ডেস্ক নিউজ
অনুষ্ঠানে ইউনাইটেড চট্টগ্রাম পাওয়ার লিমিটেডের সঙ্গে আরও দুটি চুক্তি সই হয়। এগুলো হলো, বিদ্যুৎ বিভাগ ও পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশের (পিজিসিবি) সঙ্গে ইমপ্লিমেন্টেশন অ্যাগ্রিমেন্ট (আইএ) এবং কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের সঙ্গে গ্যাস সাপ্লাই এগ্রিমেন্ট (জিএসএ)।পিডিবি চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মো. বেলায়েত হোসেনের সভাপতিত্বে চুক্তিস্বাক্ষর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বিদ্যুৎ বিভাগের সচিব মো. হাবিবুর রহমান। অনুষ্ঠানে বিদ্যুৎ বিভাগের সচিব বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিদ্যুৎ খাতের উন্নয়নে বেসরকারি খাতের ভূমিকাকে সবসময়ই গুরুত্ব দিয়েছেন। এরই ফলশ্রুতিতে বিদ্যুৎ খাতে নতুন নতুন প্রযুক্তি এসেছে বেসরকারি খাতের মাধ্যমে। তারা শুধু বিদ্যুৎ উৎপাদন করছে না, তারা বিদ্যুৎ খাতের আধুনিকায়নও করছে। তিনি বলেন, ইউনাইটেড একটি বড় ব্যবসায়ী গ্রুপ। তাদের সুনাম রয়েছে। তারা নির্ধারিত সময়ের মধ্যে এই বিদ্যুৎকেন্দ্রের কাজ শেষ করবে।
চেয়ারম্যান প্রকৌশলী বেলায়েত হোসেন বলেন, সরকার বিদ্যুৎ খাতের উন্নয়নে সরকারি খাতের পাশাপাশি বেসরকারি খাতকেও সমানভাবে উৎসাহ দিচ্ছে। ইউনাইটেড গ্রুপ নির্ধারিত সময়ের মধ্যে বিদ্যুৎকেন্দ্রটিকে উৎপাদনে নিয়ে আসবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন। কেন্দ্রটি উৎপাদনে এলে এ খাতে সরকারের যে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা রয়েছে, তা বাস্তবায়নে ভূমিকা রাখবে। কম্বাইন্ড সাইকেল বিদ্যুৎকেন্দ্রের মধ্যে ইউনাইটেডের ৫৯০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন কেন্দ্রটি হবে সবচেয়ে বড়। সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো এখনও এত আধুনিক যন্ত্রপাতির সমন্বয়ে এ ধরনের বিদ্যুৎকেন্দ্র তৈরি করেনি, যার উদ্যোগ নিলো ইউনাইটেড গ্রুপ।
ইউনাইটেড গ্রুপের চেয়ারম্যান ও ইউনাইটেড চট্টগ্রাম পাওয়ার লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মঈনুদ্দিন হাসান রশীদ বলেন, প্রধানমন্ত্রী দেশের ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেওয়ার যে অঙ্গীকার করেছেন, সেটা বাস্তবায়নে আনোয়ারার ৫৯০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎকেন্দ্র বড় ভূমিকা রাখবে। বাংলাদেশের বিদ্যুৎ খাতের উন্নয়নে ইউনাইটেড গ্রুপ দুই যুগ ধরে কাজ করে যাচ্ছে।
২২ বছর মেয়াদি এই বিদ্যুৎকেন্দ্রটি প্রাকৃতিক গ্যাসে চালানো হলে প্রতি কিলোওয়াট বিদ্যুতের দাম পড়বে ২ টাকা ৯৫ পয়সা (৩.৬৮৬৭ ইউএস সেন্ট) এবং আমদানি করা এলএনজিতে উৎপাদন করা হলে পড়বে ৫ টাকা ৪৪ পয়সা (৬.৮০৪৩ ইউএস সেন্ট)। চুক্তি অনুযায়ী ২০২৬ সালের ২৮ জানুয়ারি এটি উৎপাদনে আসার কথা। কেন্দ্রটির ৬০ ভাগের মালিক ইউনাইটেড এন্টারপ্রাইজেস অ্যান্ড কোম্পানি লিমিটেড, ২০ ভাগের মালিক জাপানের প্রতিষ্ঠান কাইশু ইলেকট্রিক পাওয়ার কোম্পানি ইন করপোরেশন এবং বাকি ২০ ভাগের মালিক শোজিট করপোরেশন জাপান।