ডেস্ক নিউজ
পদ্মা-কুমার-আড়িয়াল খাঁ-মধুমতি নদী বিধৌত জেলা ফরিদপুর। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতিধন্য ফরিদপুর। বঙ্গবন্ধু বৃহত্তর ফরিদপুরেরই কৃতী সন্তান। তিনি তাঁর রাজনৈতিক জীবনে বারবার এসেছেন ফরিদপুর। ফরিদপুর শহরের প্রতিটি অলিগলিতে রয়েছে বঙ্গবন্ধুর দীপ্ত পদচারণা। এই জেলার কারাগারেও ছিলেন বঙ্গবন্ধু।
১৯২০ সালে তৎকালীন ফরিদপুরের গোপালগঞ্জ মহাকুমার টুঙ্গিপাড়ায় জন্মগ্রহণ করেছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ নামে এক নতুন স্বাধীন দেশকে বিশ্বের সামনে তুলে ধরেন। বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলাদেশ আজ উন্নতিতে সারাবিশ্বের কাছে রোল মডেল। এই উন্নতি সম্ভব হয়েছে বঙ্গবন্ধুর দেখানো পথে তাঁর সুযোগ্য কন্যা জননেত্রী বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দিক নির্দেশনায়।
শেখ হাসিনার নির্দেশ ও তত্ত¡াবধানে ফরিদপুরের আজ সব ক্ষেত্রেই উন্নতি ঘটেছে, ঘটছে এবং ঘটবে। শেখ হাসিনার সাফ কথা, ফরিদপুরবাসীকে তাঁর কাছে কিছু চাইতে হবে না। ফরিদপুরের জন্য কখন, কি করতে হবে, তা তিনি নিজেই ঠিক করে দেবেন; কেননা ফরিদপুর হলো তাঁর জেলা।
সাম্প্রতিকালে ফরিদপুরের যে উন্নয়ন কার্যক্রম পরিচালিত হয়েছে তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো ভাঙ্গা উপজেলার গোলচত্বর, পুনরায় ফরিদপুরে রেল চালু, ভাঙ্গা পর্যন্ত রেল চলাচল সম্প্রসারণ এবং ফরিদপুরের মধুখালী থেকে মাগুরা পর্যন্ত রেলপথ নির্মাণের সূচনা, চন্দনা-বারাসিয়া ও কুমার নদ খনন, ফরিদপুর স্টেডিয়ামের আধুনিকীকরণ, গণহত্যা কমপ্লেক্স নির্মাণ, দেড় হাজার আসন বিশিষ্ট অডিটরিয়াম নির্মাণ।
ভাঙ্গা গোলচত্বর- শেখ হাসিনার উন্নয়নের ম্যাজিক ॥ প্রতিদিন বিকেল থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত ভাঙ্গা বিশ^রোড মোড় গোলচত্বর ঘিরে অসংখ্য নারী, পুরুষ, কিশোর, কিশোরী, তরুণ, তরুণীর ভিড় লেগে থাকে। ঈদসহ বিভিন্ন উৎসবে থাকে উপচেপড়া ভিড়। দূর-দূরান্ত থেকে প্রতিনিয়ত এ চত্বর দেখতে লোক আসে। ভাঙ্গা বিশ্বরোড মোড় এক সময় ছিল দুটি মহাসড়ক ঢাকা-খুলনা মহাসড়ক ও ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের সংযোগ স্থল।
সরকার আত্মপ্রত্যয়ী পদ্মা সেতু নির্মাণ প্রকল্প হাতে নিলে পদ্মা সেতু থেকে ভাঙ্গা পর্যন্ত এক্সপ্রেস ওয়ে নির্মাণ শুরু করেন। এর ফলে নতুন রূপ পেতে থাকে দক্ষিণাঞ্চলের একুশ জেলার প্রবেশদ্বারখ্যাত ভাঙ্গা বিশ্বরোড গোলচত্বর। ২০১৪ সালের নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে পর পর দুবারের মতো আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় যাওয়ার পর থেকেই ভাঙ্গার গুরুত্ব বাড়তে থাকে। ভাঙ্গা রাস্তার মোড় নিয়ে কথা তুলতেই ভাঙ্গা মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ এ এইচ এম রেজাউল করিম বলেন, ভাঙ্গা বিশ^রোড মোড় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়নের এক