় ঘেঁষে নতুন এই স্টেডিয়াম নির্মাণের পরিকল্পনা চূড়ান্ত করেছে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়। শনিবার এ তথ্য জানান যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মো. জাহিদ আহসান রাসেল এমপি। তিনি এদিন সশরীরে স্টেডিয়াম নির্মাণের জন্য প্রস্তাবিত স্থান পরিদর্শন করে এ প্রকল্পের কথা জানান। জানা গেছে, এ প্রকল্পের মূল উদ্যোক্তা মানিকগঞ্জ-১ আসনের সংসদ সদস্য, বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের পরিচালক ও জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক ও নাইমুর রহমান দুর্জয়।
প্রায় তিন বছর আগে ক্রীড়াবান্ধব প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজেই প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, মানিকগঞ্জে একটি ক্রিকেট স্টেডিয়াম নির্মাণের ব্যাপারে। বছর দুয়েক ধরেই অনানুষ্ঠানিকভাবে চলছিল এ নিয়ে আলাপ-আলোচনা। নতুন স্টেডিয়াম নির্মাণের জন্য ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রীর প্রস্তাবিত স্থান পরিদর্শনের মাধ্যমে শুরু হলো এর আনুষ্ঠানিকতা।
মানিকগঞ্জ-পাটুরিয়া ফেরিঘাটের ডান দিকে পদ্মা রিভারভিউ রিসোর্টের পেছনের একটি জমি বাছাই করা হয়েছে নতুন স্টেডিয়ামের জন্য। প্রধানমন্ত্রীর অগ্রাধিকার প্রকল্পের একটি হওয়ায় চলতি অর্থবছরের মধ্যেই এ স্টেডিয়াম নির্মাণের কাজ শুরুর চেষ্টা করা হবে বলে জানান জাহিদ আহসান রাসেল। তিনি আরো জানান, যত দ্রুত সম্ভব কাজ শেষ করে প্রধানমন্ত্রীর নামে নামকরণ করা হবে এই স্টেডিয়ামের। স্টেডিয়াম নির্মাণের স্থান পরিদর্শন শেষে শনিবার সন্ধ্যায় উপস্থিত সাংবাদিকদের রাসেল বলেন, ‘এ জায়গাটি আমাদের প্রাথমিকভাবে পছন্দ হয়েছে। এখানেই আমরা স্টেডিয়াম নির্মাণ করতে চাই।’ তিনি যোগ করেন,‘ ঢাকার বাইরে বিভিন্ন জেলাগুলোতে আমারা যখন কোন ক্রীড়া স্থাপনা করতে যাই, সেখানে আবাসনের জন্য সেই স্থাপনাগুলো অকেজ হয়ে থাকে। যেটা আমরা গোপালগঞ্জে দেখেছি। পাটুরিয়ায় নতুন স্টেডিয়াম নির্মাণের পাশাপাশি খেলোয়াড়দের থাকার জন্য ডরমেটরিও নির্মাণ করা হবে।’ ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন মানিকগঞ্জে একটি ক্রিকেট স্টেডিয়াম নির্মাণের ব্যাপারে। সে অনুযায়ীই আমরা কাজ শুরু করেছি। যদিও কাজ আগেই শুরু হয়েছিল, কিন্তু মাঝে করোনাভাইরাসের জন্য থেমে যায়। ফিজিক্যালি পরিদর্শনের পর টেকনিক্যাল টিমের কাজ শুরু হবে শিঘ্রই। এরই মধ্যে টেন্ডার আহ্বান করা হয়েছে। আশা করছি আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে ওয়ার্কঅর্ডার দিতে পারব।’
চলতি অর্থবছরেই নতুন স্টেডিয়াম নির্মাণের কাজ শুরু করার ব্যাপরে আশাবাদী জাহিদ আহসান রাসেল। তার কথায়, ‘টেকনিক্যাল টিমের পরিদর্শনে আপনারা জানেন বিভিন্ন ধরনের সমীক্ষা হয়, এখানকার মাটি উপযুক্ত কি না, কত নিচে যেতে হবে এসব পরীক্ষার পরই মূল কাজে হাত দিতে হয়। সাধারণত এটার জন্য তিন থেকে ছয় মাস সময় লাগতে পারে জায়গা অনুযায়ী। যেহেতু এটি প্রধানমন্ত্রীর অগ্রাধিকার প্রকল্প, উনি নিজে ঘোষণা দিয়েছেন, তাই আমরা চেষ্টা করবো চলতি অর্থবছরই যেন নতুন স্টেডিয়ামটির নির্মাণ কাজ শুরু করা যায়। ফিজিক্যাল স্টাডির জন্য আমরা এরই মধ্যে ৪ কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছি।’
নাঈমুর রহমান দুর্জয় বলেন, ‘২০১৮ সালের নির্বাচনের আগে প্রধানমন্ত্রী এই জায়গায় একটি আন্তর্জাতিকমানের স্টেডিয়াম করার ঘোষণা দিয়ে গিয়েছিলেন। আমি আশাবাদী এ স্থানটিই চূড়ান্তভাবে পরিদর্শন করা হলো।’