ডেস্ক নিউজ
বাংলাদেশের প্রাথমিক শিক্ষার উন্নয়নে জাপান স্থানীয় মুদ্রায় সাড়ে ৩৯ কোটি টাকা দিচ্ছে। চতুর্থ প্রাথমিক শিক্ষা উন্নয়ন কর্মসূচির (পিইডিপি-৪) জন্য এক্সচেঞ্জ অফ নোট এবং অনুদান চুক্তির আওতার এই অর্থ দিচ্ছে জাপান। গতকাল এ বিষয়ে একটি অনুদান চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানি রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকি, অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব ফাতিমা ইয়াসমিন এবং জাইকা বাংলাদেশ অফিসের মুখ্য প্রতিনিধি হায়াকাওয়া ইউহো এ চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, পিইডিপি বাংলাদেশের প্রাথমিক শিক্ষার জন্য একটি অসামান্য কৌশলগত জাতীয় উন্নয়ন কর্মসূচি। জাপান ২০১১ সাল থেকে সেক্টর ওয়াইড অ্যাপ্রোচ (সোয়াপ) এর আওতায় অন্যান্য উন্নয়ন সহযোগীদের সহযোগিতায় পিইডিপিকে সহায়তা করে আসছে। শিক্ষার মান সম্পর্কিত তিনটি উচ্চস্তরের ফলাফল অর্জনের লক্ষ্যে ২০১৮ সালে পিইডিপি-৪ প্রকল্পটি শুরু করা হয়। জাপান বাংলাদেশের প্রাথমিক শিক্ষার ‘মান’ উন্নয়ন করতে বিশেষভাবে শিশুদের ‘শিখন’ এবং শিশুদের পাঠের উপর গুরুত্ব আরোপ করেছে। যেখানে জাইকার কারিগরি সহযোগিতা প্রকল্প, পাঠ্যক্রম, পাঠ্যপুস্তকের মান উন্নয়নে প্রযুক্তিগত তথ্য প্রদান করছে এবং শিক্ষণ-শেখানো উপকরণ এবং বাংলাদেশে শিক্ষক প্রশিক্ষণকে শক্তিশালী করতে সহায়তা করে জাপানি নীতি উপদেষ্টা পিইডিপি-৪ এবং শিক্ষাগত নীতি প্রণয়নকে সমর্থন ও পরামর্শ দিচ্ছেন। বিশেষ করে, বিজ্ঞান ও গণিত শিক্ষায় অন্যান্য উন্নয়ন সহযোগীদের তুলনায় সুবিধা থাকায় জাপান এই দুটি বিষয়ে শিক্ষার ক্ষেত্রে সহযোগিতা প্রদান করছে।
শিক্ষার ক্ষেত্রে, বাংলাদেশ সরকার এবং উন্নয়ন অংশীদাররা মিলিতভাবে সোয়াপ পদ্ধতিটি গ্রহণ করেছে এবং জাপান সুবিধা ভোগীদের মধ্যে সহযোগিতার মাধ্যমে কার্যকর সহায়তা প্রদান অব্যাহত রাখবে। বাংলাদেশে শিল্প কাঠামোগত সংস্কারকে বিবেচনায় রেখে কারিগরি শিক্ষা ও উচ্চশিক্ষার মান উন্নয়নেও জাপান সহায়তা প্রদান অব্যাহত রাখবে বলে জানিয়েছে জাপান দূতাবাস।
চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে জাপানি রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকি বলেন, জাপান বাংলাদেশে মানসম্মত শিক্ষার প্রসারে ধারাবাহিকভাবে প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। উচ্চশিক্ষা গুরুত্বপূর্ণ তবে দেশের উন্নয়নের জন্য শিক্ষার প্রতিটি স্তরে সহযোগিতা বাড়ানো অপরিহার্য। সর্বোপরি দরিদ্র পরিবারে জন্ম নেয়া শিশুদের জন্য দারিদ্র্য দূর করতে এবং নিজেদের ক্ষমতায়নের একমাত্র উপায় হলো শিক্ষা। প্রাথমিক শিক্ষায় জাপান তার জোরালো সম্পৃক্ততা অব্যাহত রাখবে।
ইআরডি সচিব ফাতিমা ইয়াসমিন বলেন, জাপানের সহযোগিতা অবকাঠামো থেকে শিক্ষাসহ সকল ক্ষেত্রে বিস্তৃত। শিক্ষা, বিশেষ করে, ভবিষ্যতের জন্য একটি বিনিয়োগ, এবং জাপান সর্বদা বাংলাদেশের ভবিষ্যতের জন্য সহযোগিতা ও সহায়তা দিতে ইচ্ছুক। সে জন্য আমরা জাপানের কাছে কৃতজ্ঞ। প্রাথমিক শিক্ষা হলো বিশ্বব্যাপী প্রতিযোগিতামূলক তরুণদের খুঁজে বের করা একটি সুযোগ। সঠিক শিক্ষা ছাড়া একটি দেশের উন্নয়ন সম্ভব নয়। আমি প্রাথমিক শিক্ষায় জাপানের অব্যাহত সহযোগিতা কামনা করছি।