মহাযজ্ঞ। শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী বলেই এরকম উন্নয়ন সম্ভব। ভাঙ্গা উপজেলা সদরে এসে কুমার নদ দুটি শাখায় ভাগ হয়েছে। একটি শাখা চলে গেছে দক্ষিণে গোপালগঞ্জের দিকে, আর একটি পূর্বদিকে মাদারীপুরের দিকে। ভাগ হয়ে যাওয়া কুমার নদের তিন পাড়ে গড়ে ওঠা ভাঙ্গা উপজেলা শহর দেশের দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চলের একুশ জেলার প্রবেশদ্বার। এ প্রবেশদ্বার দিয়ে পশ্চিমে যাওয়া যাবে গোপালগঞ্জ হয়ে খুলনা, বাগেরহাট, সাতক্ষীরা, যশোরের বেনাপোল পর্যন্ত। দক্ষিণে মাদারীপুর, বরিশাল, পটুয়াখালী, বরগুনা, পিরোজপুর, ভোলা, ঝালকাঠি পর্যন্ত। উত্তরে ৩২ কিলোমিটার পার হলেই ফরিদপুর শহর। পূর্বে মাদারীপুরের শিবচর হয়ে পদ্মা সেতু পার হলেই আধা ঘণ্টারও কম সময়ে ঢাকা। ঢাকার জুরাইন থেকে ফরিদপুরের ভাঙ্গা পর্যন্ত ৫৫ কিলোমিটার। এটি এশিয়ান হাইওয়ের করিডর-১ এর অংশ।
ভাঙ্গায় এ কর্মযজ্ঞের শুরু হয় ২০১৬ সালে। প্রকল্পটির কাজের টাকার জোগান দিচ্ছে বাংলাদেশ সড়ক বিভাগ। নির্মাণ কাজের তদারকি করছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ২৪ কনস্ট্রাকশন ব্রিগেড। ঢাকা-ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়ের সঙ্গে ভাঙ্গার মোড়টিও যান চলাচলের জন্য খুলে দেয়া হয় ২০২০ সালের ৮এপ্রিল। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে যান চলাচলের উদ্বোধন করেন। উত্তর- দক্ষিণ, পূর্ব-পশ্চিম যেদিকেই যাওয়া যাক না কেন, ভাঙ্গা যানজটে পড়তে হবে না। প্রয়োজন হবে না গাড়ির ব্রেক চাপার। ভাঙ্গার গোলচত্বর মোড়ে নির্মাণ করা হয়েছে চারটি আন্ডারপাস, একটি ফ্লাইওভার, চারটি লেন। গাড়ি চলছে প্রতিটি লেন ধরেই। ঢাকার জুরাইন থেকে পদ্মা সেতুর উত্তর প্রান্ত পর্যন্ত ৩৫ কিলোমিটার।
ফরিদপুরে রেল চালু ॥ ব্রিটিশ আমলে রেল চালু হলেও ফরিদপুরে পরবর্তীতে রেল বন্ধ হয়ে যায়। পরবর্তীতে শেখ হাসিনার আমলে রেললাইন চালু হয়। ফরিদপুরকে ঘিরে রেলের বিশাল কর্মযজ্ঞ শুরু হয়। দীর্ঘদিন পর ২০১৪ সালে রাজবাড়ীর সঙ্গে ফরিদপুরের রেল যোগাযোগ পুনরায় চালু হয়। বর্তমানে রেললাইন সম্প্রসারিত করে ভাঙ্গা পর্যন্ত যাতায়াত করছে রেল। এ পথে একটি লোকাল ট্রেন ও একটি আন্তঃনগর ট্রেন চলাচল করছে।
নদী খনন ॥ ফরিদপুরের দুটি উল্লেযোগ্য নদী কুমার ও চন্দনা-বারাসিয়া। দুটি নদীই পদ্মা নদীর শাখা। দুটি নদীই জালের মতো ফরিদপুর জেলার সর্বত্র ছড়িয়ে রয়েছে। এ দুটি নদীই ফরিদপুরের মাছের চাহিদার বড় অংশ মেটায়। এই নদী দুটির পানিতেই পাটগাছ পচিয়ে সোনালি আঁশ তৈরি করে কৃষক। ক্ষেতের ফসল ফলাতে পানির যোগান দেয় নদী দুটি। বর্ষাকালে দুক‚ল প্লাবিত করে দুটি নদীই পলিমাটি পৌঁছে দেয় ফরিদপুর ভূখণ্ডের প্রতিটি অণু-পরমাণুতে।
ফরিদপুর স্টেডিয়াম ॥ খেলাধুলায় জেলার আগের অবস্থান ফিরে পেতে ফরিদপুর স্টেডিয়ামকে আধুনিকায়ন করা হয়েছে। ফরিদপুর স্টেডিয়ামকে শেখ জামাল স্টেডিয়াম নামকরণ করা হয়েছে। এ ছাড়া সব উপজেলাতেই একটি করে মিনি স্টেডিয়াম নির্মাণ করা হয়েছে।
