ডেস্ক নিউজ
ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনের প্রথম ধাপে আওয়ামী লীগ বিপুল বিজয় পেয়েছে। ১৬০ ইউপির চেয়ারম্যান পদের মধ্যে ১৩১টিতেই বিজয়ী হয়েছেন নৌকার প্রার্থীরা। এর মধ্যে ৪৪টিতে চেয়ারম্যান পদে ভোটের আগেই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগ প্রার্থী। তাদের মধ্যে শুধু বাগেরহাট জেলাতেই রয়েছেন ৩৮ জন। ২৮টিতে স্বতন্ত্র প্রার্থীরা জয় পেয়েছেন। এর মধ্যে অধিকাংশই আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী। একটির ফল স্থগিত করা হয়েছে। এর আগে সোমবার (২০ সেপ্টেম্বর) সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ভোট গ্রহন হয়।
বিজয়ী প্রার্থীদের নামের পাশে আওয়ামী লীগের হলে ব্র্যাকেটে কিছু লেখা হয়নি, আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী হলে নামের পাশে ব্র্যাকেটে বিদ্রোহী, স্বতন্ত্র প্রার্থী হলে স্বতন্ত্র লেখা হয়েছে। এছাড়া ব্র্যাকেটে যে দলের সমর্থন পেয়েছিল, তার নামও লেখা হয়েছে।
শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত চট্টগ্রামের সন্দ্বীপের গাছুয়ায় আবু হেনা, সন্তোষপুরে মহিউদ্দিন, আমানউল্ল্যায় সাইফুল ইসলাম (বিদ্রোহী), হরিশপুরে কাশেম মোল্লা, রহমতপুরে ফরিদুল মাওলা কিশোর, আজিমপুরে মো. রফি (বিদ্রোহী), মুছাপুরে আবুল খায়ের নাদিম, মাইটভাঙ্গায় মিজানুর রহমান, বাউরিয়ায় জিলল্গুর রহমান (বিনা), সারিকাইত ফখরুল ইসলাম পনির (বিনা), মগধরায় আনোয়ার হোসেন (বিনা) ও হারামিয়ায় মো. জসিমউদ্দিন(বিনা) নির্বাচিত হয়েছেন। হকপবাজার মহেশখালীর হোয়ানক, মাতারবাড়ীতে আবু হায়দার ও কুতুবজোমে শেখ কামাল। কুতুবদিয়ার আলী আকবর ডেইল থেকে জাহাঙ্গীর আলম শিকদার, বড়ঘোপ, দক্ষিণ ধুরংয়ে আলাউদ্দিন আল আজাদ (স্বতন্ত্র) , কৈয়ারবিল আজমগীর মাতবর, বড়ঘোপ থেকে আনম শহীদউদ্দিন ছোটন, লেমশীখালীতে আকতার হোসেন (স্বতন্ত্র) ও উত্তর ধুরংয়ে আব্দুল হালিম (স্বতন্ত্র), পেকুয়ার টেটংয়ে জাহিদুর ইসলাম চৌধুরী, টেকনাফের হ্নীলায় রাশেদ মো. আলী, সাবরংয়ে নুর মোহাম্মদ (স্বতন্ত্র) , টেকনাফ সদরের জিয়াউর রহমান জিহাদ।
নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলার ছয়টি ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের চার প্রার্থী ও দুটিতে বিদ্রোহী প্রার্থী জয়ী হয়েছেন। হাতিয়া উপজেলায় সাতটি ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে পাঁচটিতে আওয়ামী লীগ প্রার্থী ও দুটিতে বিদ্রোহী প্রার্থী জয়ী হয়েছেন।
নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলার ২ নং চরবাটা ইউনিয়নে আমিনুল ইসলাম রাজিব, ৭নং চরবাটায় আবুল বাশার মঞ্জু, চর আমান উল্যাহতে বেলায়েত হোসেন, ৪নং ওয়াপদায় আবদুল মান্নান ভূঁইয়া, ৩নং চরক্লার্কে অ্যাডভোকেট আবুল বাশার (বিদ্রোহী) ও ৮নং মোহাম্মদপুরে মহিউদ্দিন চৌধুরী (বিদ্রোহী); হাতিয়া উপজেলার সোনাদিয়া ইউনিয়নে মেহেদী হাসান, চর ঈশ্বরে আলাউদ্দিন আজাদ, নিঝুম দ্বীপে নুরুল আফছার দিনাজ, তমরদ্দিতে রাশেদ উদ্দিন, চর কিংয়ে মহিউদ্দিন আহমেদ, জাহাজমারায় মাছুম বিল্লাহ (বিদ্রোহী) ও বুড়িরচরে ফখরুল ইসলাম (বিদ্রোহী)।
