ডেস্ক নিউজ
দেশের আট বিভাগে হৃদ রোগীদের জন্য উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে সরকার পদক্ষেপ নিচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য সচিব লোকমান হোসেন মিয়া।
দেশে এখনও হৃদরোগের চিকিৎসা ঢাকা-কেন্দ্রিক। তাই সারা দেশ থেকে রোগীদের যাতে ঢাকায় আসতে না হয় সে জন্য এমন ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে বলে জানান তিনি।
বিশ্ব হার্ট দিবস উপলক্ষে ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন অফ বাংলাদেশ আয়োজনে বুধবার বিকেলে এক ওয়েবিনারের যুক্ত হয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
আয়োজনে বিশেষ অতিথ ছিলেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের লাইন ডিরেক্টর (এনসিডিসি) অধ্যাপক রোবেদ আমিন।
ওয়েবিনারে সভাপতিত্ব করেন ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন অফ বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি জাতীয় অধ্যাপক ব্রিগেডিয়ার (অব.) আব্দুল মালিক।
লোকমান হোসেন মিয়া বলেন, ‘সবার জন্য সুচিকিৎসা নিশ্চিতে দেশে চিকিৎসা সেবার বিকেন্দ্রীকরণ প্রয়োজন। প্রাথমিক পর্যায়ে দেশের ৮ বিভাগীয় শহরে হৃদরোগের সর্বাধুনিক চিকিৎসা নিশ্চিত করা হবে। এরপর ধীরে ধীরে তা জেলা পর্যায়ে পৌঁছাতে হবে।’
ওয়েবিনারে জাতীয় অধ্যাপক ব্রিগেডিয়ার (অব.) আব্দুল মালিক বলেন, ‘দেশে স্বাস্থ্যসেবা ক্ষেত্রে কমিউনিটি ক্লিনিক থেকে শুরু করে জাতীয় পর্যায় পর্যন্ত যে অবকাঠামো রয়েছে তা অত্যন্ত শক্তিশালী। এটাকে সঠিকভাবে কাজে লাগাতে পারলে হৃদরোগসহ অন্য যেকোনো রোগ নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। হৃদরোগের চিকিৎসা অত্যন্ত ব্যয়বহুল।
‘অনেকের পক্ষে এই ব্যয় বহন করা সম্ভব হয় না। সে জন্য হতদরিদ্রদের চিকিৎসার দায়িত্ব সরকারের নেয়া উচিত। অন্যদিকে নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্তদের জন্য স্বাস্থ্যবীমা চালু করা যেতে পারে।’
অধ্যাপক রোবেদ আমিন বলেন, ‘আমাদের দেশে ৪ দশমিক ৫ থেকে ৫ শতাংশ মানুষ হৃদরোগে আক্রান্ত। হৃদরোগের পেছনে সবচেয়ে বড় তিনটি কারণ হলো উচ্চ রক্তচাপ, তামাক ব্যবহার ও লিপিড প্রোফাইল। আমাদেরকে হৃদরোগ প্রতিকারের চেয়ে প্রতিরোধে বেশি জোর দিতে হবে। হৃদরোগসহ অসংক্রামক রোগ প্রতিরোধে বর্তমান সরকার ২০১৮ থেকে ২০২৫ সাল পর্যন্ত একটি কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন করেছে।’
হৃদরোগ প্রতিরোধের অংশ হিসেবে বর্তমানে সিলেট বিভাগ এবং জামালপুর ও কিশোরগঞ্জ জেলার ৫৪টি উপজেলায় উচ্চ রক্তচাপ কর্মসূচি চলমান, যেখানে রোগীদের বিনামূল্যে ওষুধ সরবারহ করা হচ্ছে। সারা দেশের সব উপজেলায় ধীরে ধীরে এ কর্মসূচি চালানো হবে।
ওয়েবিনারে স্বাগত বক্তব্য দেন ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন অফ বাংলাদেশের মহাসচিব অধ্যাপক খন্দকার আব্দুল আউয়াল রিজভী।
তিনি বলেন, ‘ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন অফ বাংলাদেশ হৃদরোগের চিকিৎসা, নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধে কাজ করে যাচ্ছে। সারা দেশে এ ফাউন্ডেশনের ৪৫টি অ্যাফিলিয়েটেড বডি রয়েছে, যারা তৃণমূল পর্যায়ে হৃদরোগ প্রতিরোধে কাজ করছে।’