গণকবর উন্নয়ন ও সম্প্রসারণ প্রকল্প ॥ ফরিদপুর শহরের শেখ জামাল স্টেডিয়ামের পূর্বপাশে জেলা পরিষদের উদ্যোগে বাস্তবায়িত হচ্ছে গণকবর উন্নয়ন ও সম্প্রসারণ প্রকল্প। সাত কোটি ১৯ লাখ টাকা ব্যয়ে এ প্রকল্প বাস্তবায়িত হচ্ছে।
জেলা পরিষদ অডিটরিয়াম কাম-অফিস ॥ জেলা পরিষদের উদ্যোগে এক হাজার পাঁচশ’ আসনবিশিষ্ট মিলনায়তনসহ জেলা পরিষদ অডিটরিয়াম কাম- অফিস কক্ষের নির্মাণ কাজ চলছে। এটি শহরের গোয়ালচামট মহল্লায় হেলিপোর্ট নামে পরিচিত জায়গায় নির্মাণ করা হচ্ছে।
পল্লীকবি জসীম উদ্দীন জাদুঘর ও সংগ্রহশালা ॥ পল্লীকবি খ্যাত কবি জসীম উদ্দীন ডালিম গাছের নিচে শুয়ে আছেন ফরিদপুর শহরতলীর গোবিন্দপুরে। গোবিন্দপুর গ্রামের পল্লীকবি জসীম উদ্দীনের বাড়ি সংলগ্ন জায়গায় এই সরকারের সময়কালে বাস্তবায়িত হয়েছে পল্লীকবি জসীম উদ্দীন জাদুঘর ও সংগ্রহশালা।
শিক্ষা খাত ॥ ফরিদপুর একটি ঐতিহ্যবাহী জেলা। শিক্ষার প্রতি ফরিদপুরবাসীর অনুরাগ সুবিদিত। ফরিদপুরকে শিক্ষানগরী হিসেবে গড়ে তুলতে প্রতিষ্ঠিত হয় জেলা প্রশাসন স্কুল এ্যান্ড কলেজ, ফরিদপুর। ইংরেজী ভার্সনে পরিচালিত এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্রাথমিকভাবে প্লে হতে তৃতীয় শ্রেণী পর্যন্ত শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। ফরিদপুরে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে ফরিদপুর মেডিক্যাল কলেজ, মেরিন একাডেমি, ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ, সরকারী রাজেন্দ্র কলেজকে আধুনিকায়ন করে সুযোগ-সুবিধা বাড়ানো হয়েছে। বেসরকারী পর্যায়ে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে মেডিক্যাল কলেজ, বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়।
বিদ্যুত ব্যবস্থার উন্নতি ॥ জেলায় বিদ্যুতের কোন ঘাটতি নেই। চরাঞ্চলে বিদ্যুত সুবিধা পৌঁছে দেয়ার জন্য নদী তলদেশ দিয়ে বিদ্যুতের লাইন নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। চরাঞ্চলে যেটা ছিল একসময় কল্পনার বাইরে। সেটা এখন বাস্তবে রূপ নিয়েছে। ফরিদপুর জেলা শতভাগ বিদ্যুতায়নের দ্বারপ্রান্তে রয়েছে।
কৃষি খাত ॥ পাট জেলার প্রধান উৎপন্ন কৃষি ফসল। ফরিদপুরের ব্রান্ড পণ্য পাট। ‘সোনালি আঁশে ভরপুর, ভালবাসি ফরিদপুর’ স্লোগানটি ফরিদপুরবাসীর হৃদয়ে আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে আছে। পাটকে ঘিরে জেলায় কয়েকটি পাটকল স্থাপন করা হয়েছে। বর্তমানে জেলার কৃষকরা সরাসরি পাটকলগুলোয় নিজেদের উৎপাদিত পাট সরবরাহ করতে পারছে। ফলে তারা পাটের ন্যায্যমূল্য পাচ্ছে।
অবকাঠামো ॥ জেলায় অবকাঠামোগত উন্নয়ন করা হয়েছে। দৃষ্টিনন্দন জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ভবন, পুলিশ সুপার অফিস ভবন, জেলা প্রশাসক অফিস ভবন, প্রত্যেক উপজেলায় মডেল মসজিদ নির্মাণ করা হয়েছে। বর্তমান সরকারের গত ১০ বছরের অভাবনীয় উন্নয়ন অগ্রযাত্রার সঙ্গে তাল মিলিয়ে এক সময়ের পিছিয়েপড়া ফরিদপুরও ক্রমশ একটি আধুনিক ও পরিকল্পিত নগরী হিসেবে গড়ে উঠছে।
