ডেস্ক নিউজ
করোনাভাইরাসের কারণে গত ৪ মে থেকে প্রায় ছয় মাস বন্ধ থাকার পর বৃহস্পতিবার থেকে সিঙ্গাপুরে পুনরায় ফ্লাইট চালু করতে যাচ্ছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স। আগামী ১২ নভেম্বর পর্যন্ত সপ্তাহে প্রতি বৃহস্পতিবার এবং ১৩ নভেম্বর থেকে সপ্তাহে প্রতি শনি, মঙ্গল ও বৃহস্পতিবার ফ্লাইট পরিচালনা করবে বিমান।
বুধবার বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের উপ-মহাব্যবস্থাপক (জনসংযোগ) তাহেরা খন্দকার স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে জানানো হয়, ঢাকা থেকে স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে ৮টায় সিঙ্গাপুরের উদ্দেশে ছেড়ে যাবে বিমানের ফ্লাইট এবং সিঙ্গাপুর থেকে সেখানকার স্থানীয় সময় বিকেল ৩টা ৫০ মিনিটে ঢাকার উদ্দেশে যাত্রা করবে। যাত্রীদের অবশ্যই সিঙ্গাপুর কর্তৃপক্ষ কর্তৃক দেশটিতে প্রবেশের অনুমতিপত্র নিতে হবে এবং অনুমোদিত করোনা টিকার পূর্ণ ডোজ নিতে হবে। ফাইজার, মডার্না, অ্যাস্ট্রাজেনেকার, সেরামের কোভিশিল্ড, সিনোফার্ম, সিনোভ্যাক টিকার যেকোনো একটির দুই ডোজ এবং জনসনের টিকার ক্ষেত্রে এক ডোজ নেয়ার কমপক্ষে ১৪ দিন পর সিঙ্গাপুরে যাওয়া যাবে।
এছাড়া দুই বছরের বেশি বয়সী যাত্রীদের ফ্লাইট ছাড়ার ৪৮ ঘণ্টা আগে করোনা পরীক্ষা করাতে হবে এবং নেগেটিভ সনদ থাকতে হবে। সিঙ্গাপুর পৌঁছে ১০ দিন হোটেল কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে। কোয়ারেন্টাইনে থাকাবস্থায় তৃতীয় ও সপ্তম দিনে নিজ খরচে র্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্ট করাতে হবে এবং দশম দিনে নিজ খরচে পিসিআর পরীক্ষা করাতে হবে। সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্য ভ্রমণে গেলে যাত্রীদের সিঙ্গাপুরের চাঙ্গি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে করোনা পরীক্ষা করাতে হবে, যার জন্য আগেই অনলাইনে রেজিস্ট্রেশন ফি জমা দিতে হবে।
সিঙ্গাপুর যাওয়ার আগে মোবাইলে `ট্রাক টুগেদার’ অ্যাপ ডাউনলোড করতে হবে। সিঙ্গাপুর বিমানবন্দরে যাত্রীদের অভ্যর্থনা জানানোর জন্য বাইরের কোনো ব্যক্তি প্রবেশ করতে পারবেন না। সিঙ্গাপুর থেকে বাংলাদেশে আসতে হলে ১২ বছরের বেশি বয়সী যাত্রীকে ফ্লাইট ছাড়ার ৭২ ঘণ্টার মধ্যে করোনা পরীক্ষা করাতে হবে এবং নেগেটিভ সনদ থাকতে হবে। করোনা টিকা নেওয়া না থাকলে বাসায় ১৪ দিন কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে। বিমানবন্দরে পৌঁছানোর পর করোনার লক্ষণ দেখা গেলে যাত্রীকে সরকার নির্ধারিত হোটেলে নিজ খরচে কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে।
সর্বশেষ চলতি বছরের ৪ মে থেকে বাংলাদেশ থেকে সিঙ্গাপুরে যাত্রী পরিবহন বন্ধ ছিল। তবে সিঙ্গাপুর থেকে যাত্রীরা বাংলাদেশে আসতে পারতেন।