এদিকে খুলনা জেলার ৩৪টি ইউনিয়নের মধ্যে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী পাঁচজন, একজন বিএনপি নেতা ও স্বতন্ত্র তিনজন বিজয়ী হয়েছেন। এছাড়া বিজয়ী অন্য ২৫ জনের সবাই আওয়ামী লীগের। এ জেলার কয়রা উপজেলার আমাদি ইউনিয়নে জিয়াউর রহমান জুয়েল, বাগালীতে আবদুস সামাদ, মহেশ্বরীপুরে শাহ নেওয়াজ শিকারী, মহারাজপুরে আবদুল্লাহ আল মাহমুদ, কয়রায় বাহারুল ইসলাম, উত্তর বেদকাশীতে সরদার নুরুল ইসলাম, দক্ষিণ বেদকাশীতে আসের আলী (বিদ্রোহী), দাকোপের পানখালীতে শেখ সাব্বির আহমেদ (স্বতন্ত্র), দাকোপ বিনয় কৃষ্ণ রায়, লাউডোবে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় শেখ যুবরাজ, কৈলাশগঞ্জে মিহির কুমার মণ্ডল, সুতারখালীতে মাসুম আলী ফকির, কামারখোলা পঞ্চানন মণ্ডল, তিলডাঙ্গায় গাজী জালাল উদ্দিন (স্বতন্ত্র), বাজুয়ায় মানস মুকুল রায়, বানিশান্তায় সুদেব রায়, বটিয়াঘাটার গঙ্গারামপুরে আসলাম হালদার (বিএনপি সমর্থিত), বালিয়াডাঙ্গায় আওসাফুর রহমান আসা (আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী), আমিরপুরে সি এম মিলন গোলদার, দীঘলিয়ার গাজীরহাটে মফিজুল ইসলাম ঠান্ডু (বিদ্রোহী), বারাকপুরে গাজী জাকির হোসেন, দীঘলিয়ায় হায়দার আলী মোড়ল (বিদ্রোহী), সেনহাটিতে জিয়া গাজী (বিদ্রোহী), আড়ংঘাটায় এস এম ফরিদ আক্তার (স্বতন্ত্র), যোগীপুলে সাজ্জাদুর রহমান লিংকন (বিদ্রোহী), পাইকগাছার সোলাদানায় আবদুল মান্নান গাজী, রাডুলীতে আবুল কালাম আজাদ, গড়ইখালীতে রুহুল আমিন বিশ্বাস, চাঁদখালীতে শাহজাদা ইলিয়াস (বিদ্রোহী) , দেলুটিতে রিপন মণ্ডল, লতায় কাজল কান্তি বিশ্বাস, কপিলমুনিতে কওসার আলী জোয়ারদার ও লস্কর ইউনিয়নে কে এম আরিফুজ্জামান তুহিন বিজয়ী হয়েছেন। এ ছাড়া গদাইপুরে আওয়ামী লীগের শেখ জিহাদুল ইসলাম বিজয়ী হয়েছেন।
এদিকে সাতক্ষীরায় ১০টিতে আওয়ামী লীগ, চারটিতে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী, দুটি স্বতন্ত্র এবং তিনটিতে বিএনপি-জামায়াত সমর্থক স্বতন্ত্র প্রার্থী জয়ী হয়েছেন।
কলারোয়ার যুগিখালী ইউনিয়নে মো. রবিউল হাসান, জালালাবাদ ইউনিয়নে মাহাফুজু রহমান নিশান (বিদ্রোহী), কয়লায় শেখ সোহেল রানা (স্বতন্ত্র), লাঙ্গলঝাড়ায় অধ্যাপক এম এ কালাম, সোনাবাড়িয়ায় বেনজির আহমেদ, চন্দনপুরে ডালিম হোসেন (বিদ্রোহী), হেলাতলায় মো. মোয়াজ্জেম হোসেন (স্বতন্ত্র), জয়নাগর ইউনিয়নে বিশাখা তপন সাহা (বিদ্রোহী), দেয়াড়া ইউনিয়নে মাবুবুর রহমান।
তালার ধানদিয়ায় মো. জাহাঙ্গীর আলম (স্বতন্ত্র, বিএনপি সমর্থিত), নগরঘাটায় কামরুজ্জামান লিপু, ইসলামকাটিতে গোলাম ফারুক (স্বতন্ত্র, জামায়াত সমর্থিত), খলিলনগরে প্রণব ঘোষ বাবলু, তালা সদর ইউনিয়নে সরদার জাকির হোসেন, তেঁতুলিয়ায় আবুল কালাম আজাদ, মাগুরায় গনেশ চন্দ্র দেবনাথ, খেসরায় কামরুল ইসলাম লাল্টু (বিদ্রোহী), খলিষখালিতে অধ্যাপক সাবির হোসেন (ওয়ার্কার্স পার্টি), জালালপুরে এম মফিজুল হক লিটু (স্বতন্ত্র, বিএনপি সমর্থিত) ও সরুলিয়া ইউনিয়নে আব্দুল হাই মাস্টার (স্বতন্ত্র)।
বাগেরহাট জেলার ৬৫ ইউনিয়নের মধ্যে এর আগে ৩৮ জন চেয়ারম্যান প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। অন্য ২৭টির মধ্যে দুটিতে স্বতন্ত্র এবং অন্যগুলোতে আওয়ামী লীগ প্রার্থী বিজয়ী হয়েছেন বলে জানা গেছে। এর মধ্যে বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে তেলিগাতীতে মোর্শেদা আক্তার, পঞ্চকরণে আব্দুর রাজ্জাক মজুমদার, পুটিখালীতে আব্দুর রাজ্জাক শেখ, দৈবজ্ঞহাটীতে শামছুল আলম মল্লিক, রামচন্দ্রপুরে আব্দুল আলীম, চিংড়াখালীতে আলী আক্কাস বুলু, হোগলাপাশায় মো. শহিদুল ইসলাম (স্বতন্ত্র), বনগ্রামে রিপন দাস, বলইবুনিয়ায় শাহজাহান আলী খান, হোগলাবুনিয়ায় আকরামুজ্জামান, বহরবুনিয়ায় টি এম রিপন, জিউধরায় জাহাঙ্গির আলম বাদশা, বারইখালীতে আব্দুল আউয়াল খান মহারাজ (স্বতন্ত্র), মোরেলগঞ্জে সদর হুমায়ন কবির মোল্লা।