মানবিক সহায়তা কার্ড ॥ বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা, ভিজিডি, ভিজিএফ, ওএমএস, খাদ্যবান্ধব কর্মসূচী, টিআর, কাবিটা, মাতৃত্বকালীন ভাতা, কর্মজীবী ল্যাকটেটিং মাদার ভাতা, প্রতিবন্ধী ভাতাসহ সরকারের বিভিন্ন ধরনের সামাজিক সুরক্ষা বেষ্টনী রয়েছে।
ব্র্যান্ডিং মেলা ॥ ফরিদপুর জেলার ব্র্যান্ডিং পণ্য পাট। পাট ও পাটজাত বিভিন্ন দ্রব্যের স্থানীয় ও বৈদেশিক বাজার সৃষ্টি করে পাটকে বিশ্বব্যাপী সমাদৃত করা, পাটচাষী ও উদ্যোক্তাদের উৎসাহিত করার লক্ষ্যে ফরিদপুর জেলার জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে আয়োজিত হয় মাসব্যাপী ‘ব্র্যান্ডিং মেলা’। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এঁর জন্মশতবার্ষিকী ‘মুজিববর্ষ’কে উপজীব্য করে জেলার সরকারী রাজেন্দ্র কলেজ প্রাঙ্গণে আয়োজিত এই মেলায় মাসব্যাপী জেলার বিভিন্ন পাটকল ও ক্ষুদ্র উদ্যোক্তারা তাদের পণ্য প্রদর্শন এবং বিক্রি করেন। বর্তমানে পাট ও মুজিববর্ষকে উপজীব্য করে একটি ব্র্যান্ডিং বুক প্রকাশের কার্যক্রম বাস্তবায়নাধীন রয়েছে।
ভ‚মিহীনদের ভ‚মি ও গৃহ প্রদান ॥ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এঁর জন্মশতবার্ষিকী ‘মুজিববর্ষে’ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অঙ্গীকার ‘মুজিববর্ষে দেশে কেউ গৃহহীন থাকবে না’ বাস্তবায়নে জেলা প্রশাসন, ফরিদপুর জেলার বিশ শ’ (২০০০ জন) ভ‚মিহীনকে ৩২৩ একর খাসজমি বন্দোবস্ত প্রদানের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।
সেবা প্রদানে ডিজিটালাইজেশন ॥ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ : ভিশন ২০২১’ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে জেলা প্রশাসন থেকে জনসাধারণকে যেসব সেবা প্রদান করা হয়ে থেকে তার মধ্যে বেশ কিছু সেবা যেমন রেকর্ডরুম থেকে পর্চা প্রদান, সকল ধরনের ডিলিং লাইসেন্স নবায়ন, দাপ্তরিক যোগাযোগ, ই-মিউটেশন প্রচলিত ম্যানুয়াল পদ্ধতির পরিবর্তে ডিজিটাল ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে প্রদান করা হচ্ছে।
মুজিববর্ষ পার্ক এবং বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধ গ্রন্থাগার নির্মাণ ॥ মুজিববর্ষে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এঁর স্মৃতি বিজড়িত ফরিদপুর জেলার প্রতিটি উপজেলায় উপজেলা পরিষদের নিজস্ব জায়গায় অথবা উপজেলা পরিষদকে ঘিরে মুজিববর্ষ পার্ক নামে দৃষ্টিনন্দন পার্ক গড়ে তোলার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে, যা ইতোমধ্যে এ জেলার কয়েকটি উপজেলায় প্রায় সমাপ্তির পথে।
বঙ্গবন্ধু, মুক্তিযুদ্ধ ও বাংলাদেশ গ্যালারি ॥ সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এঁর স্মৃতি বিজড়িত ফরিদপুর একটি ঐতিহ্যবাহী জেলা। এবছর মুজিববর্ষে জেলা প্রশাসন, ফরিদপুরের উদ্যোগে বঙ্গবন্ধুর স্মৃতি বিজড়িত স্থানসমূহে মেমোরিয়াল, স্মৃতি কমপ্লেক্স স্থাপনসহ বিভিন্ন কার্যক্রম হাতে নেয়া হয়েছে।